Quotes

Total 58958 Quotes
photo
ভেবে দেখো মন, কেউ কারো নয়। মিছে ফেরো ভূমন্ডলে। দিন দু-দিনের জন্য ভবে, ‘কর্তা’ বোলে সবাই বলে। আবার সে ‘কর্তারে দেবে ফেলে। কালা কালের কর্তা এলে। যার জন্য মরো ভেবে, সে কি সঙ্গে যাবে চলে?
― Ramprasad Sen
ভূমন্ডল দিন কর্তা সঙ্গ
photo
অপার সংসার, নাহি পারাপার, ভরসা শ্রীপদ, সঙ্গের সম্পদ, বিপদে তারিণী করোগো নিস্তার। এ ভব বন্ধন করো বিমোচন, মা বিনে তারিণী কারে দিব ভার।
― Ramprasad Sen
সংসার ভরসা শ্রীপদ সম্পদ
photo
জ্ঞানাগ্নি জ্বালিয়া কেন ব্রহ্মময়ীর রূপ দেখ না! সাকারে সাযুজ্য হবে নির্বাণে কী গুণ বলো না। কালী যার হৃদে জাগে, তর্ক তার লাগে কোথা?যে যে ভাবের বিষয়, ভাব ব্যতীত অভাবে কি ধরতে পারে! ত্যাজিব সব ভেদাভেদ ঘুচে যাবে মনের খেদ মা বিরাজে সর্বঘটে, তারা আমার নিরাকার।
― Ramprasad Sen
জ্ঞান ব্রহ্ম তর্ক ত্যাজি
photo
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী ‘পরে, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে
― Kamini Roy
বিব্রত অবনী মোরা রহিত
photo
নানাসাহেব, তাঁতিয়াটোপি, বাঁসির রাণী লক্ষ্মী, এঁদের নামে, দৃপ্ত কিশোর, খুলবে তোমার চোখ কি
― Sukanta Bhattacharya
তাঁতিয়াটোপি লক্ষ্মী কিশোর চোখ
photo
বলতে পারো ধনীর মুখে যারা যোগায় খাদ্য, ধনীর পায়ের তলায় কেন থাকতে তারা বাধ্য? ‘হিং-টিং-ছট’ প্রশ্ন এসব, মাথায় মধ্যে কামড়ায়, বড়লোকের ঢাক তৈরি গরীব লোকের চামড়ায়।
― Sukanta Bhattacharya
ধনী খাদ্য বড়লোক চামড়া
photo
আমার মৃত্যুর পর, জীবনের যত অনাদর- লাঞ্ছনার বেদনায়, স্পষ্ট হবে প্রত্যেক অন্তর
― Sukanta Bhattacharya
মৃত্যু জীবন লাঞ্ছনা বেদনা
photo
লাল আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দিগন্ত থেকে দিগন্তে, কী হবে আর কুকুরের মতো বেঁচে থাকায়? কতদিন তুষ্ট থাকবে আর অপরের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট হাড়ে
― Sukanta Bhattacharya
আগুন দিগন্ত কুকুর লাল
photo
ততদিন প্রাণ দেব শক্রর হাতে, মুক্তির ফুল ফুটবে সে সংঘাতে। ইতিহাস! নেই অমরত্বের লোভ, আজ রেখে যাই আজকের বিক্ষোভ॥
― Sukanta Bhattacharya
প্রাণ শক্র সংঘাত ইতিহাস
photo
বাঁচাব দেশ, আমার দেশ, হানবো প্রতিপক্ষ, এ জনতার অন্ধ চোখে আনবো দৃঢ় লক্ষ্য। বাইরে নয় ঘরেও আজ মৃত্যু ঢ’লে বৈরী, এদেশে জন-বাহিনী তাই নিমেষে হয় তৈরী
― Sukanta Bhattacharya
দেশ প্রতিপক্ষ মৃত্যু বাহিনী
photo
অনেক স্তব্ধ দিনের এপারে চকিত চতুর্দিক, আজো বেঁচে আছি, মৃত্যুতাড়িত আজো বেঁচে আছি ঠিক।
― Sukanta Bhattacharya
স্তব্ধ চতুর্দিক মৃত্যু চকিত
photo
আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি না: তবু জেনো মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ— বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস; আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি।
― Sukanta Bhattacharya
নগণ্য উচ্ছ্বাস কাঠি চোখ
photo
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি— নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
― Sukanta Bhattacharya
দেহ প্রাণ পৃথিবীর জঞ্জাল
photo
চাঁদের স্বপ্নে ধুয়ে গেছে মন যে সব দিনে, তাদের আজকে শত্রু বলেই নিয়েছি চিনে, হীন র্স্পধারা ধূর্তের মতো শক্তিশেলে— ছিনিয়ে আমায় নিতে পারে আজো সুযোগ পেলে তাই সতর্ক হয়েছি মনকে রাখি নি ঋণে।
― Sukanta Bhattacharya
চাঁদ স্বপ্ন শত্রু শক্তি
photo
বন্ধু, আজকে বিদায়! দেখেছ উঠল যে হাওয়া ঝোড়ো, ঠিকানা রইল, এবার মুক্ত স্বদেশেই দেখা ক’রো॥
― Sukanta Bhattacharya
বন্ধু বিদায় ঠিকানা স্বদেশ
photo
এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয় পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে, এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়— এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।
― Sukanta Bhattacharya
ভীরু কাপুরুষ পথ দেশ
photo
ক্ষুধিত প্রাণের অক্ষরে লেখা, “প্রবেশ নিষেধ, এখানে সবাই ভুলেছে দ্বন্দ্ব, ভুলেছে বিভেদ।” দুর্ভিক্ষ ও শত্রুর শেষ হবে যুগপৎ, শোণিত ধারার উষ্ণ ঐক্যে ঘনায় বিপদ॥
― Sukanta Bhattacharya
প্রাণ বিভেদ শত্রু উষ্ণ
photo
জাগবার দিন আজ, দুর্দিন চুপি চুপি আসছে; যাদের চোখেতে আজো স্বপ্নের ছায়া ছবি ভাসছে— তাদেরই যে দুর্দিন পরিণাম আরো বেশী জানবে, মৃত্যুর সঙ্গীন তাদেরই বুকেতে শেল হানবে।
― Sukanta Bhattacharya
স্বপ্ন ছায়া মৃত্যু সঙ্গীন
photo
নাগ’ যদি ‘নাগা’ হয়, ‘সেন’ হয় ‘সেনা, বড়ই কঠিন হবে মেয়েদের চেনা॥
― Sukanta Bhattacharya
নাগ নাগা কঠিন মেয়ে
photo
শিক্ষার মধ্যে তিনটি স্তর বা ধারা আছে। প্রথম বিষয় অধিকার ও দ্বিতীয়, বৃত্তির চর্চা, আর তৃতীয়, মনের গড়ন ঠিক করা, সামর্থ্য বাড়ান। প্রথম হইতেছে বিশেষ বিশেষ বিদ্যায় পারদর্শী হওয়া, তৎসম্বন্ধে যত তত্ত্ব ও তথ্য আছে তাহা জানা যা আবিষ্কার করা। দ্বিতীয় হইতেছে মনের বিশেষ বিশেষ বৃত্তিকে মাজিয়া ঘষিয়া তীক্ষ্ণ ও পুরিপুষ্ট করিয়া তোলা—যেমন স্মৃতির শক্তি অথবা বিচার-বিতর্কের শক্তি অথবা সাজাইয়া গুজাইয়া ধরিবার শক্তি।
― Bishnu Dey
শিক্ষা বিষয় বৃত্তি সামর্থ্য