#Quote
More Quotes by Tajuddin Ahmad
মাটি আর মানুষ নিয়ে দেশ-বাংলাদেশ এখন সার্বভৌম, তার মাটি এখন কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কিন্তু মানুষ না থাকলে কাকে নিয়ে রাজনীতি এবং কার জন্যেই বা রাজনীতি। মানুষ যখন মরে যাচ্ছে তখন নিরব দর্শক হয়ে বসে থাকা যায় না।
যত সুন্দর ভাষা ও শব্দ দিয়ে সংবিধান লেখা হোক না কেন, জাতির জীবনে তা প্রয়োগ না হলে সেটা অর্থহীন হয়ে পড়বে। - তাজউদ্দীন আহমদ
আমাদের বুদ্ধিজীবীরা দেশের সত্যিকার সমস্যা তুলে ধরবেন এবং সমাধানের ইঙ্গিত প্রদর্শন করবেন,এটাই কামনা করি। অন্ধভাবে আমাদের শুধু প্রশংসা করলেই চলবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
বাংলাদেশের নিরন্ন দুঃখী মানুষের জন্যে রচিত হোক এক নতুন পৃথিবী যেখানে মানুষ মানুষকে শোষণ করবে না। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক ক্ষুধা, রোগ, বেকারত্ব আর অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে মুক্তি। এই পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত হোক সাড়ে সাত কোটি বীর বাঙালী ভাই-বোনের সম্মিলিত মনোবল ও অসীম শক্তি। যারা আজ রক্ত দিয়ে উর্বর করছে বাংলাদেশের মাটি, যেখানে উৎকর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন মানুষ, তাদের রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটি থেকে গড়ে উঠুক নতুন গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা; গণ-মানুষের কল্যাণে সাম্য আর সুবিচারের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা হোক, ‘জয় বাংলা’, জয় স্বাধীন বাংলাদেশ
আমাদের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে আমাদের স্থির বিশ্বাস। কারণ প্রতিদিনই আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে এবং আমাদের এ সংগ্রাম পৃথিবীর স্বীকৃতি পাচ্ছে।
সত্য কথা বলতে বলতে নিজের গর্দান যাওয়ার পর্যায়ে এসেছি। কিন্তু এতে আমি ভীত নই। মরন আসার আগে কেউই মারতে পারবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যারা বড় বড় কথা বলেন, দুর্নীতিবাজ ধরা পড়লে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের অনেকেই ওকালতি করে। এমনিভাবে প্রত্যেক দুর্নীতিপরায়ণই যদি কারো না কারো ভাই ও খালু হয়, তাহলে সরকার কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? - তাজউদ্দীন আহমদ
বক্তৃতা কমাতে হবে। এখন ভেবে দেখতে হবে বক্তৃতায় যা বলা হয়েছে তা করা হয়েছে কিনা। - তাজউদ্দীন আহমদ
১৯৭১ সালে আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন যুদ্ধ করতে হয়েছিল তেমনি কূটনৈতিক ফ্রন্টেও যুদ্ধ করতে হয়েছিল আমাদের। প্রশিক্ষণ কর্মসুচি শেষ করার লক্ষ্য ছিল নভেম্বর মাস। কেননা আমি জানতাম বাংলাদেশে বর্ষাকালে পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের পরাস্ত না করতে পারলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সফলকাম হবে না এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাও আসবে না। এছাড়া আরও বুঝেছিলাম যে ঐ সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে না যাওয়া হলে মার্কিনীরা তার সুযোগ নেবে এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধকে নিয়ে আসবে বাংলার মাটিতে। কেননা আমেরিকাকে ভিয়েতনাম থেকে সরতেই হবে। আর এ সম্পর্কে আমরা খুবই হুঁশিয়ার ছিলাম।
স্বাধীনতার জন্যে আমরা যে মুল্য দিয়েছি তা কোন বিদেশি রাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্র হবার জন্য নয়।