#Quote
More Quotes by Shamsur Rahman
প্রত্যাশার বাইরেই ছিল ব্যাপারটি। রোজকার মতোই টেবিল ঘেঁষে পুরোনো চেয়ারে আরামে ছিলাম বসে, ঘড়িতে তখন আমি কি না-লেখা কোনও কবিতার পঙ্ক্তি মনে-মনে সৃজনে ছিলাম মগ্ন? একটি কি দুটি শব্দ হয়তো-বা ভেসে উঠছিল আমার মানস-হ্রদে। আচমকা চোখে পড়ে ঘরে একটি প্রজাপতির চঞ্চলতা।
ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান চেয়ে থাকে নিষ্পলক,তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।
কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি। সেই কবে শিশু রাতে ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।
কতো নোংরা হাতের হিংশ্রতা ধেয়ে আসে। এখন তোমাকে নিয়ে খেঙরার নোংরামি, এখন তোমাকে ঘিরে খিস্তি-খেউড়ের পৌষমাস ! তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো, বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি তোমাদের আজ বড়ো ঈর্ষা করি | তোমরা সুন্দর জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও, কখনো সেজন্য নয় | ভালো খাওদাও ফুর্তি করো সবান্ধব, সেজন্যেও নয়।
যুদ্ধের বিপক্ষে আমি, আজীবন শান্তিপ্রিয়, আজন্ম যুদ্ধকে করি ঘৃণা
তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা, অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।
অম্লীল মানুষের শরীরের কোনো জিনিসই না৷ ওটা কীভাবে ব্যবহৃত হবে সেটা হলো অশ্লীল।
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ? আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
জীর্ণ দেয়ালের কানে বলি ; দেয়াল আমাকে তুমি একটি কবিতা দিতে পারো ? পুরোনো দেয়াল বলে শ্যাওলা-ঢাকা স্বরে, এই ইঁট সুরকির ভেতর যদি নিজেকে গুঁড়িয়ে দাও, তবে হয়তো বা পেয়ে যাবে একটি কবিতা !