ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা ২০২৪

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা ২০২৪
Admin September 21, 2024 8
যারা ঢাকা টু রাজশাহী রুটে সবসময় চলাচল করে আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। ঢাকা টু রাজশাহী রুটে কয়টি ট্রেন চলাচল করে ট্রেনের ভাড়া কত ট্রেনের টিকিট কিভাবে বুকিং দিতে হয় বিস্তারিত  আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
নিয়মিত বিভিন্ন কাজে আমরা যাতায়াতের জন্য ট্রেন ভ্রমণ করে থাকি। আর বেশিরভাগ মানুষ ট্রেনে  যাতায়াত বেশি করে থাকে। তাই ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী, ট্রেনের নাম, টিকিট বুকিং করার নিয়ম সহ বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ু্ন।

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে যেসব ট্রেন চলাচল করে


আমাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকাতে বাস করি আবার অনেকেই রাজশাহীতে বাস করি। ঢাকা আমাদের রাজধানী। যেহেতু ঢাকা রাজধানী শহর তাই সেখানে কাজের সন্ধান বেশি। শুধু কাজের জন্যই নয় কোন না কোন দরকারে মানুষ ঢাকা থেকে রাজশাহীতে যায়।

রাজশাহী হল উত্তর বঙ্গে সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম শহর ঢাকার তুলনায় রাজশাহী অনেক পরিষ্কার। বর্তমানে রাজশাহীর সিটি মেয়র এর উদ্যোক্তার ফলে শহরটিতে প্রচুর পরিমাণে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয়েছে এবং প্রতিটি রাস্তাকে আলোকিত করার জন্য ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে।
যেহেতু রাজশাহী অনেক পরিষ্কার শহর এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে তাই রাজশাহীকে বলা হয় গ্রীন সিটি। আর এই সৌন্দর্যের শহরকে উপভোগ করার জন্য অনেকেই ঢাকা থেকে পাড়ি জমান রাজশাহীতে।

আর এই পাড়ি জমানোর জন্য বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয় জনপদের জন্য ৪ টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেছেন। এই চারটি ট্রেন এর মধ্যে যখন যার সময় সুবিধা হয় তখন সেই ট্রেনে মানুষজন ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকা চলাচল করেন।

ছুটির দিন ব্যতীত ঢাকা থেকে রাজশাহী এবং রাজশাহী থেকে ঢাকা রুটে যেসকল ট্রেন যে সকল চলাচল করে সে ট্রেনগুলো হলঃ
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস।
  • বনলতা এক্সপ্রেস।
  • সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস।
  • পদ্মা এক্সপ্রেস।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা টু রাজশাহী থেকে যে চারটি ট্রেন রুটে চলাচল করে এর নির্দিষ্ট সময়সূচি রয়েছে যা মেনে ট্রেনগুলো চলাচল করে থাকে। কারন ট্রেনের সময় আগে থেকে জানা না থাকলে জনপদের সমস্যা হয়। তাই রেল মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট করে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী গুলো নিম্নরুপঃ

ধুমকেতু এক্সপ্রেসঃ এ ট্রেনটি ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চলাচল করে। এই ট্রেনটি ছাড়া সময় হলো সকাল ৬ টা এবং পৌঁছানোর সময় হলো সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট।

বনলতা এক্সপ্রেসঃ এই ট্রেনটি দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে এবং সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছে যায়। 

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসঃ এটি দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়।

পদ্মা এক্সপ্রেসঃ  এটি রাত ১১ টা ছাড়ে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে এবং প্রায় মধ্যরাত ৪ টা ৩০ মিনিটে রাজশাহী স্টেশনে এসে থামে।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের ভাড়া

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে ট্রেন চলাচলের জন্য নির্ধারণ করা একটি ভাড়া আছে। এর বাইরে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবেন না। ঢাকা টু রাজশাহী রুটে যে সকল ট্রেন চলাচল করে সেগুলোর মধ্যে ক্যাটাগরি রয়েছে।
তবে ঢাকা টু রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচলের ভাড়া অনেক কম তাই যে কেউ অতি সহজে এই ট্রেনে চলাচল করতে পারবেন। কিন্তু আপনি কোন ক্যাটাগরিতে টিকিট নিবেন সেটা নির্ভর করবে নিজের উপর এবং টাকার পরিমাণ এর ওপর।

ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের আসন বিন্যাস এবং টিকিট এর মূল্য হল।

