photo

Tania Ahmed

Bangladeshi actress
Date of Birth : 05 Jun, 1972
Place of Birth : Patuakhali
Profession : Bangladeshi Actress
Nationality : Bangladeshi
Social Profiles :
Facebook
Twitter
Instagram
তানিয়া আহমেদ (Tania Ahmed) হলেন একজন বাংলাদেশী মডেল, অভিনেত্রী, পরিচালক ও উপস্থাপিকা। মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হলেও পরে তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। সেকু সিকান্দার নাটকে মৈরন ও রঙের মানুষ নাটকে মাঞ্জেলা চরিত্র দুটি তাকে পরিচিতি দেয়। পরবর্তীতে তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি গানের ভিডিও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।

২০০৪ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি হাস্যরসাত্মক মেড ইন বাংলাদেশ (২০০৭) ও নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে কৃষ্ণপক্ষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৭ সালে তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ভালোবাসা এমনই হয় মুক্তি পায়।

কর্মজীবন
মডেলিং ও টেলিভিশন: ১৯৯৩-৯৮
তানিয়ার কর্মজীবন শুরু হয় মডেলিং দিয়ে। শুরুতে তিনি মডেলিং করতে চাননি। কিন্তু তার এক বন্ধু তার পুরনো ছবি দেখে তাকে মডেলিং শুরু করতে বলেন এবং তার ছবি আফজাল হোসেনকে দেখান। আফজাল তাকে অডিশনের জন্য ডাকেন এবং তিনি অডিশনে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম আফজাল নির্দেশিত ডায়মন্ড হেয়ার অয়েলের বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেন।

১৯৯২ সালে সম্পর্ক নাটক দিয়ে তার টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয়। নাটকটি পরিচালনা করেন ফারিয়া হোসেন। ১৯৯৭ সালে নন্দিত নাট্য নির্দেশক সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত সেকু সিকান্দার নাটকে মৈরন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সর্বপ্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

গানের ভিডিও পরিচালনা: ১৯৯৯-২০০৪
তানিয়া ১৯৯৯ সালে গানের ভিডিও পরিচালনা শুরু করেন। এই কাজে তাকে সাহায্য করেন তার ছোট ভাই রানা। এ সময়ে তিনি তিনটি গানের ভিডিওর অ্যালবাম পরিচালনা করেন। অ্যালবামগুলো হল মুহূর্ত, ময়নিস ও আর কত কাঁদাবে। তিনি জুয়েল, নিলয়, রাশেদ ও এস আই টুটুলের গানের ভিডিও পরিচালনা করেন, যা ২০০৪ সালের ঈদে চ্যানেল আই-তে প্রচারিত হয়। ২০০৪ সালে আসিফ আকবরের গাওয়া "উড়ো মেঘ" গানের ভিডিও নির্দেশনা দেন। এই ভিডিওতে চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজ সহ বেশ কয়েকজন নবীন শিল্পী কাজ করেন।

চলচ্চিত্রে আগমন: ২০০৪-২০০৭
২০০৪ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পলায়নরত এক নৌকায় নারী ডাক্তার রাত্রি চরিত্রে তার অভিনয় বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বেও সামাদৃত হয়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তিনি ৬৯, বেলাভূমি, শ্রীকান্ত, আমাদের আনন্দবাড়ি, ঘুণপোকা, ও সুখনগর অ্যাপার্টমেন্ট নাটকে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তিনি সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিত সাপলুডু টেলিভিশন ধারাবাহিকে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত মেড ইন বাংলাদেশ (২০০৭), হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭) চলচ্চিত্র, ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিশ্বরণ্যের নদী-তে কাজ করেন।

টিভি নাটক পরিচালনা: ২০০৮-২০১৩
২০১১ সালে তিনি সাপলুডুতে অভিনয়ের ছয় বছর পর প্রত্যাবর্তন টেলিভিশন ধারাবাহিকে পুনরায় খল চরিত্রে অভিনয় করেন। সানোয়ার পরিচালিত এই নাটকে তিনি একজন ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করেন, যার পূর্বের বিয়ের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর তানিয়ার চরিত্রের খল সত্তা প্রকাশিত হয়। একই বছর তিনি ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল অনুষ্ঠানের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১-১২ সালে তাকে সকাল আহমেদ পরিচালিত টার্মিনাল টেলিভিশন ধারাবাহিকে দেখা যায়। ধারাবাহিকটি এনটিভিতে প্রচারিত হয়। এতে তিনি একটি মহিলা হোস্টেলের পরিচালক চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১২ সালে তিনি রিপন নবী পরচালিত টেলিভিশন ধারাবাহিক আপন পর, এটিএন বাংলায় প্রচারিত হিমেল আশরাফের মায়াজাল ও মাসুদ সেজানের পুতুল খেলা; এনটিভিতে প্রচারিত অরণ্য আনোয়ারের রূপকথা এবং চ্যানেল আই-তে প্রচারিত আজিজুল হাকিমের সকাল সন্ধ্যা রাত টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। তাকে মায়াজাল নাটকে খল চরিত্রে এবং রূপকথা নাটকে প্রযোজক চরিত্রে দেখা যায়।

২০১২ সালে তিনি ৩৫ পর্বের দ্য এ টিম টেলিভিশন ধারাবাহিক পরিচালনা করেন। ধারাবাহিকটি ইংল্যান্ডে চিত্রায়িত হয়। তার নিজের ও সহশিল্পীদের সাথে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেন মোশাররফ করিম, বিজরী বরকতুল্লাহ, এস আই টুটুল ও তিনি নিজে।

চলচ্চিত্র পরিচালনায় অভিষেক: ২০১৪-বর্তমান
২০১৪ সালে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শুরুতে চলচ্চিত্রটির নাম রাখা হয় গুড মর্নিং লন্ডন। পরে তা ভালোবাসা এমনই হয় নামে পরিবর্তন করা হয়। এটি বাবা ও মেয়ের দ্বন্দ্বের গল্প। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, ইরফান সাজ্জাদ, তারিক আনাম খান, মীর সাব্বির। চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তি পায়। ২০১৫ সালে তিনি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রচারিত রায়হান খানের সুপারস্টার, ও এনটিভিতে প্রচারিত হিমেল আশরাফের একদিন ছুটি হবে টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজ করেন। ঈদুল আযহায় বাংলাভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সিকান্দার বক্স এখন নিজ গ্রামে মিনি ধারাবাহিকে নাম চরিত্রের বড় বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

তানিয়া ২০১৬ সালে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওন নির্মিত কৃষ্ণপক্ষ চলচ্চিত্রে জেবা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৭ সালে এস আই টুটুলের গীত, সুর ও সঙ্গীতে "বন্ধু" ও "পুড়ে যাবি" গান দুটির ভিডিও পরিচালনা করেন। এপ্রিল মাসে কক্সবাজার ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গান দুটির চিত্রায়ন হয়।

ব্যক্তিগত জীবন
তানিয়া ১৯৯৯ সালের ১৯শে জুলাই সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান শ্রেয়াশ আহমেদ ও আরশ আহমেদ। ২০২১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার পিতা জনাব নাসিম আহমেদ বিশ্বাস একজন অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি কর্মজীবনে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তানিয়া আহমেদের পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া থানার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের বিশ্বাস বাড়িতে। তার ছোট ভাই অমিতাভ আহমেদ রানাও একজন নাট্য পরিচালক।

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.