জুমার খুতবা

Admin
November 05, 2024
334
জুমার খুতবার দুটি অংশ। প্রথম অংশটি প্রথম খুতবা এবং শেষ অংশটি দ্বিতীয় খুতবা নামে প্রসিদ্ধ। খুতবা মানে হলো ভাষণ বা বক্তৃতা। এই ভাষণ দেওয়া ও শোনার বহু নিয়ম-নীতি আছে। যার কিছু নিম্নরূপ:
খুতবার জন্য ওযু হওয়া শর্ত নয়। তবে খুতবার পরেই যেহেতু নামাজ, তাই ওযু থাকা বাঞ্ছনীয়। খুতবা চলাকালে খতিবের ওযু নষ্ট হলে খুতবার পর তিনি ওযু করবেন এবং সে পর্যন্ত লোকেরা অপেক্ষা করবে। (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব, ইবনে উসাইমীন ১/২০৮)
খুতবা পরিবেশিত হবে দণ্ডায়মান অবস্থায়। বিনা ওজরে বসে জুমার খুতবা সহিহ নয়।
মহানবী (ﷺ) খুতবায় দাঁড়াবার সময় লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন। (আবু দাউদ, সুনান ১০৯৬নং) অবশ্য অনেকে বলেন, এ ছিল মিম্বর বানানোর পূর্বে। আল্লাহু আ'লাম।
মহানবী (ﷺ) অধিকাংশ সময়ে মাথায় পাগড়ি ব্যবহার করতেন। সুতরাং যারা পাগড়ি ব্যবহার করে না, তাদের বিশেষ করে জুমুআ বা খুতবার জন্য পাগড়ি ব্যবহার করা বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফিআহ, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ, মুহাদ্দিস আলবানী ৬৭পৃ:)
জুমার খুতবা হবে কোনো উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে। যাতে সকল নামাজিকে খতিব দেখতে পান এবং তাঁকে সকলে দেখতে পায়। এক্ষেত্রে দুই থাকি বা তিন থাকি অথবা তার চেয়ে বেশি থাকির কোনো প্রশ্ন নেই। আসল উদ্দেশ্য হলো উঁচু জায়গা। অতঃপর সেই উঁচু জায়গায় পৌঁছনোর জন্য যতটা সিঁড়ির দরকার ততটা করা যাবে। এতে বাধ্যতামূলক কোনো নীতি নেই। শুরুতে মহানবী (ﷺ) একটি খেজুর গাছের উপর খুতবা দিতেন। তারপর এক ছুতোর সাহাবী তাঁকে একটি মিম্বর বানিয়ে দিয়েছিলেন; যার সিঁড়ি ছিল দুটি। (আবু দাউদ, সুনান ১০৮১নং) এই দুই সিঁড়ি চড়ে তৃতীয় (শেষ) ধাপে মহানবী (ﷺ) বসতেন। বলা বাহুল্য, তাঁর মিম্বর ছিল তিন ধাপ বিশিষ্ট। আর এটাই হলো সুন্নত। (ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩৩১) (এবং করতে হয় মনে করে) তার বেশি ধাপ করা বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফিআহ, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ, মুহাদ্দিস আলবানী ৬৭পৃ:)
বিশেষ করে জুমার জন্য জুমার দিন মিম্বরের উপর কার্পেট বিছানো বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী, ৬৬ পৃ:)
মিম্বরে চড়ে মহানবী (ﷺ) মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সালাম দিতেন। (ইবনে মাজাহ্, সুনান ১১০৯, সিলসিলাহ্ সহীহাহ্, আলবানী ২০৭৬ নং) এরপর বসে যেতেন। মুয়াজ্জিন আজান শেষ করলে উঠে দাঁড়াতেন।
আল্লাহর রাসুল (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। তিনি খুতবায় কুরআনের আয়াত পাঠ করে লোকেদের নসিহত করতেন। (মুসলিম, আবু দাউদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান)
