অধিক সময় সহবাসের দোয়া

অধিক সময় সহবাসের দোয়া
Admin October 16, 2024 333

মানুষের স্বভাবজাত পরিচ্ছন্নতা, মানসিক ভারসাম্য, চারিত্রিক উৎকর্ষ ও পবিত্রতা রক্ষার অন্যতম উপায় বিয়ে। মানবতার ধর্ম ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে সুন্দর ও পূতপবিত্র জীবনযাপনের জন্য বিয়ের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে আল্লাহ তাআলা বিয়ের বিষয়টি সহজ ও স্বাভাবিক করে দিয়েছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা বিয়ে করো তোমাদের পছন্দের নারীদের থেকে, দুজন অথবা তিনজন অথবা চারজন; কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে তোমরা ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না, তাহলে মাত্র একজন।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ০৩)

সহবাসের সময় যে দোয়া পড়বেন

আরবি : بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

বাংলা উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা, ওয়া জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাজাক্বতানা।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার নামে আরম্ভ করছি। তুমি আমাদের নিকট হতে শয়তানকে দূরে রাখ। আমাদের যে সন্তান দান করবে (এ মিলনের ফলে)— তা থেকেও শয়তানকে দূরে রাখো।

স্বামী-স্ত্রী মিলনের আগে দোয়া পড়বেন কেন?

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ যদি স্ত্রী সহবাসের মনোবাসনায় বলে— بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا;  তাহলে তাদের ভাগ্যে যে সন্তান নির্ধারণ করা হয়, শয়তান কখনো তার ক্ষতি করবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩৮৮; মুসলিম, হাদিস : ১৪৩৪) অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, ‘শয়তান তার ক্ষতি করবে না, এবং তার ওপর প্রভাব বিস্তার করতেও দেওয়া হবে না।’(বুখারি, হাদিস : ৩২৮৩)

সহবাসের দোয়া পড়তে ভুলে গেলে

এ দোয়া যে পড়ে এবং পরবর্তীতে যাকে সন্তান দেওয়া হয়, তার জন্য এ হাদিসে ওয়াদা রয়েছে : “শয়তান তার ক্ষতি করবে না।” তবে যে এ দোয়া পড়তে ভুলে যায়, শয়তান তার সন্তানের অবশ্যই ক্ষতি করবে, এমন কিছু এ হাদিসে নেই। বরং তা কতক মনীষী থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই, আল্লাহ সন্তানকে শয়তান থেকে হিফাজত করবেন, এ আশায় নিয়মিত এ দোয়াটি পড়ে নেয়া জরুরি।

‘শয়তান ক্ষতি করতে পারবেনা’র ব্যখ্যা

উল্লেখিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান তার ক্ষতি করবে না’— (لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ) এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ বলেছেন, এ সন্তানটি নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হবে; যার ওপর শয়তানের কর্তৃত্ব থাকবে না। আবার কেউ বলেছেন, শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না। অথবা শয়তান তাকে কুফরির মাধ্যমে গোমরাহ করতে পারবে না। কাজি আয়াজ (রহ.) বলেছেন, ‘তার ক্ষতি করতে পারবে না’ এর অর্থ কেউ বলেছেন- শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ বলেছেন, জন্মের সময় ও অন্যান্য সন্তানের বিপরীতে— শয়তান তাকে খোঁচা দেবে না। তিনি আরও বলেন, তবে সব ধরনের ক্ষতি, শয়তানি ওয়াসওয়াসা ও পথভ্রষ্টতা থেকে সে সুরক্ষা পাবে— এ অর্থ কেউ করেন নি। (ইমাম নববি (রহ.) ‘সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যগ্রন্থে’ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।)