#Quote
More Quotes by Shamsur Rahman
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি তোমাদের আজ বড়ো ঈর্ষা করি | তোমরা সুন্দর জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও, কখনো সেজন্য নয় | ভালো খাওদাও ফুর্তি করো সবান্ধব, সেজন্যেও নয়।
অম্লীল মানুষের শরীরের কোনো জিনিসই না৷ ওটা কীভাবে ব্যবহৃত হবে সেটা হলো অশ্লীল।
যুদ্ধের বিপক্ষে আমি, আজীবন শান্তিপ্রিয়, আজন্ম যুদ্ধকে করি ঘৃণা
স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার। স্বাধীনতা তুমি মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী। স্বাধীনতা তুমি অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক। স্বাধীনতা তুমি বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ। স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ৷
কতো নোংরা হাতের হিংশ্রতা ধেয়ে আসে। এখন তোমাকে নিয়ে খেঙরার নোংরামি, এখন তোমাকে ঘিরে খিস্তি-খেউড়ের পৌষমাস ! তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো, বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।
আমি যাচ্ছি চলে, কোনো দিন হয়তো আর আসবো না। তবে যেটুকু নিয়ে গেলাম, তার প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।
শহরের আনাচে কানাচে প্রতিটি রাস্তায় অলিতে গলিতে রঙিন সাইনবোর্ডে, প্রত্যেক বাড়িতে স্বাধীনতা নামক শব্দটি লিখে দিতে চাই বিশাল অক্ষরে স্বাধীনতা শব্দ এত প্রিয় যে আমার কখনো জানি নি আগে।
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক ; আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।
প্রত্যাশার বাইরেই ছিল ব্যাপারটি। রোজকার মতোই টেবিল ঘেঁষে পুরোনো চেয়ারে আরামে ছিলাম বসে, ঘড়িতে তখন আমি কি না-লেখা কোনও কবিতার পঙ্ক্তি মনে-মনে সৃজনে ছিলাম মগ্ন? একটি কি দুটি শব্দ হয়তো-বা ভেসে উঠছিল আমার মানস-হ্রদে। আচমকা চোখে পড়ে ঘরে একটি প্রজাপতির চঞ্চলতা।
ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান চেয়ে থাকে নিষ্পলক,তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।