Caption
Home
On This Day
People
Quotes
Hindi Quotes
Blogs
Search
Caption
People
Quotes
Blogs
Home
On This Day
People
Quotes
Hindi Quotes
Blogs
Quotes
Total 20 Quotes
Search
সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি, বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা : নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; ফিরে এসো হৃদয়ে আমার; দূর থেকে দূরে - আরও দূরে যুবকের সাথে তুমি যেয়ো নাকো আর। - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
কথা
যুবক
নক্ষত্র
রাত
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁলছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হব কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে; আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
কুয়াশা
একদিন
নদী
মাঠ
জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না : আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতেনক্ষত্রের নিচে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
জীবন
সফলতা
প্রয়োজন
মানুষ
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
আমি
জীবন
অপেক্ষা
অবসর
অধ্যাপক, দাঁত নেই—চোখে তার অক্ষম পিঁচুটি; বেতন হাজার টাকা মাসে—আর হাজার দেড়েক পাওয়া যায় মৃত সব কবিদের মাংস কৃমি খুঁটি; যদিও সে সব কবি ক্ষুধা প্রেম আগুনের সেঁক চেয়েছিলো—হাঙরের ঢেউয়ে খেয়েছিলো লুটোপুটি - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
হাজার
প্রেম
আগুন
মাংস
বরং নিজেই তুমি লেখো নাকো একটি কবিতা—' বলিলাম ম্লান হেসে; ছায়াপিণ্ড দিলো না উত্তর; বুঝিলাম সে তো কবি নয়— সে যে আরূঢ় ভণিতা: পাণ্ডুলিপি, ভাষ্য, টীকা, কালি আর কলমের 'পর ব’সে আছে সিংহাসনে—কবি নয়—অজর, অক্ষর - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
তুমি
কবিতা
উত্তর
সিংহাসন
আমরা দেখেছি যারা নিবিড় বটের নিচে লাল লাল ফল পড়ে আছে; নির্জন মাঠের ভিড় মুখ দেখে নদীর ভিতরে; যত নীল আকাশেরা রয়ে গেছে খুঁজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল; পথে পথে দেখিয়াছি মৃদু চোখ ছায়া ফেলে পৃথিবীর পরে আমরা দেখেছি যারা শুপুরির সারি বেয়ে সন্ধ্যা আসে রোজ, প্রতিদিন ভোর আসে ধানের গুচ্ছের মতো সবুজ সহজ - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
নিবিড়
মাঠ
আকাশ
পৃথিবী
তবু তোমাকে ভালোবেসে মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে বুঝেছি অকূলে জেগে রয় ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে যেখানেই রাখি এ হৃদয় - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
ভালোবেসে
ঘড়ি
সময়
আমরা মৃত্যুর আগে কী বুঝিতে চাই আর? জানি না কি আহা, সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে ধূসর মৃত্যুর মুখ — একদিন পৃথিবীতে স্বপ্ন ছিল — সোনা ছিল যাহা নিরুত্তর শান্তি পায় — যেন কোন্ মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে। কী বুঝিতে চাই আর? রৌদ্র নিভে গেলে পাখিপাখলির ডাক শুনি নি কি? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখি নি কি উড়ে গেছে কাক - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
মৃত্যু
পৃথিবী
মায়াবী
সোনা
আমরা বুঝেছি যারা বহু দিন মাস ঋতু শেষ হলে পর পৃথিবীর সেই কন্যা কাছে এসে অন্ধকারে নদীদের কথা কয়ে গেছে আমরা বুঝেছি যারা পথ ঘাট মাঠের ভিতর আরো এক আলো আছে: দেহে তার বিকাল বেলার ধুসরতা: চোখের — দেখার হাত ছেড়ে দিয়ে সেই আলো হয়ে আছে স্থির; পৃথিবীর কঙ্কাবতী ভেসে গিয়ে সেইখানে পায় ম্লান ধূপের শরীর - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
মাংস
পৃথিবী
বিকাল
আলো
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
মুখ
পৃথিবী
খুঁজি
মিনারের মতো মেঘ সোনালি চিলেরে তার জানালায় ডাকে, বেতের লতার নিচে চড়য়ের ডিম যেন শক্ত হয়ে আছে, নমর জলের গন্ধ দিয়ে নদী বারবার তীরটিরে মাখে, খড়ের চালের ছায়া গাঢ় রাতে জোছনার উঠানে পড়িয়াছে; বাতাসে ঝিঁঝির গন্ধ — বৈশাখের প্রান্তরের সবুজ বাতাসে; নীলাভ নোনার বুকে ঘর রস গাঢ় আকাঙক্ষায় নেমে আসে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
জানালা
জল
বাতাস
সবুজ
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হয়েছে হলুদ হিজলের জানালায় আলো আর বুলবুলি করিয়াছে খেলা, ইঁদুর শীতের রাতে রেশমের মতো রোমে মাখিয়াছে খুদ, চালের ধূসর গন্ধে তরঙ্গেরা রূপ হয়ে ঝরেছে দু — বেলা নির্জন মাছের চোখে — পুকুরের পাড়ে হাঁস সন্ধ্যার আঁধারে পেয়েছে ঘুমের ঘ্রাণ — মেয়েলি হাতের স্পর্শ লয়ে গেছে তারে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
সবুজ
অন্ধকার
শীত
পাতা
আমরা দেখেছি যারা বুনো হাঁস শিকারীর গুলির আঘাত এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তের নম্্র নীল জোছনার ভিতরে, আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের পরে হাত, সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে; শিশুর মুখের গন্ধ, ঘাস, রোদ, মাছরাঙা, নক্ষত্র, আকাশ আমরা পেয়েছি যারা ঘুরে — ফিরে ইহাদের চিহ্ন বারোমাস - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
শিকারী
জোছনা
সন্ধ্যা
আকাশ
আমরা বেসেছি যারা অন্ধকারে দীর্ঘ শীতরাত্রিটিরে ভালো, খড়ের চালের পরে শুনিয়াছি মুগ্ধ রাতে ডানার সঞ্চার; পুরোনা পেঁচার ঘ্রাণ — অন্ধকারে আবার সে কোথায় হারালো! বুঝেছি শীতের রাত অপরূপ — মাঠে মাঠে ডানা ভাসাবার গভীর আহ্লাদে ভরা; অশত্থের ডালে ডালে ডাকিয়াছে বক; আমরা বুঝেছি যারা জীবনের এই সব নিভৃত কুহক - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
অন্ধকার
মাঠ
জীবন
রাত
আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
অন্ধকার
চাঁদ
ফসল
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে; পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে; পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু'জনার মনে; আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
পৃথিবী
আকাশ
শান্তি
রূপ
মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা স্যানালের মুখ; উড়ুক উড়ুক তারা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়ুক কল্পনার হাঁস সব — পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেল পর উড়ুক উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জোছনার ভিতর - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
মনে
পৃথিবী
জোছনা
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে, জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে বুনো হাঁস পাখা মেলে — শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার; এক —দুই —তিন —চার —অজস্র —অপার I - জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
পেঁচা
নক্ষত্র
মাঠ
শব্দ
আরম্ভ হয় না কিছু — সমস্তের তবু শেষ হয় — কীট যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবীর ধুলো মাটি ঘাসে তারও বড় ব্যর্থতার সাথে রোজ হয় পরিচয়! যা হয়েছে শেষ হয়; শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয়! -জীবনানন্দ দাশ
বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি
পৃথিবী
মাটি
শেষ
ব্যর্থতা