More Quotes by Ahmed Sharif
যে সমস্ত দেশ বা সমাজে গুণীজনদের অগ্রহ বা সমমান করা হয় না, সে দেশ বা সমাজেতে কিন্তু বেশি গুণীব্যাক্তির জন্মই বিশেষত হতে পারে না।
পীড়নের মাধ্যমে যে প্রশান্ত, আতঙ্ক-ত্রাস, সন্ত্রাস-সংহার মাধ্যমে যে সমাজবদ্ধ-প্রদেশিক প্রশান্তির কথা কিছু অধ্যাত্মবাদী কল্পনা করে থাকে, তা কবরের শান্তিপূর্ণ অবস্থার সাথে উপমেয়
বয়:সন্ধি থেকে মধ্যবয়স্ক বয়স পর্যন্ত ব্যাক্তি মানেই মনে ইচ্ছা বাসনার সহজবোধ্য থেকে কঠিনবোধ্য কার্য চলতে থাকে। কর্মেই ইচ্ছা মানুষের অত্যাধিকতম অধিকার। সে অধিকার মতপ্রকাশ পায় ভালোবাসা-সৌন্দর্য, অনেক সময় অনুভূতি, আদর ও আগ্রহরূপে।
এই অশিক্ষা-কুশিক্ষা, সংস্কার-কুসংস্কার ও ধর্মান্ধ দেশে অনেক বয়স্ক ব্যক্তিত্ব নাবালক থেকে যায়। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অনেকের সাবালকত্ব প্রাপ্তি ঘটে না।
আইনের যদি নিজের শাসনটাই প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে মানুষ দেশের আইনের উপর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা উভয় হারিয়ে ফেলবে।
যে সামাজিক ক্ষেত্রে ও যে দেশে আইনের নিজস্ব শাসন নেই, যে দেশে আইন কেবল ক্ষমতাশীলদের কথা শুনে, সেদেশে বা সে সমাজে মানবাধিকার পদে পদে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়।
পিতা ও পিতামহাদিদের অঢেল ধন-সম্পত্তির আস্ফালন বর্তমানের ভিক্ষাজীবী বংশধরদের লাভ
ধর্ম খারাপ আত্মাকে করে সংযমন, ভালো আত্মা গুলিকে রাখে সঙ্কুচিত করে, খুশিকে করে দুষ্প্রাপ্য, অসন্তোষ কে করে চিরকাল ধরিয়া, অনুভবকে করে নিরব, দুঃখকে করে দৃষ্টিহীন, উপলব্ধি হয় অবয়বশূন্য আর হয় খুবই কম, শক্তিশালী ও শক্তিহীন, জ্ঞানবান ও অশিক্ষিত, সহায়ক ও দুরন্ত সমভাবেই থাকে।
পড়াশুনায় জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, স্বভাব গঠিত হয় না। পুঁথিগত পাঠের প্রভাব বিষয় মূলক কাজের নিপুণতা, হৃদয় ও মানসিক অবস্থার চালিকা শক্তি নয়। পুঁথিগত জ্ঞান যেন জলের মতো পাতলা পদার্থ, যে ভাণ্ডারে নিবিষ্ট হয়ে থাকে, সেই ভাণ্ডারেই আকৃতি পায়, অথবা তা সুলেমানি আংটির মনিবের উদ্দেশ্য পূরণের সাহায্যকারী মাত্র। ব্যক্তিগণ পুঁথিগত বিদ্যার আজ্ঞাবহ হয় না, বিদ্যাকে আজ্ঞাবহ করে বিশেষ লক্ষ বা উদ্দেশ্য সম্পাদনের কাজে লাগায়। এই তরেই জ্ঞান শক্তিমত্তা রীতি নয়।
অসৎ, অনাচারী, দুর্নীতিপরায়ণ, মিথ্যাবাদী, ধোকাবাজ লোক সত্য আয়নার সম্মুখে দাঁড়াতে ভয় পেয়ে থাকে।