রিজিক নিয়ে হাদিস
-6720fa2142697.png)
Admin
October 29, 2024
467
রিজিক আল্লাহর তাআলার অনন্য নেয়ামত। রিজিক শুধু অর্থকড়ি কিংবা খাওয়া-দাওয়া নয়। ঈমান-আমল, ইলম ও নেককার স্ত্রী-সন্তানসহ মানুষের সামগ্রিক জীবনের বৈধ সব উপায়-উপকরণই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা সবাইকে রিজিক দান করেন। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি রিজিকদাতা এবং মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৮)
মুসলিম অমুসলিম সবাইকে তিনি রিজিক দান করেন। অমুসলিমদের জন্য দুনিয়াতে রিজিকের পরিমাণ বেশি রাখা হয়েছে। এ সম্পর্কে কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘পার্থিব জীবনের ওপর কাফেরদের উন্মত্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর তারা ইমানদারদের প্রতি লক্ষ করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেজগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুজি দান করেন।’ (সুরা বাকারা: ২১২)
রিজিক আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি এদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত; সুস্পষ্ট কিতাবে (জীবনধারণের) সব কিছুই লিপিবদ্ধ আছে।’ (সুরা হুদ: ৬)
পবিত্র কোরআনের ঘোষণা- রিজিকের ব্যবস্থা হয় আসমান থেকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশে আছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সবকিছু।’ (সুরা জারিয়াত: ২২)
রিজিক সমভাবে বণ্টন না হওয়ার কারণ হিসেবে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি আল্লাহ তাঁর সব বান্দাকে প্রচুর রিজিক দিতেন, তাহলে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা, সেই পরিমাণ (রিজিক) অবতীর্ণ করেন।’ (সুরা শুরা: ২৭)
পরীক্ষার জন্যও আল্লাহ কাউকে কম রিজিক দেন, আবার কাউকে বেশি। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণিকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি, এর মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করার জন্য। তোমার রবের রিজিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।’ (সুরা ত্বহা: ১৩১)
আবার কিছু পাপের কারণে আল্লাহ তাআলা বান্দার রিজিকের বরকত কমিয়ে দেন অথবা রিজিক সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আবার কিছু আমলের কারণে রিজিকের দরজা উম্মুক্ত হয়ে যায় বা রিজিকে প্রচুর বরকত লাভ হয়।
যেসব আমলে রিজিকে বরকত লাভ হয়
১. তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘... আর যে কেউ তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য (উত্তরণের) পথ করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই...। (সুরা তালাক: ২-৩)
২. পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তাঁর মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে। (বুখারি: ২০৬৭) সহিহ বুখারির আরেক হাদিসে, আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে লোক তার জীবিকা প্রশস্ত করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। (বুখারি: ৫৯৮৫)
৩. তাওবা ও ইস্তেগফার করা। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আমি বললাম, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তিনি তো ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদীনালা।’ (সুরা নুহ: ১০-১২)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করে আল্লাহ তাআলা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা করে দেন, তার সব পেরেশানি দূর করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫১৮)
৪. আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘(হে রাসুল! আপনি) বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকতা।’ (সুরা সাবা: ৩৯)
৫. বারবার হজ-ওমরা করা। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ‘তোমরা হজ ও ওমরা পালন কর। কেননা হজ ও ওমরা উভয়টি দারিদ্রতা ও পাপরাশিকে দূর করে দেয়; যেমনিভাবে রেত সোনা, রুপা ও লোহার মরিচা দূর করে দেয়। আর মাবরূর হজের বদলা হল জান্নাত।’ (তিরমিজি: ৮০৮)
৬. দান সদকা করা, অসহায়দের প্রতি সদয় হওয়া। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি ব্যয় করো হে আদম সন্তান! আমিও তোমার জন্য ব্যয় করব।’ (বুখারি: ৫৩৫২; ২৮৯৬)
৭. আল্লাহর ইবাদতে অবিচল থাকা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমি আপনাকে রিজিক দেই এবং আল্লাহকে ভয় করার পরিণাম শুভ তথা কল্যাণকার।’ (সুরা ত্বাহা: ১৩২)
৮. আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা। ও জিহাদে অংশ নেওয়া। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ–তাআলার রাস্তায় হিজরত করবে; জমিনে বহু আশ্রয়স্থল ও সচ্ছলতা পাবে সে।’ (সুরা নিসা: ১০০) ইবনে ওমর (রা.)–র বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমার বর্শার ছায়াতলে আমার রিজিক রাখা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৫,৬৬৭; বায়হাকি: ১,১৫৪)
৯. বিয়ে করা। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত এবং তোমাদের দাস–দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। কারণ, আল্লাহ–তাআলা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)
৪. আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘(হে রাসুল! আপনি) বলুন, নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকতা।’ (সুরা সাবা: ৩৯)
৫. বারবার হজ-ওমরা করা। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ‘তোমরা হজ ও ওমরা পালন কর। কেননা হজ ও ওমরা উভয়টি দারিদ্রতা ও পাপরাশিকে দূর করে দেয়; যেমনিভাবে রেত সোনা, রুপা ও লোহার মরিচা দূর করে দেয়। আর মাবরূর হজের বদলা হল জান্নাত।’ (তিরমিজি: ৮০৮)
৬. দান সদকা করা, অসহায়দের প্রতি সদয় হওয়া। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি ব্যয় করো হে আদম সন্তান! আমিও তোমার জন্য ব্যয় করব।’ (বুখারি: ৫৩৫২; ২৮৯৬)
৭. আল্লাহর ইবাদতে অবিচল থাকা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমি আপনাকে রিজিক দেই এবং আল্লাহকে ভয় করার পরিণাম শুভ তথা কল্যাণকার।’ (সুরা ত্বাহা: ১৩২)
৮. আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা। ও জিহাদে অংশ নেওয়া। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহ–তাআলার রাস্তায় হিজরত করবে; জমিনে বহু আশ্রয়স্থল ও সচ্ছলতা পাবে সে।’ (সুরা নিসা: ১০০) ইবনে ওমর (রা.)–র বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমার বর্শার ছায়াতলে আমার রিজিক রাখা হয়েছে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৫,৬৬৭; বায়হাকি: ১,১৫৪)
৯. বিয়ে করা। আল্লাহ–তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত এবং তোমাদের দাস–দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। কারণ, আল্লাহ–তাআলা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)