পেপের উপকারিতা

পেপের উপকারিতা
Admin October 17, 2024 366
পেঁপে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও খনিজ পদার্থ। এতে ক্যালরির পরিমাণও কম। খালি পেটে পেঁপে খাওয়া শারীরিকভাবে উপকারী। সকালে বা রাতে—যখনই খাওয়া হোক। প্রতিদিন এক বাটি পেঁপে খাওয়া যেতে পারে। পেঁপেতে শর্করার পরিমাণ কম, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও কিছু পরিমাণে পেঁপে খেলে সমস্যা হবে না।

পেঁপের উপকারিতার শেষ নেই। নিয়মিত পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্বলের গোলমাল কমায়। ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় পেঁপে উপকারী। পেঁপের মধ্যে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরের ওজন হ্রাসেও পেঁপের কার্যকারিতা প্রমাণিত। পেঁপের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া পেঁপের অন্তর্নিহিত অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমায়।

তবে পেঁপেতে যাঁদের এলার্জি আছে, তাঁদের পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তা ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের কাঁচা পেঁপে না খাওয়াই উত্তম, কেননা এর মধ্যে রয়েছে ল্যাটেক্স নামের পদার্থ, যা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। পেঁপে খেতে হবে খালি পেটে। পেঁপে খাওয়ার ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর পানি পান করা যেতে পারে। আর পেঁপের মধ্যে এমনিতেই যথেষ্ট পরিমাণে পানি আছে।

জেনে নিন কাঁচা পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে-


১। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালোরি আছে, তেমন মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে।

২। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।

৩। পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে।

৪। কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫। কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।

৬। নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে।

৭। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।

৮। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।

৯। পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারি। কারণ এটি নারীদের যে কোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।

১০। পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এছাড়া এতে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।