আসিবে তুমি জানি প্রিয় আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর।বনানতে পবন অশান্ত হল তাই কোকিল কুহরে, ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর। - কাজী নজরুল ইসলাম

---

চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে ছোটে তরঙ্গ বাসনা ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে। - কাজী নজরুল ইসলাম

---

কত কাজ তোমাদের- ধরণীর দশদিক ভরে কত ধূলি, কত আবর্জ্জনা, কত পাপ, কত বেদনা- তোমরা ছাড়া কে তার প্রতিকার করিবে? তোমাদের আত্মদানে, তোমাদের আয়ূর বিনিময়ে হবে তার মুক্তি।

---

ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই । - কাজী নজরুল ইসলাম

---

তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিনী বলে না তো কিছু চাঁদ।”

---

আবার যেদিন শিউলী ফুলে ভরবে তোমার অঙ্গন তুলতে সে ফুল গাথতে মালা, কাপবে তোমারকঙ্কণ কাদবে কুটির অঙ্গন, শিউলী ঢাকা মোর সমাধি পড়বে মনে উঠবে কাদি বুকের জ্বালা করবে মালা চোখের জলে সেদিন বালা মুখের হাসি ঘুচবে বুঝবে সেদিন বুঝবে। - কাজী নজরুল ইসলাম

---

আমার বুকের যে কাঁটা-ঘা তোমায় ব্যথা হানত, সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়তো হয়ে শ্রান্ত আসব তখন পান্থ ! হয়তো তখন আমার কোলে, সোহাগ লোভে পড়বে ঢলে আপনি সেদিন সেধে-কেঁদে চাপবে বুকে বাহু বেঁধে, চরন চু’মে পূজবে — বুঝবে সেদিন বুঝবে!

---

আজ আমাদের আলস্যের, কর্মবিমুখতার পৌরুষের অভাবেই আমরা হয়ে আছি সকলের চেয়ে দীন।

---

কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী। -

---

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা। - কাজী নজরুল ইসলাম

---