#Quote

যারা গভীরভাবে প্রেমে পড়েন তারা ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যৌন কামনা বোধ করেন। এক্ষেত্রে কিছু আবেগগত উৎকণ্ঠাও কাজ করে। এর সঙ্গে থাকে অধিকারপ্রবণতা, একচেটিয়া যৌন অধিকার স্থাপন এবং যৌন অবিশ্বস্তার সন্দেহ সৃষ্টি হলে চরম ঈর্ষাকাতরতাও কাজ করে। মানুষের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতাগুলো কাজ করে যাতে করে তার সন্তান গর্ভধারণ করা পর্যন্ত তার সঙ্গিনী অন্য পাণিপ্রার্থীদের দূরে সরিয়ে রাখে।

Facebook
Twitter
More Quotes
অন্য কারো সঙ্গে বিদ্বেষের ফলে যদি আপনার ভালোলাগার মানুষটির সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাহলে আপনি নিশ্চিত তার প্রেমে পড়েছেন।
তারা আবেগগতভাবে তাদের ভালোবাসার মানুষটির ওপর নির্ভরশীলও হয়ে পড়েন। এর মধ্যে থাকে সব সময় আগলে রাখার প্রবণতা, ঈর্ষা, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয় এবং বিচ্ছেদের ভয়।
আপনি যখন প্রেমে পড়বেন তখন আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপনার কাছে অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে মনে হবে। মূলত মস্তিষ্কে ব্যাপকহারে ডোপামিন নিঃসরণের ফলে এই একক মানসিকতার সৃষ্টি হয়। এই রাসায়নিক পদার্থটি মনোযোগ বাড়ানো এবং কেন্দ্রীভুত করার ক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করে। আর একারণেই ভালোবাসার মানুষটির প্রতি এমন একক মানসিকতা বা অনুভূতি তৈরি হয়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার মধ্যে কোনও রকম যৌন চাহিদা ছাড়াই নিছক বন্ধুত্ব অত্যন্ত বিরল। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে সাধারণ বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও ৮৮ শতাংশ পুরুষ তাদের বান্ধবীদের প্রতি শারীরিকভাবে আকৃষ্ট।
প্রেমে পড়লে আপনি পোশাক-আশাক, আচার-ব্যবহার এবং দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর ক্ষেত্রে আপনার ভালোবাসার মানুষটির পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দিতে শুরু করবেন।
প্রেমে পড়লে অনেক সময় আবেগগত এবং শারীরবৃত্তীয় অস্থিরতা তৈরি হয়। এর ফলে আপনার মধ্যে উল্লাস, প্রাণচাঞ্চল্য, অতি উদ্যম, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য, কম্পন, হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া এবং সামান্যতম বিপত্তিতে উদ্বেগ, আতঙ্ক ও হতাশার অনুভূতি দেখা দিবে। অনেকটা মাদকাসক্তদের মতো অবস্থা তৈরি হবে। মাদক সেবন করলে মস্তিষ্কের যে অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রেমে পড়ার পর ভালোবাসার মানুষটিকে দেখলেও ঠিক একই অংশ উত্তেজিত হয়। গবেষকদের মতে প্রেমে পড়াটাও এক ধরনের আসক্তির মতো!
যারা সত্যিকার অর্থেই প্রেমে পড়েন তারা তাদের ভালোবাসার মানুষটির ইতিবাচক গুনাবলীর ওপরই বেশি মনোযোগ দেন। নেতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করেন এবং তাকে যথাযথ বা নিখুঁত ভাবতে থাকেন। এছাড়া ভালোবাসার মানুষটির তুচ্ছাতিতু্চ্ছ বিষয়গুলোও মনে রাখেন। ডোপামিনের পাশাপাশি নরপিনারফ্রিন নামের রাসায়নিক নিঃসরণের ফলে এই স্মৃতি স্থায়ী হওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে!
ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে আমৃত্যু একত্রে থাকার ইচ্ছা জাগে। সারাক্ষণ শুধু ভালোবাসার মানুষটির আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার এবং তার সঙ্গে ভবিষ্যত কল্পনা কাজ করে। এমনকি তাকে ছাড়া বাঁচা অসম্ভব বলে মনে হয়।
যারা প্রেমে পড়েছেন তারা জানিয়েছেন, তারা তাদের জেগে থাকার ৮৫% সময় ভালোবাসার মানুষটির চিন্তায় কাটিয়ে দিয়েছেন। এর জন্য দায়ী মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক নিঃসরণ।
পশুপাখির যৌন ব্যাপারের মতোই মানুষেরও যৌন ব্যাপার নিজেদের নতুন করে সৃষ্টি করা আর বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাওয়া। মানুষের যৌন ব্যাপারে আরেকটা বাড়তি বাস্তব ব্যাপার আছে প্রেম। কাব্য সাহিত্যে ফেনিয়ে ফাঁপিয়ে রঙ দিয়ে এই বাস্তব রহস্যটাই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হয়ে আসছে। ফেনা আর রঙ ব্যাখ্যা করে বাতিল করে যৌনবিজ্ঞান প্রেমের মানে বোঝাতে চেয়ে পারেনি। শরীরবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, যৌনবিজ্ঞান, প্রেমের এদিক ওদিকে সেদিকটা বুঝিয়েছে, প্রেমকে বোঝাতে পারেনি।