#Quote

হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!

Facebook
Twitter
More Quotes
নতুন একটা খাতে আমরা লিখতে চলেছি…যার প্রতিটি পৃষ্ঠাই ফাঁকা…সেই খাতার নাম “সুযোগ”। আর সেই খাতার প্রথম পাতাটি হল নববর্ষের প্রথম দিন…নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা
কে কে যাবে বৈশাখী মেলায় জমবে মেলা পথে পথে সাজবে রঙিন সাজে মনের মাঝে তাকদুম তাকদুম বৈশাখী সুর বাজে। লাল সাদা শাড়িতে সাজব পহেলা বৈশাখে লাল সাদা ফুল মালা খোঁপায় নথ ঝুলাবো নাকে। হেলে দুলে গানের মাঝে হারাবো এ বেলায় নাগরদোলায় চড়ব আমি বৈশাখী বটমেলায়। পাতায় বাঁশি হাতে নিয়ে সুর ছন্দে বাজাবো হরেক রকম আনন্দে মন আঙ্গিনা সাজাবো। ফুলের মুকুট মাথায় নিবো ঠোঁটে লালের ছোঁয়া মন্ডা মিঠাই সন্দেশ মিষ্টি কিনব মুড়ির মোয়া। বৈশাখী মেলায় কে যাবে তোমরা এবার বলো? দলে দলে বন্ধু সবাই প্রাণের মেলায় চলো।
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
হে দুর্দম, হে নিশ্চিত, হে নূতন, নিষ্ঠুর নূতন, সহজ প্রবল, জীর্ণ পুষ্পদল যথা ধ্বংস ভ্রংশ করি চতুর্দিকে বাহিরায় ফল, পুরাতন পর্ণপুট দীর্ণ করি বিকীর্ণ করিয়া অপূর্ব আকারে তেমনি সবলে তুমি পরিপূর্ণ হয়েছ প্রকাশ– প্রণমি তোমারে।
বৈশাখে অনলসম বসন্তের খরা। তরুতল নাহি মোর করিকে পসরা পায় পোড়ে খরতর রবির কিরণ। শিরে দিতে নাহি আঁটে খুঞ্চার বসন নিযুক্ত করিল বিধি সবার কাপড়। অভাগী ফুল্লরা পরে হরিণের দুড় পদ পোড়ে খরতর রবির কিরণ। শিরে দিতে নাহি আঁটে অঙ্গের বসন বৈশাখ হৈল আগো মোর বড় বিষ। মাংস নাহি খায় সর্ব্ব লোকে নিরামিষ
চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্রন্দন, হেরিব না দিক– গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার উদ্দাম পথিক। মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্ততা উপকণ্ঠ ভরি– খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা উৎসর্জন করি।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
ঈশ্বর তোমার জন্যে নতুন বছরের উপহার হিসেবে ঠিক করে রেখেছেন অনেক অনেক নতুন সুযোগ, খুশি আর মন ভরা আনন্দ। নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা
নবাঙ্কুর ইক্ষুবনে এখনো ঝরিছে বৃষ্টিধারা বিশ্রামবিহীন, মেঘের অন্তর-পথে অন্ধকার হতে অন্ধকারে চলে গেল দিন। শান্ত ঝড়ে, ঝিল্লিরবে, ধরণীর স্নিগ্ধ গন্ধোচ্ছ্বাসে, মুক্ত বাতায়নে বৎসরের শেষ গান সাঙ্গ করি দিনু অঞ্জলিয়া নিশীথগগনে।