ধুমকেতু এক্সপ্রেসের আসন বিন্যাস ও টিকিট মূল্যঃ
  • শোভন চেয়ার ৩৪০ টাকা।
  • স্নিগ্ধা চেয়ার ৬৫৬ টাকা।
  • এসি চেয়ার ৬৮০ টাকা।
  • এসি বি চেয়ার ১১৭৩ টাকা।
বনলতা এক্সপ্রেসের আসন বিন্যাস ও টিকিট মূল্যঃ
  • শোভন চেয়ার ৩৭৫ টাকা। 
  • স্নিগ্ধা চেয়ার ৫৭০ টাকা।
  • এসি চেয়ার ৮৬৫ টাকা। 
সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের আসন বিন্যাস ও টিকিট মূল্যঃ
  • শোভন চেয়ার ৩৪০ টাকা। 
  • স্নিগ্ধা চেয়ার ৫৭০ টাকা। 
  • এসি চেয়ার ৬৮০ টাকা।
  • এসি বি চেয়ার ১০২০ টাকা। 
পদ্মা এক্সপ্রেসের আসন বিন্যাস ও টিকিট মূল্যঃ
  • শোভন চেয়ার ৩৪০ টাকা। 
  • স্নিগ্ধা চেয়ার ৫৭০ টাকা। 
  • এসি চেয়ার ৬৮০ টাকা।
  • এসি বি চেয়ার ১০২০ টাকা।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের বিরতি স্টেশন সমূহ

যখন ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল করে তখন এর মধ্যে বিরতি থাকে। কারণ কোন ট্রেনই একটানা চলাচল করতে পারে না। ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে যে ৪ টি ট্রেন চলাচল করে এর মধ্যে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টপ নন স্টপ ট্রেন।

ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চারটি ট্রেন চলাচলের বিরতির স্টেশনগুলো প্রায় একই রকম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরতির স্টেশন সমূহ একই রকম। 

আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস এবং পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতির স্টেশন সমূহ উল্লেখ করা হলো-
  • ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন 
  • ঢাকা বিমানবন্দর। 
  • জয়দেবপুর রেলস্টেশন। 
  • টাঙ্গাইল স্টেশন। 
  • বঙ্গবন্ধু সেতু ইস্ট স্টেশন। 
  • এসএইচএম মনসুর আলী স্টেশন। 
  • জামতলী রেলওয়ে স্টেশন। 
  • উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন। 
  • বড়াল বীজ স্টেশন। 
  • চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশন। 
  • ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন। 
  • আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশন। 
  • আড়ানী রেলওয়ে স্টেশন। 
  • সরদহ রোড স্টেশন। 
  • রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের ছুটির দিন সমূহ

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে মূলত চারটি ট্রেন যাতায়াত করে। এদের সপ্তাহে একটি দিন করে ছুটির দিন রয়েছে। যে দিনটিতে এই ট্রেনগুলো চলাচল করে না। অনেকেই জানে না কোন ট্রেন কোন দিন ছুটি থাকে এর ফলে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়।

যদি এমন হয় যে কোন মানুষ রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু সে জানেনা যে সে আজ যে ট্রেনে যাবে সে ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটি দিন কাটাচ্ছে। এটি না জানার কারণে সেই মানুষগুলো একটি ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে তাই এগুলোর দিনগুলো আমাদের জানা দরকার। 

ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চারটি ট্রেনের ছুটির দিনগুলো হলঃ 
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেসের ছুটির দিনঃ শনিবার
  • বনলতা এক্সপ্রেসের ছুটির দিনঃ শুক্রবার
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের ছুটির দিনঃ রবিবার
  • পদ্মা এক্সপ্রেসের ছুটির দিনঃ মঙ্গলবার

ঢাকা টু রাজশাহী রেলপথের দূরত্ব

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচল করার জন্য এর পথ গুলোর দূরত্ব জানতে হবে। ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চলাচলের জন্য যে পথ রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ট্রেন পথ এবং সড়ক পথ। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষজন এই দুইটি পথে ঢাকা টু রাজশাহী যাতায়াত করে।

সড়ক পথে ঢাকা হতে রাজশাহীর দূরত্ব প্রায় ২৪৭ কিলোমিটার। সড়কপথে ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে অনেক সময় লাগে। আবার রেলপথে ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। সব থেকে বেশি দ্রুত চলাচল করা যায় রেল পথে।

যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ ভ্রমণের পথ গুলোর মধ্যে রেলপথ হল একটি। ঢাকার টু রাজশাহী রুটে চলাচলের জন্য দু পাল্লার বাস কিংবা ট্রেন চলাচল হয়। তবে অনেকেই মনে করেন ঢাকা হতে রাজশাহীর দূরত্ব অনেক।

