Sohobaser Doa

Sohobaser Doa
Admin November 27, 2024 211
বিয়েকে রাসুল সা. দীনের অর্ধেক বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিয়ে জীবনের অনুষঙ্গ বিষয়ও। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যে বিয়ে করল, সে তার অর্ধেক দীন-ঈমান পূর্ণ করল। সে যেন বাকি অর্ধেকের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে।’ (তাবরানি)

স্ত্রী সহবাসের দোয়া

নারী-পুরুষের মধ্যে পারস্পারিক যৌন ক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে থাকে বংশ বিস্তার। এই বংশ বিস্তারের বৈধ পথ হলো বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় স্বামী আর পুরুষের সম্পর্ক। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা হয়ে ওঠে বৈধ।
 
এত থাকে কল্যাণ এবং এটা ছাওয়াবের কাজ। আল্লাহতাআলা বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের যৌন সম্ভোগ তথা বংশ বৃদ্ধিকে কল্যাণের কাজে পরিণত করেছেন। বিবাহের ফলে স্বামী-স্ত্রীর যাবতীয় বৈধ কার্যক্রম হয়ে ওঠে কল্যাণ ও ছাওয়াবের কাজ। সহবাসের রয়েছে কিছু নিয়ম-নীতি ও দোয়া। পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
 
দোয়াটি এই-
بِسْمِ اللّهِ اللّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَ جَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
 
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাজাক্বতানা।
 
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি, তুমি আমাদের নিকট থেকে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের এ মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে, তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখ।

ফজিলত

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আপন স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে তখন ওই দোয়া পড়ে যেন মিলিত হয়। এ মিলনে যদি তাদের কিসমতে কোনো সন্তান আসে, সে সন্তানকে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)।
 
হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি সহবাসের ইচ্ছা করে, তার নিয়্ত যেন এমন হয়, আমি ব্যাভিচার থেকে দূরে থাকব। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবে না আর জন্ম নেবে নেককার ও সৎ সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সঙ্গে সঙ্গে নেক উদ্দেশ্যও পূরণ হয়।

সহবাসের পূর্বের কিছু কাজ-

  • স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।
  • ‘বিসমিল্লাহ’ বলে সহবাস শুরু করা মুস্তাহাব। ভুলে গেলে যদি বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হয় তাহলে মনে মনে পড়ে নিতে হবে।
  • সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা। যা আল্লাহর রাসুলের সুন্নাত।
  • সব ধরনের দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা
সহবাসকালীন কিছু কাজ থেকে বিরত থাকা-
  • কেবলামুখী হয়ে সহবাস না করা।
  • একেবারে উলঙ্গ না হওয়া।
  • স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার পূর্বে বিচ্ছিন্ন না হওয়া।
  • স্ত্রীর জরায়ুর দিকে না তাকানো।
  • সহবাসের সময় স্ত্রীর সঙ্গে বেশি কথা না বলা।
  • ভরা পেটে স্ত্রী সহবাস না করা।
  • উল্টাভাবে স্ত্রী সহবাস না করা।

যে সময়গুলোতে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত-

  • স্ত্রীর হায়েজ- নেফাসের (ঋতুকালীন) সময় সহবাস না করা।
  • চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে মিলিত না হওয়া।
  • সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস না করা।
  • জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস না করা।

এ ছাড়াও দুটি নিয়ম অনুসরণ করা-

  • স্বপ্নদোষ বা নাপাক থাকলে গোসল না করে স্ত্রী সহবাস না করা।
  • বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়া। কেননা এতে সন্তান জন্ম নিলে শয়তানের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত থাকে।