photo

Marzuk Russell

Bangladeshi poet
Date of Birth : 15 Aug, 1973
Place of Birth : Gopalganj District
Profession : Bangladeshi Poet
Nationality : Bangladeshi
Social Profiles :
Twitter
Instagram
মারজুক রাসেল (Marzuk Russell) (জন্ম ১৫ আগস্ট ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, মডেল এবং অভিনেতা। তার কর্মজীবনের শুরু কবিতা ও গানের গীত রচনার মধ্য দিয়ে। তিনি টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম কাজ ছিল মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল। সেই থেকে তিনি বহু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন এবং অসংখ্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ের সূচনা করেন এবং প্রশংসা পান। মারজুক একাধিক সঙ্গীত ভিডিওতে কাজ করেছেন, যেমন ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো (২০১২), স্মৃতি কথা (২০১৭)।

প্রারম্ভিক জীবন
মারজুক রাসেল ১৯৭৩ সালের ১৫ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দৌলতপুরে একটি জুট মিলে কাজ করতেন। বাবার চাকরি সূত্রে তিনি বড় হয়েছেন খুলনার দৌলতপুরে। তিনি প্রথমে কৃষ্ণমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তবে তার বাবা তাকে একটি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করান। খুলনায় থাকাকালীন তিনি ১৯৮৪-৮৫ সালে ঢাকার সংবাদপত্রে ছাপার জন্য কবিতা লিখে পাঠাতেন। ১৯৯৩ সালে দৈনিক বাংলার বাণীতে তার প্রথম কবিতা ছাপা হয়। এরপর নিয়মিত তার কবিতা বিভিন্ন দৈনিকে ছাপা হয়।

কর্মজীবন
মারজুক ১৯৯৫ সালে গান লেখা শুরু করেন। সে সময় তিনি গান লিখে বিভিন্ন সুরকারকে দিতেন, কিন্তু কোন সুরকার তার গান নেননি। দুই বছর পর তিনি এক বন্ধুর বাসায় জেমসের গাওয়া "মান্নান মিয়ার তিতাস মলম" গান শুনে জেমসের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। লেখালেখির সূত্র ধরে তার সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে পরিচয় ছিল, তার মাধ্যমেই সাউন্ড গার্ডেন স্টুডিওতে জেমসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জেমস তখন লেইস ফিতা অ্যালবামের কাজ করছেন। মারজুক সেই অ্যালবামের জন্য "হাউজি", "দে দৌড়", এবং "রাখে আল্লাহ মারে কে" গান লিখেন। এরপর সাড়ে চার বছর জেমসের সাথে কাজ করেন। জেমসের "ঠিক আছে বন্ধু" অ্যালবামের জন্য "মীরাবাঈ", "এপিটাফ", "পত্র দিও"সহ ৭-৮টি গান লিখেন। "মীরাবাঈ" তার লেখা প্রথম জনপ্রিয় গান। এরপর তিনি বৃহস্পতি মিক্সড অ্যালবামের জন্য লিখেন "তেরো নদী সাত সমুদ্দুর", "শুরু হলো ভালোবাসা"। তিনি পুনরায় জেমসের জন্য পাগলা হাওয়া অ্যালবামের "আমি ভাসবে যে জলে" গান লিখেন।

তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যের শিরোনাম শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ। তারপরে তিনি যথাক্রমে তিনটি কবিতা লিখেছিলেন - চান্দের বুড়ির বয়স যখন ষোল (২০০৩), বাঈজী বাড়ি রোড, ছোট্ট কোথায় টেনিস বল।

তিনি প্রথম মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল ভিডিও ফিকশনের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি চড়ুইভাতি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। ফারুকীর সহকারী হিসেবে তিনি স্বরবর্ণ থিয়েটারে কাজ করেন।২০০৪ সালে ব্যাচেলর দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এবং তার কাজ বেশ প্রশংসিত হয়।

Quotes

Total 9 Quotes
তোমার এলাকা ছাইড়া যাচ্ছি; তোমারে ছাড়ার ফিলিংস্ হচ্ছে, হোক – আমি অনেক-কিছুই-ছাইড়া-আসা-লোক - মারজুক রাসেল
তোমার এলাকার হোটেলগুলায় নাশতা; দুপুর, রাতের খাবার, টং দোকানের চিনি-ছাড়া-কাঁচাপাতি-দুধ-বেশি-চা; চানাচুর, আপঝাপ, মিনারেল পানি, চুইংগাম, ক্যাকজ‍্যাক খাচ্ছি প্রসংসা করছি। তোমারে খাইতে পারতেছি না। - মারজুক রাসেল
দড়ি পাকানোর আগের অবস্থা ধৈর্যে ধরে ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঈ-প্রত্যয় যোগে রমণী হয়েছে তারপর ফেটে গেছে ইশকুলে, অফিসপাড়ায় আবাসিক হোটেলের সিঁড়ি বেয়ে চাঁদে। - মারজুক রাসেল
পাখা পেয়ে গেলে চুমু উড়ে যায় ডান হাত থেকে সকালের সাড়ে দশটায়, ক্লিনশেভে, চা-দোকান, নীলক্ষেত, কার্ডফোন, রোদ, বৃহস্পতি, সিগারেটে….শরীরভ্রমণ পরবর্তী ঘামে—-উল্লিখিত ওড়াউড়ি সড়কের পরপারে রিকশায় এসে নামে। - মারজুক রাসেল
আমাদের গ্রামে ওই ধরনের ঘাস দেখে ভালো লেগেছিল- অংক পরীক্ষায় নিজের বয়েস পাওয়ার হেডস্যার যেই কান-মলে ঘোড়ার প্রসঙ্গ তুললেন, আমি তখন ঘোড়ার ঘাস কাটি’ শুনে সহপাঠিগণ হেসে টপকালো শ্রেণী থেকে শ্রেণী… ততদিনে ঘোড়ারা শেখেনি ঘাস খেতে-ঘোটকির বয়েস তখন সতেরো অথবা কুড়ি। - মারজুক রাসেল
তোমাকে ডান-বাম কাঁধের; পিঠের-বুকের-কোমরের উপরে; মাথায় ঢাললাম; গোসল হয়ে গেলে- পুরুষমানুষের প্রধানত দুইটা মাথা থাকে; দুইটা দুই রকম, দুইটাই দুই গরম; একটা ব্যস্ত বেশি, আরেকটা কম; একটা ক্রিয়েটিভ অন্যটা অ্যাকক্টিভ। - মারজুক রাসেল
বৃষ্টি প্রায়ই ডেকে বলে, ভিজাই? ভিজবা নাকি? তোমার জলে ভিজবো বলে শুকনা হয়ে থাকি। ― Marzuk Russell
চাবি ছাড়াও মায়ের আঁচলে আমিও তো বাঁধা থাকি। - মারজুক রাসেল
যার কেউ নাই তার হাত আছে - মারজুক রাসেল