#Quote
More Quotes by Sanjib Chandra Chattopadhyay
স্ত্রীরা কখনােই পােষ মানে না। নিজেকেই পােষ্য করে নিতে হয়। সুখে থাকার কায়দা।
মন হবে দৈত্যের মতাে, পাহাড়ের মতাে, গর্জন গাছের মতাে বিশাল। আর সেই মনকে ধরবার চেষ্টা করবে দেহ। মন বলবে চাঁদ ছোঁও, দেহ ছুঁয়ে আসবে।
জীবন মানেই ঝোড়ো হাওয়া কনক, জীবন মানেই ঝড়। করার কিছু নেই।
আমার বলতে ইচ্ছে করছিল, মুকু, ভালবাসা বোঝো? তারপরেই মনে হল, প্যানপ্যানে শোনাবে। ভালবাসা শব্দটাই ভালবাসার শত্রু। ভালবাসা একটা ভাবমিশ্রিত, সেবা, সাহচর্য, অবস্থিতি, সহ্যশক্তি। হাত ধরে নীরবে হাঁটা। ওটা বোধের ব্যাপার, বলার নয়।
সন্যাসী বলেছিলেন, ‘এখন বুঝবি না, পরে বুঝবি, জন্ম আর মৃত্যু বলে কিছু নেই। আছে গভীর থেকে অগভীরে ভেসে ওঠা। মনে রাখ কথাটা, পরে মিলিয়ে নিস, গভীর থেকে অগভীরে ভেসে ওঠা, আবার গভীরে তলিয়ে যাওয়া।
পুরো ব্যাপারটাই নিখাদএকমাত্র ভেজাল কোনটা ভালোবাসা।পৃথিবীর খাঁটিগাওয়া ঘিয়ের মতোই পুরোটা ভেজাল।
দেহের মাপে মন তৈরি কোরাে না। মনের মাপে দেহ তৈরি কোরাে।
মন বলবে এভারেস্ট ধরাে, দেহ ধরে ফেলবে। দেহ তখন ছ’ফুট নয়, ছ’মাইল, ছ’লক্ষ মাইল।
আমি সিদ্ধান্ত করেছি, আই উইল কমিট সুসাইড। সভাসদরা সমস্বরে বললেন, সেকী? আত্মহত্যা। ইয়েস আত্মহত্যা! দুষ্ট গোরুর চেয়ে, শূন্য গোয়াল ভাল। মাতামহ বললেন, দুষ্ট গোরু তো ও, তুমি কেন গোয়াল শূন্য করে চলে যাবে? এ আবার কেমন বিচার?
যাহার বাটীতে যাইতেছি, তাহার সহিত আমার কথনও চাক্ষুষ হয় নাই। তাহার নাম শুনিয়াছি, সুখ্যাতিও যথেষ্ট শুনিয়াছি ; সজ্জন বলিয়া তাহার প্রশংসা সকলেই করে। কিন্তু সে প্রশংসায় কর্ণপাত বড় করি নাই, কেন না বঙ্গবাসীমাত্রই সজ্জন; বঙ্গে কেবল প্রতিবাসীরাই দুরাত্মা, যাহা নিন্দা শুনা যায় তাহা কেবল প্রতিবাসীর। প্রতিবাসীরা পরশ্রীকাতর, দাম্ভিক, কলহপ্রিয়, লােভী, কৃপণ, বঞ্চক। তাহারা আপনাদের সন্তানকে ভাল কাপড়, ভাল জুতা পরায়, কেবল আমাদের সন্তানকে কাঁদাইবার জন্য। তাহারা আপনাদের পুত্রবধূকে উত্তম বস্ত্রালঙ্কার দেয়, কেবল আমাদের পুত্রবধূর মুখ ভার করাইবার নিমিত্ত। পাপিষ্ঠ প্রতিবাসীরা! যাহাদের প্রতিবাসী নাই, তাহাদের ক্রোধ নাই। তাহাদেরই নাম ঋষি। ঋষি কেবল প্রতিবাসি-পরিত্যাগী গৃহী। ঋষির আশ্রমপার্শ্বে প্রতিবাসী বসাও, তিন দিনের মধ্যে ঋষির ঋষিত্ব যাইবে। প্রথম দিন প্রতিবাসীর ছাগলে পুষ্পবৃক্ষ নিষ্পত্র করিবে। দ্বিতীয় দিনে প্রতিবাসীর গােরু আসিয়া কমণ্ডলু ভাঙ্গিবে, তৃতীয় দিনে প্রতিবাসীর গৃহিণী আসিয়া ঋষি-পত্নীকে অলঙ্কার দেখাইবে। তাহার পরই ঋষিকে ওকালতির পরীক্ষা দিতে হইবে, নতুবা ডেপুটি মাজিষ্ট্রেটীর দরখাস্ত করিতে হইবে।