পাতন কাকে বলে

পাতন কাকে বলে
Admin November 26, 2024 354
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ওয়েব সাইটের শিক্ষা রিলেটেড পাতন নিয়ে আলোচিত উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পাতন, বাষ্প পাতন, উর্ধ্ব পাতন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনায় মাধ্যমে জানাচ্ছি। রাসায়নিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পদার্থের অবস্থান নির্ণয় করার ক্ষেত্রে পদার্থের বিভিন্ন গঠন বা অবস্থা দেখা যায়। পদার্থ কঠিন অবস্থায়, তরল অবস্থায়, গ্যাসীয় অবস্থা ছাড়াও পাতন অবস্থায়, ঊর্ধ্বপাতন অবস্থায় ইত্যাদি পদ্ধতিতে থাকতে পারে। তাই পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য পাতন ও উর্ধ্বপাতন সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

পাতন বলতে কি বুঝায়?

পাতন বলতে বাষ্পীভবন এবং ঘনীভবন উভয় প্রক্রিয়ার একসঙ্গে ব্যবহারকে বোঝানো হয়। যেহেতু পাতন প্রক্রিয়ার প্রথমে বাসবে পরিণত করা হয়, তাই এক্ষেত্রে বাষ্পীভবন ভবন ঘটে। অপরদিকে বাষ্পীভবনের পর পুনরায়
শীতলীকরণ প্রক্রিয়া চালু করা হয়, এ প্রক্রিয়াকে আমরা ঘনীভবন বলে থাকি।আর এইভাবে দুইটি প্রক্রিয়ার সংমিশ্রণ সৃষ্টি হয় পাতন প্রক্রিয়া। আমি পূর্বে বলেছিলাম যে পাতন প্রক্রিয়ার একটি সূত্র রয়েছে এবং আমি এখনই এই সূত্রটি আপনাদের মাঝে আলোকপাত করতে চলেছি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যায়।

পাতন প্রক্রিয়ার সূত্রটি হলো:

বাষ্পীভবন + ঘনীভবন (Distillation =Vaporization + Condensation)।

এটি পাতন প্রক্রিয়ার সূত্র এবং এই সূত্রটি সম্পূর্ণরূপে পাতনের সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে বলে আমরা মনে করতে পারি। কিন্তু এমনটি মোটেও না বরং পাতনের সূত্রের উপর পাতনের সংজ্ঞাটি দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং এই সূত্র থেকে আমরা পাতনের সংজ্ঞা পাই। এই সূত্রটি দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, পাতন বলতেই বাষ্প এবং শীতলীকরণ উভয়ের যোগফলকে নির্দেশ করে। আর এই কথাটি আমরা সংজ্ঞা হতে প্রথমে জেনে এসেছি এবং আবার পাতনের সূত্র থেকে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হলাম।

বাষ্প পাতন পদ্ধতি কি?

যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে অন্যান্য সকল উদ্বায়ী  এবং অ-উদ্বায়ী উপাদানগুলো একত্রে মিশ্রিত হয়ে পাতিত  পদ্ধতিতে জল নিয়ে গঠিত হয়। এক্ষেত্রে ফুটন্ত পান থেকে বাষ্পী ভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্বায়ী পদার্থের ভাস্পকে কনডেনসারে নিয়ে আসা যায়। এভাবে উবেই ঠান্ডা হওয়ার পাশাপাশি কঠিন বাদল অবস্থায় ফিরে আসে এ পদ্ধতিতে তখন অ-উদ্বায়ী গুলো রয়েছে সেগুলো অবশিষ্ট অংশগুলো ফুটন্ত পাত্রে থেকে যায়।

পাতনের প্রকারভেদ

প্রয়োজনানুসারে চার ধরনের পাতন পদ্ধতি পরীক্ষগারে ব্যবহার করা হয়। যথাঃ

১) সাধারণ পাতনঃ স্ফুটন তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক চাপে যে সকল তরল বিয়োজিত হয় না তাদের বেলায় প্রযোজ্য।
২) আংশিক পাতনঃ কাছাকাছি স্ফুটনাংক বিশিষ্ট একাধিক তরল পদার্থের মিশ্রণ থেকে উপাদান পৃথকীকরণে প্রযোজ্য।
৩) নিম্নচাপ পাতনঃ যে সকল তরল পদার্থ স্বাভাবিক এবং কম তাপমাত্রায় বিয়োজিত হয় তাদের বিশোধনের জন্য প্রযোজ্য।
৪) স্টীম পাতনঃ পানিতে অদ্রবণীয় ও জলীয় বাষ্পে উদ্বায়ী পদার্থের বিশোধনের
জন্য প্রযোজ্য।