যেনাকারী কি জান্নাতে যাবে

যেনাকারী ব্যক্তি জান্নাতে যাবে কিনা আসলে যেনা অনেক বড় একটা পাপের কাজ ও কবিরা গুনাহ বলে শরীয়তে পাওয়া যায়। আর যেনা যেনা কবিরা গুনাহ হওয়ার কারণে কবিরা গুনাহকারীর জন্য আল্লাহপাক জাহান্নামকে ঠিকানা হিসেবে রেখেছেন। তাই সে জাহান্নামে যাবে বলে বিবেচিত। তবে কেউ যদি খাস দিলে তওবা করে যেনা করার পর যে আর জীবনে কোনোদিন যেনা করবে না তাহলে তা ভিন্ন কথা।
আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। তা একটি অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পন্থা।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল : ৩২)। ব্যভিচারের শাস্তিও মারাত্মক।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘(অবিবাহিত) ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারিণী নারী উভয়কে ১০০ করে বেত্রাঘাত করো।’ (সুরা : আন নূর : ২)। আর বিবাহিত হলে তাদের শাস্তি হলো, কোমর পর্যন্ত মাটির নিচে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।
যেনা অর্থ কি
যেনা বলতে বুঝায় একজন অবিবাহিত নারী বা পুরুষ মানুষ যদি অন্য কোনো নারী বা পুরুষের সাথে বিবাহ ছাড়া যৌন মিলন করে ফেলে তাহলে সেটাকেই বলা হয় যেনা। আবার যদি একজন বিবাহিত নারী বা পুরুষ মানুষ যদি অন্য কোনো বিবাহিত নারী বা পুরুষের সাথে যৌন মিলন করে ফেলে তাহলে সেটাকেও বলা হয় যেনা।
মহানবী (সা.) বলেছেন, বিচার দিবসে তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না ও তাদের পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হলো ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী দরিদ্র।
হজরত ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। অথচ তিনি প্রত্যেক প্রাণীর স্রষ্টা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম, তারপর কী? তিনি বললেন, তোমার সন্তান তোমার সঙ্গে আহার করবে—এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা। আমি আবার আরজ করলাম, তারপর কী? তিনি প্রত্যুত্তরে বলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।
যেনা কত প্রকার
যেনা বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে যেমনঃ চোখের যেনা, মনের যেনা, দেহের যেনা ইত্যাদি। ইসলামে শরিয়তে যেনা একটি অবৈধ হারাম কাজ যা যেনা খুবই বড় ধরনের পাপ কাজ বলে বিবেচিত। যেনা করা একটি গর্হিত কার্য। যেনাকারী কখনো পৃথীবিতে সুখী হতে পারে না। যেনাকরী দুনিয়ায় শাস্তি পেয়ে থাকে।