#Quote

চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্রন্দন, হেরিব না দিক– গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার উদ্দাম পথিক। মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্ততা উপকণ্ঠ ভরি– খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা উৎসর্জন করি।

Facebook
Twitter
More Quotes
চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি। – ক্ষণা
হে দুর্দম, হে নিশ্চিত, হে নূতন, নিষ্ঠুর নূতন, সহজ প্রবল, জীর্ণ পুষ্পদল যথা ধ্বংস ভ্রংশ করি চতুর্দিকে বাহিরায় ফল, পুরাতন পর্ণপুট দীর্ণ করি বিকীর্ণ করিয়া অপূর্ব আকারে তেমনি সবলে তুমি পরিপূর্ণ হয়েছ প্রকাশ– প্রণমি তোমারে।
চৈতে গিমা তিতা বৈশাখে নালিতা মিঠা জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা আশ্বিনে শশা মিঠা কার্তিকে খৈলসার ঝোল অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি মাঘে তেল ফাল্গুনে পাকা বেল। - ক্ষণা
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে। – ক্ষণা
বৈশাখ এলো ক্ষিপ্ত বেগে সিঁদুর মেঘের গায়, বৈশাখ এলো উগ্রতা নিয়ে কৃসনো মেঘের নায়! বৈশাখ এলো কাল বৈশাখীর হাওয়ায়-হাওয়ায় ধেয়ে, বৈশাখ এলো বাউলের বেশে বৈশাখী গান গেয়ে ! উচ্ছ্বাসের এই দিনে নবীন ছড়াও প্রেমের বার্তা, তোমরা জাতির ধরবে হাল আর হবে দেশের কর্তা ! শোষণ যুলুম রুখে দাড়াও তাড়াও দুখের দিন, সব বেদনা ভুলে বাজাও হেথায় সুখের বীণ! এদেশ আমার জন্মভূমি এদেশ আমার প্রাণ, কাঁদলে কেউ দুখে পড়ে হৃদয় সুতোয় টান! পুরোনো সব দুঃখ ভুলে ফিরে এলো প্রহেলা বৈশাখ, সব ভেদাবেদ ভুলে বাজাও ন্যায় শাসনের হর্ষ!
কাল-বৈশাখী আসেনি হেথায়, আসিলে মোদের তরু-শিরে সিন্ধু-শকুন বসিত না আসি ভিড় করে আজ নদীতীরে। জানি না কবে সে আসিবে ঝড় ধূলায় লুটাবে শত্রুগড়, আজিও মোদের কাটেনি ক’ শীত, আসেনি ফাগুন বন ঘিরে। আজিও বলির কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়া উঠেনি মন্দিরে। জাগেনি রুদ্র, জাগিয়াছে শুধু অন্ধকারের প্রমথ-দল, ললাট-অগ্নি নিবেছে শিবের ঝরিয়া জটার গঙ্গাজল। জাগেনি শিবানী- জাগিয়াছে শিবা, আঁধার সৃষ্টি- আসেনি ক’ দিবা, এরি মাঝে হায়, কাল-বৈশাখী স্বপ্ন দেখিলে কে তোরা বল। আসে যদি ঝড়, আসুক, কুলোর বাতাস কে দিবি অগ্রে চল।
বছর ঘুরে এলো আবার পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী তাই সেজেছে আজ নববর্ষের সাজ! জাতিভেদ ভুলে গিয়ে এক কাতারে তারা বর্ষবরনের আনন্দে হয়েছে দিশেহারা! পান্তা ইলিশ, পিঠাপুলি আর বৈশাখী মেলায় নাচে গানে উল্লাসে মঙ্গল শোভাযাত্রায়, হাল খাতার রঙে রঙিন বাজারে দোকান একই কন্ঠে তারাও গাইছে সাম্য মৈত্রের গান! এসো তাই ভুলে যাই জাতি বর্ণ বিদ্বেষ, সারা বছর মিলেমিশে থাকবো মোরা বেশ!
পহেল বৈশাখের নতুন প্রভাতে পাখিরা গাইছে গান, আপন বেগে বহিছে নদী শোন নদীর কলতান! প্রভাতে সোনার বরণ রবি উঠিয়াছে পূর্ব গগনে, মাধবী, মালতী, টগর, করবী ফুটিয়াছে বনে বনে! ফুলে ফুলে উড়ে প্রজাপতি সমীরণ সৌরভ ছড়ায়, মাতিয়া উঠে সবাকার প্রাণ খুশিতে হৃদয় ভরে যায়! পহেলা বৈশাখের এই নবীন প্রভাতে প্রাণে জাগুক নব নব আশা, পহেলা বৈশাখের আজিকে সবাই নিও মোর প্রীতি ও ভালবাসা!
নবাঙ্কুর ইক্ষুবনে এখনো ঝরিছে বৃষ্টিধারা বিশ্রামবিহীন, মেঘের অন্তর-পথে অন্ধকার হতে অন্ধকারে চলে গেল দিন। শান্ত ঝড়ে, ঝিল্লিরবে, ধরণীর স্নিগ্ধ গন্ধোচ্ছ্বাসে, মুক্ত বাতায়নে বৎসরের শেষ গান সাঙ্গ করি দিনু অঞ্জলিয়া নিশীথগগনে।