কিয়ামতের আলামত

কিয়ামতের আলামত
Admin November 17, 2024 317
কেয়ামতের পূর্বে কেয়ামতের নিকটবর্তিতার প্রমাণস্বরূপ যে আলামতগুলো প্রকাশ পাবে সেগুলোকে ছোট আলামত ও বড় আলামত এই পরিভাষাতে আখ্যায়িত করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছোট আলামতগুলো কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার অনেক আগেই প্রকাশিতহবে। এর মধ্যে কোন কোন আলামত ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। কোন কোন আলামত নিঃশেষ হয়ে আবার পুনঃপ্রকাশ পাচ্ছে। কিছু আলামত প্রকাশিত হয়েছে এবং অব্যাহতভাবে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। আর কিছু আলামত এখনো প্রকাশ পায়নি। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংবাদ অনুযায়ী সেগুলো অচিরেই প্রকাশ পাবে। কেয়ামতের বড় বড় আলামত:

এগুলো হচ্ছে অনেক বড় বড় বিষয়। এগুলোর প্রকাশ পাওয়া প্রমাণ করবে যে, কেয়ামত অতি নিকটে; কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার সামান্য কিছু সময় বাকী আছে।

কেয়ামতের বড় আলামতগুলো

১. ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশ। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘মাহদী আসবেন আমার বংশধর হতে। তাঁর কপাল হবে উজ্জল এবং নাক হবে উঁচু। পৃথিবী হতে যুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দিয়ে তা ভরে দিবেন। সাত বছর পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করবেন।” (আবু দাউদ, কিতাবুল মাহদী অধ্যায়, সহিহুল জামে আস্ সাগীর- ৬৬১২)

২. মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব। ইবনে উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, “একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপর দাজ্জালের আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, আমি তোমাদেরকে তার ফিতনা থেকে সাবধান করছি। সকল নবীই তাদের উম্মতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি তোমাদের কাছে দাজ্জালের একটি পরিচয়ের কথা বলবো, যা কোন নবী বলেননি। তা হলো দাজ্জাল অন্ধ হবে। আর আমাদের মহান আল্লাহ অন্ধ নন। (বুখারি ও মুসলিম)

নাওয়াস বিন সামআন (রাঃ) বলেন, “এক সকালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে দাজ্জালের বর্ণনা করলেন। তার ফিতনাকে খুব বড় করে তুলে ধরলেন। বর্ণনা শুনে আমরা মনে করলাম কাছে খেজুর বাগানের পাশেই সে হয়ত অবস্থান করছে। আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমরা আবার তাঁর কাছে গেলাম। এবার তিনি আমাদের অবস্থা বুঝে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কী হলো? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যেভাবে দাজ্জালের আলোচনা করেছেন, তা শুনে আমরা ভাবলাম— হতে পারে সে খেজুরের বাগানের ভেতরেই অবস্থান করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের উপর আমার আরও ভয় রয়েছে। আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকতেই যদি দাজ্জাল আগমণ করে, আমি একাই তার বিরুদ্ধে লড়বো। আর আমি চলে যাওয়ার পর যদি সে আগমণ করে, তাহলে প্রত্যেকেই নিজেকে হেফাজত করবে। আর আমি চলে গেলে আল্লাহই প্রতিটি মুসলমানকে হেফাযতকারী হিসেবে যথেষ্ট”। (তিরমিযি, কিতাবুল ফিতান)

৩. ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) এর আগমন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ওই আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ। অচিরেই ন্যায় বিচারক শাসক হিসেবে ঈসা (আঃ) তোমাদের মাঝে আগমণ করবেন। তিনি ক্রুশচিহ্ন ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর হত্যা করবেন এবং জিজিয়া প্রত্যাখ্যান করবেন। ধন-সম্পদ প্রচুর হবে এবং তা নেওয়ার মতো কোন লোক পাওয়া যাবে না। এমনকি মানুষের কাছে একটি সেজদা দুনিয়া এবং তার মধ্যকার সমস্ত বস্তু হতে উৎকৃষ্ট হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন—তোমরা চাইলে আল্লাহর এই বাণীটি পাঠ করো,

وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا

“আহলে কিতাবদের প্রত্যেকেই তাঁর মৃত্যুর পূর্বে তাঁর প্রতি ইমান আনয়ন করবে এবং উত্থান দিবসে তিনি তাদের উপর সাক্ষ্য প্রদান করবেন”। এখানে হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বুঝাতে চাচ্ছেন যে, আহলে কিতাবের লোকেরা অচিরেই ঈসা (আঃ)এর মৃত্যুর পূর্বেই তাঁর উপর ঈমান আনবে। আর সেটি হবে শেষ জামানায় তাঁর অবতরণের পর। (বুখারি, অধ্যায়: কিতাবু আহাদিসুলল আম্বিয়া। মুসলিম, অধ্যায়: ঈসা (আঃ)এর অবতরণ)

৪. ইয়াজুজ-মাজুজের আত্মপ্রকাশ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর ঈসা (আঃ)-এর কাছে এমন কিছু লোক আসবেন, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাজত করেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বুলাবেন এবং বেহেশতের মধ্যে তাদের উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে সংবাদ দিবেন। ঈসা (আঃ) যখন এ অবস্থায় থাকবেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে জানাবেন যে, আমি এমন একটি জাতি বের করেছি, যাদেরকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা কারো নেই। কাজেই আপনি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে তুর পাহাড়ে উঠে যান। এ সময় আল্লাহ তাআলা ইয়াজুজ-মাজুজের বাহিনী প্রেরণ করবেন। তারা প্রত্যেক উঁচু ভূমি থেকে বের হয়ে আসবে। তাদের প্রথম দলটি ফিলিস্তিনের তাবারিয়া জলাশয়ের সব পানি পান করে ফেলবে। তাদের শেষ দলটি সেখানে এসে পানি না পেয়ে বলবে— ‘এক সময় এখানে পানি ছিল।’ তারা আল্লাহর নবী ও তার সাথীদেরকে অবরোধ করে রাখবে। ঈসা (আঃ) ও তার সাথীরা প্রচণ্ড খাদ্যাভাবে পড়বেন। এমনকি বর্তমানে তোমাদের কাছে একশত স্বর্ণ মুদ্রার চেয়ে তাদের কাছে একটি গরুর মাথা তখন বেশি প্রিয় হবে। আল্লাহর নবী ঈসা ও তাঁর সাথীগণ এই ফিতনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করে ইয়াজুজ-মাজুজের ঘাড়ে ‘নাগাফ’ নামক একশ্রেণির পোকা প্রেরণ করবেন। এতে একই সময়ে একটি প্রাণি মৃত্যুবরণ করার মতো তারা সকলেই মারা যাবে। অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা ও তার সাথীগণ জমিনে নেমে এসে দেখবেন ইয়াজুজ-মাজুজের মরা-পঁচা লাশ। তাদের শরীরের চর্বিতে জমিন ভরে গেছে। আধা হাত জায়গাও খালি নেই কোথাও। আল্লাহর নবী ঈসা ও তাঁর সাথীগণ আল্লাহর কাছে আবার দোয়া করবেন। আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করে উটের গর্দানের মতো লম্বা লম্বা একদল পাখি পাঠাবেন। আল্লাহর আদেশে পাখিগুলো তাদেরকে অন্যত্র নিক্ষেপ করে পৃথিবীকে পরিস্কার করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। এতে পৃথিবী একেবারে আয়নার মতো পরিস্কার হয়ে যাবে। (মুসলিম, অধ্যায়- কিতাবুল ফিতান)

৫. পূর্বদিকে বড় ধরণের ভূমিধস। ৬. পশ্চিমাঞ্চলে বড় ধরণের ভূমিধস। ৭. আরব উপদ্বীপে বড় ধরণের ভূমিধস। (ভূমিধস অর্থ হচ্ছে জমিনের কোনো অংশ নিচের দিকে বিলীন হয়ে যাওয়া।) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দশটি আলামত প্রকাশ হওয়ার আগে কেয়ামত সংঘটিত হবে না। তার মধ্যে তিনটি ভূমিধসের কথা উল্লেখ করলেন। একটি হবে পূর্বাঞ্চলে, একটি পশ্চিমাঞ্চলে এবং অপরটি আরব উপদ্বীপে।” (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)

