তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো, সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না - আজ সারাদিন বিষাদপর্ব,সারাদিন তুষারপাত... মন ভালো নেই, মন ভালো নেই

---

আমার কবিতা যেন শুধু পঙক্তি না হয়, যেন সেটা কারো একাকীত্বে আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায়।

---

কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল; তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকুভরসা পেলে অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর, ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাতালপুরীতে কিংবা বোমারু বিমান ওড়া শঙ্কিত শহরে

---

আমি নিঃসঙ্গতা ভালোবাসি, কারণ সেখানে আমি নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠি।

---

টেলিফোন ঘোরাতে ঘোরাতে আমি ক্লান্ত ডাকতে ডাকতে একশেষ; কেউ ডাক শোনে না, কেউ ফিরে তাকায় না এই হিমঘরে ভাঙ্গা চেয়ারে একা বসে আছি। এ কী শাস্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো ঈশর, এভাবে দগ্ধ হওয়ার নাম কি বেঁচে থাকা

---

কাগজ আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ প্রেমের কবিতা লিখে রেখেছে আকাশে। সেই ভালোবাসার কবিতা এই বৃষ্টি, এই ভরা বর্ষা

---

এভাবেই সম্পূর্ণ আড়ষ্ট হয়ে পড়ি ; তোমাকে ছাড়াতে গেলে আরো ক্রমশ জড়িয়ে যাই আমি, আমার কিছুই আর করার থাকে না। তুমি এভাবেই বেঁধে ফেলো যদি দূরে যেতে চাই যদি ডুবে যেতে চাই,,তুমি দুহাতে জাগাও,, এমন সাধ্য কি আছে তোমার চোখের সামান্য আড়াল হই,দুই হাত দূরে যাই,যেখানেই যেতে চাই,সেখানেই বিছিয়ে রেখেছো ডালপালা,, তোমাকে কি অতিক্রম করা কখনো সম্ভব!!

---

এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে কতোকাল, আর কতোকাল! আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি, উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্ত কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই, শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি

---

জীবন এক বিশাল কবিতা, আর আমরা তার প্রতিটি লাইনে কষ্ট, প্রেম আর আশা খুঁজে বেড়াই।

---

কবিতার প্রিয় পান্ডুলিপি জুড়ে হঠাৎ কেমন ধূসর কুয়াশা নেমে আসে, প্রেমিকার উষ্ণ হাত মনে হয় যেন নিরুত্তাপ, অনুভূতিহীন এ কী শীমপ্রাসাদে আবার জমে বরফের স্তুপ।

---