সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম
Admin October 16, 2024 658

একটা সময় ছিল যখন অফলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে হতো। কিন্তু সময় এখন পাল্টে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া লেগেছে সর্বত্র। এখন সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদনও অনলাইনে করা যায়। অনলাইনে কীভাবে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং সমমানের সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে হয়, ঢাকা পোস্টের কাছে জানতে চেয়েছেন অনেকে। চলুন জেনে নিই কীভাবে সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে হয়। সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করার জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। প্রত্যেকটা বোর্ডের ওয়েবসাইটে Online Application নামে একটা লিংক থাকবে সেই লিংকে গিয়ে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে হবে। একেকটা বোর্ডের ইন্টারফেস একেক রকম হলেও সব বোর্ডেই সার্টিফিকেট সংশোধনের অপশন আছে। আমরা আপনাদের দেখাব যশোর বোর্ডে কীভাবে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করুন

সার্টিফিকেট সংশোধন অনলাইন বা অফলাইন দুইভাবে করা যায়। তবে ঝামেলা এড়াতে অনলাইনে সংশোধন করা ভালো। মূলত সকল শিক্ষার্থীদের কাছেই সার্টিফিকেট খুব মূল্যবান সম্পদ। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই সনদপত্রটিতে কোন ধরনের ভুল-ত্রুটি থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন

নোটারি পাবলিক: আইনজীবীর মাধ্যমে নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন: একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এটা করতে হবে হলফনামা সম্পাদনের পর। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এ দুটি কাজ সম্পাদন করার পর উপরে উল্লেখিত দুটি কাগজ এবং আপনার বাবা-মায়ের নাম সংশোধন হলে তাদের সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড/আপনার নিজের হলে জন্ম সনদ নিয়ে সরাসরি চলে যান যে স্কুল বা কলেজে আপনি পড়াশুনা করেছেন। এ কাজটি আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন না। কারণ এটি কলেজের EIIN ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা হয়।

অনলাইনে সার্টিফিকেটের নাম সংশোধনের খরচ:

১) পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ৫০০ টাকা (কম বেশি লাগতে পারে) ২) নোটারি পাবলিক ৫০০ টাকা (কম বেশি লাগতে পারে) ৩) আবেদেন ফি ৫৫৮×২= ১১১৬ টাকা (এসএসসি ও এইচএসসি) বিভিন্ন বোর্ডের ফি অবশ্য বিভিন্ন রকমের। যেমন ঢাকা বোর্ডের ৫৫৮, দিনাজপুর বোর্ডের ১০৩৮, রাজশাহীর ১০২৮। বোর্ডগুলো তাদের ফি নির্ধারণ করে থাকে। ৪) সার্টিফিকেট উত্তলন ফি ৫৫৮×২= ১১১৬ টাকা (২টি) সব মিলিয়ে আপনার খরচ হতে পারে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো। 

এফিডেভিট

সার্টিফিকেটে নাম বা জন্ম তারিখের ভুল সংশোধনের জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট অথবা নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিট/হলফনামা সম্পাদন করাতে হবে। আবেদনকারীর নিজের নাম/পিতা/মাতা/জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় কিংবা কম হয় কিংবা আবেদনকারী তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আবেদনকারীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট/হলফনামা সম্পাদন করতে হবে। হলফনামা সম্পাদনকালে অবশ্যই নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (আবেদনকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তাও উল্লেখ করতে হবে।

পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য এফিডেভিট/হলফনামা সম্পাদনের পর যে কোনো একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে এফিডেভিটে উল্লেখিত তথ্যাদি সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে। এবং নোটারি পাবলিক অথবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর আসবে, তাও পত্রিকার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করতে হবে।