৮. বিশাল একটি ধোঁয়া দেখা যাবে। কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে বিশাল আকারের একটি ধোঁয়া বের হয়ে আকাশ এবং জমিনের মধ্যবর্তী খালি জায়গা পূর্ণ করে ফেলবে। এই ধোঁয়া মুমিনদেরকে সামান্য একটু সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত করে দিবে। কাফেরদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করবে। ফলে তাদের শরীর ফুলে যাবে এবং শরীরের প্রতিটি ছিদ্র দিয়ে ধোঁয়া বের হবে। এটি তাদের জন্য একটি যন্ত্রণাদায়ক আজাবে পরিণত হবে। আললাহ তাআলা বলেন, “অতএব তুমি অপেক্ষা করো সেই দিনের, যেদিন আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে এবং তা আচ্ছন্ন করে ফেলবে মানব জাতিকে। এটা হবে এক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই শাস্তি হতে মুক্তি দিন, আমরা ঈমান আনবো। তারা কি করে উপদেশ গ্রহণ করবে? তাদের কাছে তো এসেছে সুস্পষ্ট একজন রাসূল। অতঃপর তারা তাঁকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে বলেছে, ‘সে তো শেখানো কথা বলছে, সে তো একজন পাগল’। আমি আজাব একটুখানি সরিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু এরপরও তোমরা পূর্বের ন্যায় আচরণ করবে।” (সূরা দুখান: ১০-১৫)

৯. পশ্চিম গগণে সূর্যোদয়। ‘‘যতোদিন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে না ততদিন কিয়ামত হবে না। যখন পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে এবং মানুষ তা দেখতে পাবে, তখন সবাই ইমান আনবে। তখন এমন ব্যক্তির ইমান কোনো উপকারে আসবে না, যে আগে থেকে বিশ্বাস স্থাপন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোনো সৎকাজ করেনি।” (বুখারি, কিতাবুর রিকাক)

১০. অদ্ভূত এক জন্তুর প্রকাশ ঘটবে। এই জন্তুকে হাদিসে দাব্বাতুল আরদ বলা হয়েছে। হজরত হুজায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বললেন, ‘কেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না দশটি নিদর্শন তোমরা দেখতে পাবে, (যথা) পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া, ধোঁয়া বের হওয়া, দাজ্জালের আবির্ভাব, মরিয়ম তনয় ঈসার আগমন, ভূগর্ভ থেকে জন্তু বের হওয়া...।’ (মুসলিম: ২৮৯৯; মুসনাদে আহমাদ: ৩৬৪৩)।

১১. ইয়েমেন থেকে আগুন বের হয়ে মানুষকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে। ‘ যতদিন তোমরা দশটি আলামত না দেখো, ততোদিন কেয়ামত হবে না। (১) ধোঁয়া (২) দাজ্জালের আগমণ (৩) ভূগর্ভ থেকে দাব্বাতুল আরদ্ নামক অদ্ভুদ এক জানোয়ারের নির্গমণ (৪) পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় (৫) ঈসা ইবনে মরিয়মের আগমণ (৬) ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব (৭) পূর্বে ভূমিধস (৮) পশ্চিমে ভূমিধস (৯) আরব উপদ্বীপে ভূমিধস (১০) সর্বশেষে ইয়েমেন থেকে একটি আগুন বের হয়ে মানুষকে সিরিয়ার দিকে হাঁকিয়ে নিবে।” (মুসলিম, কিতাবুল ফিতান)

কেয়ামতের ছোট আলামতগুলো

কেয়ামতের ছোট আলামতের অনেক সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে সহিহ হাদিসগুলোতে। এখানে সম্পূর্ণ হাদিস উল্লেখ না করে শুধু প্রাসঙ্গিক বিষয় আলোচনা করা হচ্ছে। কেয়ামতের ছোট আলামতের মধ্যে রয়েছে-