খুতবা হবে মহান আল্লাহর প্রশংসা, মহানবীর নবুওয়াতের সাক্ষ্য, আল্লাহর তাওহিদের গুরুত্ব, ঈমান ও ইসলামের শাখা-প্রশাখার আলোচনা, হালাল ও হারামের বিভিন্ন আহকাম, কুরআন মাজিদের কিছু সূরা বা আয়াত পাঠ, লোকেদের জন্য উপদেশ, আদেশ-নিষেধ বা ওয়াজ-নসিহত এবং মুসলিম সর্বসাধারণের জন্য দোয়া সম্বলিত।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে খুতবায় তাশাহহুদ, শাহাদাত বা আল্লাহর তাওহিদের ও রাসুলের রিসালাতের সাক্ষ্য থাকে না, তা কাটা হাতের মত (ঠুঁটো)।” (আবু দাউদ, সুনান ৪৮৪১, জামে ৪৫২০ নং)
তাঁর খুতবার ভূমিকায় মহানবী (ﷺ) যা পাঠ করতেন তা বক্ষ্যমাণ পুস্তকের (প্রথম খণ্ডের) ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। ওই খুতবা পাঠ করার পর তিনি ‘আম্মা বাদ’ (অতঃপর) বলতেন।
কখনও কখনও মহানবী ওই খুতবায় উল্লেখিত আয়াত তিনটি পাঠ করতেন না। কখনও কখনও ‘আম্মা বাদ’-এর পর বলতেন,...
فإن خير الحديث كتاب الله، وخير الهدي هدي محمد (ﷺ)، وشر الأمور محدثاتها،
وكل محدثة بدعة، وكل بدعة ضلالة، وكل ضلالة في النار।
অর্থাৎ, অতঃপর নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী আল্লাহর গ্রন্থ। সর্বশ্রেষ্ঠ হেদায়াত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর হেদায়াত। আর সর্বনিকৃষ্ট কর্ম হলো নবরচিত কর্ম। প্রত্যেক নবরচিত কর্মই বিদআত। প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতা দোযখে। (তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ৩৩৪-৩৩৫ পৃ:)
তিনি খুতবায় সূরা ক্বাফ এত বেশি পাঠ করতেন যে, উম্মে হিশাম (রাঃ) প্রায় জুমআতে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে মিম্বরের উপরে পাঠ করতে শুনে তা মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ ৮৭২-৮৭৩ নং, আবু দাউদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান)
তারপর একটি খুতবা দিয়ে একটু বসতেন।
এ বৈঠকে পঠনীয় কোন দোয়া বা যিকির নেই। খতীব বা মুক্তাদী সকলের জন্যই এ সময়ে সূরা ইখলাস পাঠ করা বিদআত। (মু’জামুল বিদা’ ১২২ পৃ:) মহানবী (ﷺ) বসে কোনো কথা বলতেন না। অতঃপর উঠে দ্বিতীয় খুতবা দিতেন। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, সুনান ১০৯২, ১০৯৫ নং)
এই সময় (দুই খুতবার মাঝে) কারো দোয়া করা এবং তার জন্য হাত তোলা বিধেয় নয়। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭০ পৃ:)
তাঁর উভয় খুতবাতেই নসীহত হতো। সুতরাং একটি খুতবাতে কেবল কিরাআত এবং অপর খুতবাতে কেবল নসীহত, অথবা একটি খুতবাতে নসীহত এবং অপরটিতে কেবল দোয়া করা সঠিক নয়। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭১ পৃ:)
