#Quote
ধর্ম মানুষের উদ্ভবনী শক্তির একটি বিস্ময়কর আবিষ্করণ। ধর্ম মানুষের আত্মার উথলে ওঠার ভাব, বাসনার উচ্ছৃঙ্খলতা, স্পৃহার অজেয়, ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণহীনতা, ভাবনার স্বতন্ত্রতা, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণার বহুবর্ণময়, নানান এক নিয়ম অনুযায়ী ধাপে চালিয়ে নিয়ে গিয়ে যন্ত্র-বিশারদ ক্ষেত্রতত্ত্বতে সীমাবদ্ধ রাখে।
Facebook
Twitter
More Quotes by Ahmed Sharif
এই বিশ্বভবন ব্যাপী আদিম সমাজে মানুষজনের হৃদয়ে ও চিন্তনে, কাজে ও কর্মে পূর্বরাগ পেয়েছে প্রাধান্য। পূর্বরাগের নাম তাই পুরনো রস।
নাগরিক বা জনসাধারণকে শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে বানিয়ে তোলার মধ্য দিয়েই একমাত্র সম্ভব সাম্প্রদায়িকতার ও হিংসার বিষদাঁত ভেঙে ফেলা।
দেশপ্রেমের পরিমাণ অনেক বেশি গভীর হলেই, নিজের জীবনের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করা যায়।
পূর্বপুরুষদের অর্থ সম্পদে যে ব্যাক্তি ধনী, সেই ব্যক্তির অর্থ সম্পদে অনুন্নতি আছে উন্নতি নেই। নিজের অর্জন করা সম্পদে মান ও মর্যাদা আছে, সম্মান আছে, আছে লাবণ্য।
সমস্ত ধরনের খুন করা নিঃসন্দেহে খুবই নিন্দনীয়। কিন্তু ধর্মের নামে, বর্ণের নামে, গোত্রের নামে, সাম্প্রদায়ের নামে মানুষকে খুন করা সবচেয়ে ঘৃণিত।
মানুষ একাকী থাকতে এবং কেবলমাত্র নিজের জন্য বাঁচতে পারে না। অপরের জন্য বাঁচতেই মানুষের সুখ এবং সার্থকতা।
নিষ্ঠাহীন আস্তিক হচ্ছে মক্কর ও মোনাফিক। তার থেকে নৈতিক জীবনসমূহ ক্ষতি হয়, কিন্তু নাস্তিকেরা সাধারণত বিবেকবান, বুদ্ধিজীবী, যুক্তিবাদী, কল্যাণকামী ও নৈতিক সাহসে ঋদ্ধ। এজন্য নাস্তিক থেকে নৈতিক বা বৈসয়িক ক্ষতির কোন আশঙ্কা থাকে না।
এই বর্তমান যুগে নিষ্ঠাবান ও ন্যায়পরায়ণ হওয়া খুবই কঠিন। কারণ নিষ্ঠাবান ও ন্যায়পরায়ণ মানুষেরা এই সমাজে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে পরিচিতি লাভ করে থাকে।
ভালোবাসা অথবা যন্ত্রণা, প্রলোভন অথবা পরহিংসা, রাগ অথবা সহনশীলতা, মার্জনা অথবা প্রতিশোধ, বিশ্বস্ততা অথবা কৃতকার্যতা, সমস্তই জীবন্ত কামনা-আকাঙ্খা, কার্যকলাপ ও প্রতিক্রিয়া দেশ বা অঞ্চল ভেদে আলাদা কিন্তু হয় না। মানুষে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মাত্রার পার্থক্য হয় কেবল।
পড়াশুনায় জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, স্বভাব গঠিত হয় না। পুঁথিগত পাঠের প্রভাব বিষয় মূলক কাজের নিপুণতা, হৃদয় ও মানসিক অবস্থার চালিকা শক্তি নয়। পুঁথিগত জ্ঞান যেন জলের মতো পাতলা পদার্থ, যে ভাণ্ডারে নিবিষ্ট হয়ে থাকে, সেই ভাণ্ডারেই আকৃতি পায়, অথবা তা সুলেমানি আংটির মনিবের উদ্দেশ্য পূরণের সাহায্যকারী মাত্র। ব্যক্তিগণ পুঁথিগত বিদ্যার আজ্ঞাবহ হয় না, বিদ্যাকে আজ্ঞাবহ করে বিশেষ লক্ষ বা উদ্দেশ্য সম্পাদনের কাজে লাগায়। এই তরেই জ্ঞান শক্তিমত্তা রীতি নয়।