১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভ।

২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত।

৩. বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়।

৪. ফিলিস্তিনের “আমওয়াস” নামক স্থানে প্লেগ রোগ দেখা দেয়া।

৫. প্রচুর ধন-সম্পদ হওয়া এবং জাকাত খাওয়ার লোক না-থাকা।

৬. নানারকম গোলযোগ (ফিতনা) সৃষ্টি হওয়া। যেমন ইসলামের শুরুর দিকে উসমান (রাঃ)-এর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া, জঙ্গে জামাল ও সিফফিনের যুদ্ধ, খারেজিদের আবির্ভাব, হাররার যুদ্ধ, কোরআন আল্লাহর এক সৃষ্টি—এই মতবাদের বহিঃপ্রকাশ ইত্যাদি।

৭. নবুয়তের মিথ্যা দাবিদারদের আত্মপ্রকাশ। যেমন- মুসাইলামাতুল কাজজাব ও আসওয়াদ আনসি।

৮. হেজাজে আগুন বের হওয়া। সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি ৬৫৪ হিজরিতে এই আগুন প্রকাশিত হয়েছে। তৎকালীন ও তৎপরবর্তী আলেমগণ এই আগুনের বিবরণ দিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যেমন ইমাম নববী লিখেছেন- “আমাদের জামানায় ৬৫৪হিজরিতে মদিনাতে আগুন বেরিয়েছে। মদিনার পূর্ব পার্শ্বস্থ কংকরময় এলাকাতে প্রকাশিত হওয়া এই আগুন ছিল এক মহাঅগ্নি। সকল সিরিয়াবাসী ও অন্য শহরের মানুষ তাওয়াতুর সংবাদের ভিত্তিতে তা অবহিত হয়েছে। মদিনাবাসীদের এক ব্যক্তি আমাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, যিনি নিজে সে আগুন প্রত্যক্ষ করেছেন।”

৯. আমানতদারিতা না-থাকা। আমানতদারিতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার একটা উদাহরণ হচ্ছে- যে ব্যক্তি যে দায়িত্ব পালনের যোগ্য নয়, তাকে সে দায়িত্ব প্রদান করা।

১০. ইলম উঠিয়ে নেয়া ও অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করা।

১১. ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া।

১২. সুদ ছড়িয়ে পড়া।

১৩. বাদ্য-যন্ত্রের ব্যাপকতা।

১৪. মদ্যপান বেড়ে যাওয়া।

১৫. রাখালেরা সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করবে।

১৬. কৃতদাসী কর্তৃক স্বীয় মনিবকে প্রসব করা। ইবনে হাজার এই কথার যে অর্থটি নির্বাচন করেছেন সেটি হচ্ছে- সন্তানদের মাঝে পিতামাতার অবাধ্যতা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়া। সন্তান তার মায়ের সাথে এমন অবমাননাকর ও অসম্মানজনক আচরণ করবে যা একজন মনিব তার দাসীর সাথে করে থাকে।

১৭. মানুষ হত্যা বেড়ে যাওয়া।

১৮. অধিকহারে ভূমিকম্প হওয়া।

১৯. মানুষের আকৃতি রূপান্তর, ভূমি ধ্স ও আকাশ থেকে পাথর পড়া।

২০. কাপড় পরিহিতা সত্ত্বেও উলঙ্গ-নারীদের বহিঃপ্রকাশ।

২১. মুমিনের স্বপ্ন সত্য হওয়া।

২২. মিথ্যা সাক্ষ্য বেড়ে যাওয়া; সত্য সাক্ষ্য লোপ পাওয়া।

২৩. নারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।

২৪. আরব ভূখণ্ড আগের মতো তৃণভূমি ও নদনদীতে ভরে যাওয়া।

২৫. একটি স্বর্ণের পাহাড় থেকে ফোরাত (ইউফ্রেটিস) নদীর উৎস আবিষ্কৃত হওয়া।

২৬. হিংস্র জীবজন্তু ও জড় পদার্থ মানুষের সঙ্গে কথা বলবে।

২৭. রোমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং মুসলমানদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হওয়া।

২৮. কনস্টান্টিনোপল বিজয় হওয়া ইত্যাদি।

কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে মুমিন মুসলমানের উচিত— প্রতিটি মুহূর্তকে জীবনের শেষ মুহূর্ত ভেবে জীবন-যাপন করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কেয়ামত সম্পর্কে সতর্ক হয়ে ইসলামি বিধান পুরোপুরি মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন