ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান?

---

মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনও মন্দির-কাবা নাই - কাজী নজরুল ইসলাম

---

নামাজ পড় রোজা রাখ, কলমা পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই। - কাজী নজরুল ইসলাম

---

ফুটবে আবার দোলন চাঁপা চৈতী-রাতের চাঁদনী, আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদনী- চৈতী-রাতের চাঁদনী। ঋতুর পরে ফিরবে ঋতু, সেদিন-হে মোর সোহাগ-ভীতু! চাইবে কেঁদে নীল নভো গা’য়, আমার মতন চোখ ভ’রে চায় যে-তারা তা’য় খুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে! - কাজী নজরুল ইসলাম

---

ঝঞ্ঝার নূপুর পড়িয়া নৃত্যায়মান তুফানের মতো আমরা বহিয়া যাইবো। যাহা থাকিবার তাহা থাকিবে, যাহা ভাঙিবার তাহা আমাদের চরণাঘাতে ভাঙিয়া পড়িবেই।

---

আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গন তুলতে সে ফুল গাথতে মালা, কাপবে তোমারকঙ্কণ কাদবে কুটির অঙ্গন, শিউলী ঢাকা মোর সমাধি পড়বে মনে উঠবে কাদি বুকের জ্বালা করবে মালা চোখের জলে সেদিন বালা মুখের হাসি ঘুচবে বুঝবে সেদিন বুঝবে। - কাজী নজরুল ইসলাম

---

বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যানকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

---

সকল বিশ্বকে, সকল সৃষ্টিকে জানব, বুঝব ও উপলদ্ধি করব- এই আত্মবিশ্বাস আমাদের তরুণদের জীবনে রূপায়িত হোক

---

সম্মুখে আমাদের পর্বত প্রমাণ বাধা, নিরাশার মরুভূমি, বিধি-নিষেধের দুস্তর পাথার; এই সব লংঘন করিয়া, অতিক্রম করিয়া যাইবার দুঃসাহসিকতা যাহাদের, তাহারা তরুণ।

---

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা। - কাজী নজরুল ইসলাম

---