কিন্তু তা নয় এর দূরত্ব খুব একটা নয়। সেজন্য ভ্রমণের আগে এর জানা দরকার ঢাকা টু রাজশাহীরের পথে দূরত্ব কতটা তাহলে তাদের ভ্রমণ করতে সুবিধা হবে। এবং ভ্রমণ করার সময় খুব একটা অসুবিধা হবে না।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের টিকিট বুকিং পদ্ধতি

ঢাকা টু রাজশাহী রুটে যে সকল ট্রেন চলাচল করে সে ট্রেনগুলোর টিকিট বুকিং করা যায় অনেক রকম ভাবে। এই পদ্ধতি গুলো মাধ্যমে যাত্রীরা সহজে ট্রেনের বুকিং দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে বর্তমানে অনলাইন বুকিং এবং স্টেশন বুকিং বেশি চলে।
ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে ট্রেনের বুকিং পদ্ধতি গুলো নিম্নরূপঃ

অনলাইন বুকিংঃ
  • বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে বা অন্যান্য নির্ধারণ করা ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো অনলাইন বুকিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে।
  • বাংলাদেশ রেলওয়ে বা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বুকিং দেওয়া যায়।
  • অনলাইন প্লাটফর্মে লগইন করে বা নিবন্ধন করে বুকিং দেয়া যায়।
  • অনলাইনে টিকিটের তালিকা দেওয়া থাকে সেখান থেকে পছন্দমত টিকিট নেওয়া যায়।
  • এরপর ডেভিড এবং ক্রেডিট কার্ড মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে হবে।
  • এরপর টিকিটটি বা পেমেন্ট স্লিপ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
স্টেশন বুকিংঃ
  • ঢাকা এবং রাজশাহী স্টেশনসহ বাকি অন্যান্য স্টেশনে সরাসরি গিয়ে টিকিট বুকিং দেওয়া যায়।
  • টিকিট নেয়ার জন্য সরাসরি স্টেশনে যেতে হয়।
  • স্টেশনে টিকিট বুকিং এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হয়। 
  • এরপর টাকা দিয়ে প্রেমেন্ট করতে হয় এবং টিকিট সংগ্রহ করতে হয়।
  • টিকিট নেয়ার পর চেক করে দেখে নিতে হবে যে টিকিটের তথ্য ঠিক আছে কিনা এবং নিজের কাছে টিকিট সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেন যাত্রীদের জন্য পরামর্শ

ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচলের জন্য যাত্রীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা রয়েছে সেগুলো মানতে হবে এবং সেগুলো জানা আগে থেকে জরুরী। এগুলো পরামর্শ যাত্রীদের জন্য যাতায়াতের সুবিধা হতে পারে। পরামর্শ গুলো হলঃ
  • যাতায়াতের দুই দিন আগে থেকে টিকিট সংগ্রহ করে নিতে হবে। না হলে যেদিন যাবে সেদিন টিকিট সংগ্রহ করলে সমস্যা হতে পারে।
  • অনলাইনে টিকিট বুকিং করলে টিকিট কাউন্টারে লাইন ধরে দাঁড়াতে হবে না এতে সময় সাশ্রয় হবে।
  • ট্রেন ছাড়ার এক ঘন্টা পূর্বে স্টেশন এ পৌঁছাতে হবে যেন ট্রেন ধরার জন্য তাড়াহুড়া করতে না হয়।
  • স্টেশনের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতে হবে।
  • যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খাবার দাবার এগুলো নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে।
  • নিজস্ব ব্যাগ এবং যে ব্যাগ প্রয়োজনীয় সেগুলো সতর্ক ভাবে রাখতে হবে। 
  • ট্রেনের সময়সূচী খেয়াল করতে হবে এবং প্ল্যাটফর্ম গুলো খেয়াল করে রাখতে হবে। 

পরিশেষে

যারা ঢাকা টু রাজশাহী রুটে সবসময় চলাচল করে তাদের জন্য ট্রেনের ভাড়া, নিয়মিত কোন ট্রেনগুলো চলাচল করে ইত্যাদি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। আর বিমানের তুলনায় ট্রেনের ভাড়া এবং আরামদায়ক হওয়ায় ট্রেন ভ্রমণকে মানুষ বেশি বেছে নেয়।

এছাড়া ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব কত যাতায়াত করতে কত সময় লাগে এ সকল কিছুই জানতে  পারবেন। যা ঢাকা টু রাজশাহী রুটে চলাচল যাত্রীদের জন্য সুবিধা। ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী এবং ট্রেনের ভাড়া তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবন এই আর্টিকেলে। আরো নিয়মিত তথ্যমূলক পোস্ট পেতে caption.com.bd ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।