খুতবা হবে সংক্ষেপ অথচ ব্যাপক বিষয়ভিত্তিক। মহানবী (ﷺ)-এর খুতবা এবং নামাজ মাঝামাঝি ধরনের হতো। (মুসলিম, সহীহ ৮৬৬, আহমাদ, মুসনাদ ১১০১, তিরমিজি, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান) তিনি বলতেন, “(খতীব) মানুষের নামাজ লম্বা এবং খুতবা সংক্ষিপ্ত হওয়া তার দ্বীনি জ্ঞান থাকার পরিচয়। সুতরাং তোমরা নামাজকে লম্বা এবং খুতবাকে সংক্ষেপ কর।” (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ ৮৬৯ নং) হযরত আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে খুতবা ছোট করতে আদেশ দিয়েছেন।’ (আবু দাউদ, সুনান ১১০৬ নং)
জুমার খুতবার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া এবং উচ্চস্বরে প্রভাবশালী ও হৃদয়গ্রাহী ভাষা ব্যবহার করে পরিবেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি সামনে রেখে ভাষণদান করা খতিবের কর্তব্য। মহানবী (ﷺ) যখন খুতবা দিতেন, তখন তাঁর চোখ লাল হয়ে যেত, তাঁর কণ্ঠস্বর উঁচু হত এবং তাঁর ক্রোধ বেড়ে যেত; যেন তিনি লোকদেরকে এমন এক সেনাবাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করছেন, যা আজই সন্ধ্যা অথবা সকালে তাদেরকে এসে আক্রমণ করবে। (মুসলিম, ইবনে মাজাহ, সুনান)
গান গাওয়ার মতো সুর করে খুতবা দেওয়া বিধেয় নয়, বরং তা বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ, মুহাদ্দিস আলবানী ৭২ পৃ:)
খতিবের উচিত, খুতবায় দুর্বল ও জাল হাদিস ব্যবহার না করা। প্রত্যেক খুতবা প্রস্তুত করার সময় ছাঁকা ও গবেষণালব্ধ কথা বেছে নেওয়া উচিত।
জুমার খুতবার মধ্যে খতিব মুসলিম জনসাধারণকে সহিহ আকিদা শিক্ষা দেবেন, কুসংস্কার নির্মূল করবেন, বিদআত অনুপ্রবেশ করার ব্যাপারে ও তা বর্জন করতে আহ্বান জানাবেন। সচ্চরিত্রতা ও শিষ্টাচারিতা শিক্ষা দেবেন। ইসলামের বিরুদ্ধে সকল প্রকার সন্দেহের নিরসন ঘটাবেন। মার্জিত ভাষায় ও ভঙ্গিমায় বাতিল মতবাদ ও বক্তৃতা-লেখনীর খণ্ডন করবেন। ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধের ও ঐক্যের উপর বিশেষ জোর দিয়ে তার গুরুত্ব ফুটিয়ে তুলবেন ভাষণের মাধ্যমে। উদ্বুদ্ধ করবেন মজহব, ভাষা, বর্ণ ও বংশ ভিত্তিক সকল প্রকার অন্ধ পক্ষপাতিত্ব ও তরফদারি বর্জন করতে।
মিম্বর মুসলিম জনসাধারণের। এ মিম্বরকে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। কোনো দলেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তরফদারি করা যাবে না এতে চড়ে। খতিব সাহেব সাধারণভাবে সকলকে নসিহত করবেন। তিনি হবেন সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। অবশ্য ইসলাম-বিরোধী কোনো কথা বা কাজে তিনি কারো তোষামোদ করবেন না।
বলা বাহুল্য, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এটা কোনো মানবরচিত রাজনীতির আখড়া নয়। এখানে দ্বীন উঁচু করার কথা ছাড়া অন্য দল বা ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা আলোচিত হবে না। মহান আল্লাহ বলেন,...
وأَنَّ الْمَسَاجِدَ للهِ فَلاَ تَدْعُوْا مَعَ اللهِ أَحَداً
অর্থাৎ, আর অবশ্যই মসজিদসমূহ আল্লাহর। সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে আর কাউকে আহ্বান করো না। (কুরআন মাজিদ ৭২/১৮)
খুতবা দানে বিভিন্ন উপলক্ষ্য সামনে রাখবেন খতিব। মৌসুম অনুপাতে খুতবার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করবেন। বারো চাঁদের খুতবার মতো বাঁধাধরা খুতবা পাঠ করেই দায় সারা করে কর্তব্য পালন করবেন না।
সপ্তাহান্তে একবার এই বক্তৃতা একটি সুবর্ণ সুযোগ দ্বীনের আহ্বায়কের জন্য। যেহেতু এই দিনে নামাজি-বেনামাজি, আমির-গরিব, মুমিন-মুনাফিক এবং অনেক সময় মুসলিম নামধারী নাস্তিকও কোনো স্বার্থের খাতিরে উপস্থিত হয়ে থাকে। সুতরাং এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সকলের কাছে আল্লাহর বিধান পৌঁছে দেওয়া খতিবের কর্তব্য।
খুতবায় হাত তুলে দোয়া বিধেয় নয়। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭২ পৃ:) বরং এই সময় কেবল তর্জনীর ইশারায় দোয়া করা বিধেয়। খতিবকে হাত তুলে দোয়া করতে দেখে বহু সালফ বদ-দোয়া করতেন।
বিশর বিন মারওয়ানকে খুতবায় হাত তুলে দোয়া করতে দেখে উমারাহ্ বিন রুয়াইবাহ্ বললেন, ‘ঐ হাত দুটিকে আল্লাহ বিকৃত করুন।’ (মুসলিম, সহিহ ৮৭৪, আবু দাউদ, সুনান ১১০৪ নং)
মাসরুক বলেন, ‘(জুমার দিন ইমাম-মুক্তাদি মিলে যারা হাত তুলে দোয়া করে) আল্লাহ তাদের হাত কেটে নিন।’ (ইবনে আবি শায়বা ৫৪৯১ ও ৫৪৯৩ নং)
বিধেয় নয় মুক্তাদিদের হাত তুলে দোয়া। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭৩ পৃ:) বরং ইমাম খুতবায় (হাত না তুলে) দোয়া করলে, মুক্তাদি হাত না তুলেই একাকী নিম্নস্বরে বা চুপে চুপে ‘আমিন’ বলবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়া, সৌদি উলামা-কমিটি ১/৪২৭, ৪২৮)
হ্যাঁ, খুতবায় বৃষ্টি প্রার্থনা বা বৃষ্টি বন্ধ করার জন্য দোয়া করার সময় ইমাম-মুক্তাদি সকলে হাত তুলে ইমাম দোয়া করবেন এবং মুক্তাদিরা ‘আমিন আমিন’ বলবে। (বুখারি ৯৩২, ৯৩৩, ১০১৩, ১০২৯, মুসলিম, সহিহ ৮৯৭ নং)
কোনো জরুরি কারণে খুতবা ত্যাগ করে প্রয়োজন সেরে পুনরায় খুতবা পূর্ণ করা খতিবের জন্য বৈধ। একদা মহানবী (ﷺ) খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় হযরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ) পড়ে-উঠে তাঁর সামনে আসতে লাগলে তিনি মিম্বর থেকে নিচে নেমে তাঁদেরকে উপরে তুলে নিলেন। অতঃপর তিনি বললেন, “আল্লাহ তাআলা সত্যই বলেছেন,”...
(إنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلاَدُكُمْ فِتْنَةٌ)
(অর্থাৎ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য ফিতনাই তো।) আমি এদেরকে পড়ে-উঠে চলে আসতে দেখে ধৈর্য রাখতে পারলাম না। বরং খুতবা বন্ধ করে এদেরকে তুলে নিলাম।” (আহমাদ, মুসনাদ, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)
হযরত আবূ রিফাআহ্ আদাবী (রাঃ) বলেন, একদা আমি মসজিদে এসে দেখলাম নবী (ﷺ) খুতবা দিচ্ছেন। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! একজন অপরিচিত বিদেশী মানুষ; যার দ্বীন সম্পর্কে কোন জ্ঞানই নেই। এক্ষণে সে জ্ঞান লাভ করতে চায়।’ তিনি খুতবা ছেড়ে দিয়ে আমার প্রতি অভিমুখ করলেন। এমনকি তিনি আমার নিকট এসে একটি কাঠের চেয়ার আনতে বললেন যার পায়া ছিল লোহার। তিনি তারই উপর বসে আমাকে দ্বীনের কথা বললেন। অতঃপর মিম্বরে এসে খুতবা পূর্ণ করলেন। (মুসলিম, সহীহ ৮৭৬নং, নাসাঈ, সুনান)
প্রকাশ থাকে যে, জরুরী মনে করে নিয়মিতভাবে إن الله وملائكته।।। এবং
اذكروا الله يذكركم।।। আয়াত পাঠ করে খুতবা শেষ করা বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্, মুহাদ্দিস আলবানী ৭৩পৃ:)