#Quote

বাল্যকালে আমার মনে হইত যে, ভূত প্রেত যে প্রকার নিজে দেহহীন, অন্যের দেহ-আবির্ভাবে বিকাশ পায়, রূপও সেইপ্রকার অন্য দেহ অবলম্বন করিয়া প্রকাশ পায় ; কিন্তু প্রভেদ এই যে, ভূতের আশ্রয় কেবল মনুষ্য, বিশেষতঃ মানবী , কিন্তু বৃক্ষপল্লব নদ ও নদী প্রভৃতি সকলেই রূপ আশ্রয় করে । সুতরাং রূপ-এক , তবে পাত্রভেদ ।

Facebook
Twitter
More Quotes by Sanjib Chandra Chattopadhyay
মন হবে দৈত্যের মতাে, পাহাড়ের মতাে, গর্জন গাছের মতাে বিশাল। আর সেই মনকে ধরবার চেষ্টা করবে দেহ। মন বলবে চাঁদ ছোঁও, দেহ ছুঁয়ে আসবে।
আমার বলতে ইচ্ছে করছিল, মুকু, ভালবাসা বোঝো? তারপরেই মনে হল, প্যানপ্যানে শোনাবে। ভালবাসা শব্দটাই ভালবাসার শত্রু। ভালবাসা একটা ভাবমিশ্রিত, সেবা, সাহচর্য, অবস্থিতি, সহ্যশক্তি। হাত ধরে নীরবে হাঁটা। ওটা বোধের ব্যাপার, বলার নয়।
জোর ছ’ফুট এই দেহের মাপ। মনটা ওই কুলফি বরফের খােপের মাপে জমে যেন না যায়।
বছরে বছরে গাছের পাতা ঝরে আবার নবীন পাতার দল হেসে ওঠে; কিন্তু জীবন থেকে সময়ের পাতা শুধু ঝরতেই থাকে, পায়ের তলায় জমে ওঠে অভিজ্ঞতার স্তূপ।
গাড়ি যেমন পেট্রোলে চলে, মানুষ তেমনি চলে আশীর্বাদে। পূর্বপুরুষরা আশীৰ্বাদ না করলে জীবনকে চালাতে হয় ঠেলে ঠেলে।
স্ত্রীরা কখনােই পােষ মানে না। নিজেকেই পােষ্য করে নিতে হয়। সুখে থাকার কায়দা।
আচ্ছা, বলো তো ধর্মরাজ, পৃথিবীর একমাত্র খাঁটি জিনিস কী? শত্রুতা। শত্রুর শত্রুতায় কোনও ভেজাল নেই। বাঁশ দেবে তো দেবেই। পুরো ব্যাপারটাই নিখাদ একমাত্র ভেজাল কোনটা? ভালোবাসা। পৃথিবীর খাঁটি গাওয়া ঘিয়ের মতোই পুরোটা ভেজাল।
পুরো ব্যাপারটাই নিখাদএকমাত্র ভেজাল কোনটা ভালোবাসা।পৃথিবীর খাঁটিগাওয়া ঘিয়ের মতোই পুরোটা ভেজাল।
যাহার বাটীতে যাইতেছি, তাহার সহিত আমার কথনও চাক্ষুষ হয় নাই। তাহার নাম শুনিয়াছি, সুখ্যাতিও যথেষ্ট শুনিয়াছি ; সজ্জন বলিয়া তাহার প্রশংসা সকলেই করে। কিন্তু সে প্রশংসায় কর্ণপাত বড় করি নাই, কেন না বঙ্গবাসীমাত্রই সজ্জন; বঙ্গে কেবল প্রতিবাসীরাই দুরাত্মা, যাহা নিন্দা শুনা যায় তাহা কেবল প্রতিবাসীর। প্রতিবাসীরা পরশ্রীকাতর, দাম্ভিক, কলহপ্রিয়, লােভী, কৃপণ, বঞ্চক। তাহারা আপনাদের সন্তানকে ভাল কাপড়, ভাল জুতা পরায়, কেবল আমাদের সন্তানকে কাঁদাইবার জন্য। তাহারা আপনাদের পুত্রবধূকে উত্তম বস্ত্রালঙ্কার দেয়, কেবল আমাদের পুত্রবধূর মুখ ভার করাইবার নিমিত্ত। পাপিষ্ঠ প্রতিবাসীরা! যাহাদের প্রতিবাসী নাই, তাহাদের ক্রোধ নাই। তাহাদেরই নাম ঋষি। ঋষি কেবল প্রতিবাসি-পরিত্যাগী গৃহী। ঋষির আশ্রমপার্শ্বে প্রতিবাসী বসাও, তিন দিনের মধ্যে ঋষির ঋষিত্ব যাইবে। প্রথম দিন প্রতিবাসীর ছাগলে পুষ্পবৃক্ষ নিষ্পত্র করিবে। দ্বিতীয় দিনে প্রতিবাসীর গােরু আসিয়া কমণ্ডলু ভাঙ্গিবে, তৃতীয় দিনে প্রতিবাসীর গৃহিণী আসিয়া ঋষি-পত্নীকে অলঙ্কার দেখাইবে। তাহার পরই ঋষিকে ওকালতির পরীক্ষা দিতে হইবে, নতুবা ডেপুটি মাজিষ্ট্রেটীর দরখাস্ত করিতে হইবে।
আমি সিদ্ধান্ত করেছি, আই উইল কমিট সুসাইড। সভাসদরা সমস্বরে বললেন, সেকী? আত্মহত্যা। ইয়েস আত্মহত্যা! দুষ্ট গোরুর চেয়ে, শূন্য গোয়াল ভাল। মাতামহ বললেন, দুষ্ট গোরু তো ও, তুমি কেন গোয়াল শূন্য করে চলে যাবে? এ আবার কেমন বিচার?