#Quote
More Quotes by Ramprasad Sen
জ্ঞানাগ্নি জ্বালিয়া কেন ব্রহ্মময়ীর রূপ দেখ না! সাকারে সাযুজ্য হবে নির্বাণে কী গুণ বলো না। কালী যার হৃদে জাগে, তর্ক তার লাগে কোথা?যে যে ভাবের বিষয়, ভাব ব্যতীত অভাবে কি ধরতে পারে! ত্যাজিব সব ভেদাভেদ ঘুচে যাবে মনের খেদ মা বিরাজে সর্বঘটে, তারা আমার নিরাকার।
মন কেন তোর ভ্রম গেলো না? ওরে ত্রিভুবন যে মায়ের মূর্তি জেনেও কি মন তা-ই জানো না। জগৎকে পালিছেন যে মা জানো না?
কাজ কী রে মন, যেয়ে কাশী। কালীর চরণ কৈবল্যরাশি। সার্ধ ত্রিশ কোটি তীর্থ, মায়ের ও চরণবাসী। হৃৎকমলে ভাবো বসে, চতুভুজা মুক্তকেশী। রামপ্রসাদ এই ঘরে বসে পাবে কাশী দিবানিশি।
অন্য কে বা জানে তেমন। প্রসাদ ভাষে লোক হাসে। সন্তরণে সিন্ধগমন। আমার প্রাণ বুঝেছে, মন বোঝে না; ধরবে শশী হয়ে বামন! কেবল আসার আসা, ভাবে আসা, আসা মাত্র হলো। রামপ্রসাদ বলে ভবের খেলায়, যা হবার তা-ই হলো। এখন সন্ধ্যা বেলায় কোলের ছেলে, ঘরে নিয়ে চলো ৷
ও মন, ভাবো শক্তি, পাবে মুক্তি। বাঁধো দিয়ে ভক্তি দড়া। নয় বা থাকতে না দেখলো মন, কেমন তোমার কপালপোড়া। যে-ই ধ্যানে (থাকে) এক মনে, সে-ই পাবে না তোমায় তাড়াতাড়ি।
অপার সংসার, নাহি পারাপার, ভরসা শ্রীপদ, সঙ্গের সম্পদ, বিপদে তারিণী করোগো নিস্তার। এ ভব বন্ধন করো বিমোচন, মা বিনে তারিণী কারে দিব ভার।
ওরে, সকলের মূল ভক্তি। মুক্তি হয় তার দাসী। নির্বাণে কী আছে ফল, জলেতে মিশায় জল। ওরে চিনি হওয়া ভালো নয়, চিনি খেতে ভালোবাসি।
তোমার কে মা বুঝবে লীলে তুমি কি নিলে, কী ফিরিয়ে দিলে। তুমি দিয়ে, নিচ্ছে। তুমি বাছ রাখো না সাঁঝ সকালে। তোমার অসীম কার্য – অনিবার্য। মাপাও যেমন যার কপালে।
তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে, শিব যুক্তি মতন চাইলে। কামাদি ছয় কুম্ভীর আছে, আহার লোভে সদাই চলে। তুমি বিবেক – হদি গায়ে মেখে যাও;ছোঁবে না তার গন্ধ পেলে। রতন-মাণিক্য কত পড়ে আছে সেই জলে। রামপ্রসাদ বলে, ঝাঁপ দিলে মন, মিলবে রতন ফলে ফলে।
অশুচি—শুচিকে লয়ে দিব্য ঘরে কর শোভা। যদি দুই সতীনে পীরিত হয়, তবে শ্যামা মাকে পাবা। ধর্মাধর্ম দুটো অজা তুচ্ছ খোঁটায় বেঁধে থোবা, ওরে জ্ঞান খড়্গগে বলিদান, করিলে কৈবল্য পাবা।