হস্তমৈথুন মানে কি

Admin
November 05, 2024
379
মিলনের স্বাদ উপভোগ করার জন্য কোনো উপযুক্ত উপকরণ না পাওয়া গেলে অথবা তা ব্যবহার করার সুযোগ না থাকলে, দুধের সাধ ঘোলে মিটাবার উদ্দেশ্যে প্রায় অধিকাংশ যুবক নিজের হাতকেই কৃত্রিম বিবি বানিয়ে থাকে। আর এই কাজ যেহেতু নিজের দেহ ও দেহাঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, সেহেতু অনেকেই তা খারাপ বা অশ্লীল ভাবে না, বিধায় হালাল বা বৈধ মনে করে।
পক্ষান্তরে, এই কাজও একপ্রকার নৈতিকতা ও রুচিবিরুদ্ধ গুপ্ত অশ্লীল কাজ; যা ইসলামে অবৈধ। কোনো মুসলিম নিজের বিবাহিতা স্ত্রী এবং অধিকারভুক্ত (ক্রীত বা কাফের যুদ্ধবন্দিনী) দাসী ছাড়া অন্য কারো বা কিছুর মাধ্যমে কাম-তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে না। মহান আল্লাহ বলেন, “বিশ্বাসীরা অবশ্যই সফলকাম হবে—যারা নিজেদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসিগণের ক্ষেত্রে অন্যথা কামনা করলে তারা নিন্দনীয় হবেন না। আর কেউ এদের ব্যতীত অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালংঘনকারী।” (সূরা মু'মিনুন ৫-৭, সূরা মাআরিজ ২৯-৩১ আয়াত)
সুতরাং, সকল প্রকার যৌনক্রিয়া স্ত্রীর মাঝে সীমাবদ্ধ। স্ত্রী না থাকলে তা হারাম ও অবৈধ। সেক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ পালন করা মুসলিম যুবকের জন্য অবধারিত। তিনি বলেন, “যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে।” (সূরা নুর ৩৩ আয়াত)।
আর মহানবী (সা.) বিবাহে অসমর্থ যুবকদের রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী, মুসলিম) পরন্তু, হস্তমৈথুন বৈধ হলে নিশ্চয়ই তার কোনো ইঙ্গিত তিনি দিয়ে যেতেন।
‘হ্যান্ড-প্র্যাকটিস’ বা হাত দ্বারা বীর্যপাত করা একপ্রকার নেশা ও কুঅভ্যাস, যা সত্বর ত্যাগ করে নিজের কাম-শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে, ঐ ক্ষণিকের সুখের বদলে অপেক্ষা করছে বিরাট লাঞ্ছনা ও স্বাস্থ্যহানির ধ্বংসকারিতা।
যৌবন যুবকের এক অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদের অপচয় ঘটালে, অপচয়কারী অবশ্যই একদিন পস্তাবে। উঠতি যৌবনেই যৌন-স্বাদের অপূর্ব তৃপ্তির কথা আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথেই যদি তার অপব্যবহার করে, তবে নিশ্চয়ই সে তার জীবনে অকাল-বার্ধক্য ডেকে আনবে। হাতের কাছে পেয়ে কোনো জিনিসই যাচ্ছেতাই করে খেয়ে শেষ করা জ্ঞানীর কাজ নয়। রয়ে-বসে ধৈর্যের সাথে যথাসময়ে খেলে, তবেই তার প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়।
সুতরাং, যুবকের উচিত নয় নিজের হাতে অমূল্য যৌবন ধ্বংস করা। এমনিতেই ধন-জন-যৌবন জোয়ারের পানি, আজ আছে কাল নেই, জানে সব জ্ঞানী। তার উপর কৃত্রিম মৈথুনের মাধ্যমে বীর্যক্ষয় করে যৌবন ফুরিয়ে যাওয়ার বহু পূর্বেই তা হারিয়ে ফেলা নির্বোধদের কাজ। আজ এসব কথায় হয়তো কেউ কর্ণপাত না করলেও, কাল অবশ্যই বুঝতে পারবে, যখন বিবাহের পর বাসর রাতেই ফুলশয্যায় সুসজ্জিতা সুরভিতা দিলরুবা স্ত্রীর পাশে মাথায় হাত রেখে বসে পস্তাতে হবে! যখন ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষাঙ্গ শিথিল থাকবে অথবা সঞ্চালন মাত্র দ্রুতপতন ঘটবে, ঐ অতিরিক্ত যৌন-পাগলামির জন্য বারবার আক্ষেপ করবে। কিন্তু তখন কি আর আক্ষেপ কাজে দেবে? সময়ে সোনা চেনোনি, খুঁটে বাঁধোনি। তখন ‘সোনা ফেলে আঁচলে গুঁজে দিয়ে লাভ কি?’ হাত দ্বারা কৃত কৃত্রিম মৈথুনের ফলে পুরুষাঙ্গের কোষবৃদ্ধি (হাইড্রোসিল) রোগ হয়। শুক্রক্ষরণ রোগেরও সূত্রপাত হয় এই অতিরিক্ত হস্ত-সঙ্গমের ফলে। এতে বীর্য পাতলা হয়ে যায়। ফলে স্ত্রী-সহবাসের সময় দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।
হস্তমৈথুনের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সৃষ্টি হয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, অল্প কথায় রাগ ধরে বেশি, ধৈর্যশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে, স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা দেয়, দেহ-মন থেকে স্ফূর্তি চলে যায়, মন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়, শারীরিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়, সুন্দর স্বাস্থ্য ধ্বংস হয়ে যায়, দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়, পিঠ কুঁজো হয়ে যায়, পিঠে একপ্রকার ব্যথা অনুভূত হয়। হস্তমৈথুনের ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, পড়াশোনায় প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে এই গুপ্ত যৌনাচার। হস্তমৈথুনের ফলে খাদ্য হজমে গোলযোগ দেখা দেয়। কর্তব্যে ক্রটি প্রকাশ পায়, আল্লাহর ইবাদতে ঔদাস্য সৃষ্টি হয়, রোজা নষ্ট হয়ে যায়।
হস্তমৈথুনের ফলে মনের কাছে সব সময় নিজেকে একজন অপরাধী বলে অনুভব করলে, লোক-সমাজেও তার আচরণে সে ভাব ফুটে ওঠে। সর্বদা নির্জনে থাকতে ইচ্ছা হয়।
অনেক সময় এই কু-অভ্যাসের প্রভাব অভ্যাসীর চেহারায় পরিস্ফুট হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন কুপ্রবৃত্তির কাছে পরাজয় স্বীকার করা এবং অতিশয় কামাসক্ত হয়ে পড়া, মানুষের বিশেষ করে কোনো মুসলিমের উচিত নয়। যথাসম্ভব এমন উত্তেজনা ও কু-অভ্যাসকে দমন করা অবশ্য কর্তব্য। মন্দ-প্রবণ মন ও শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ করা এবং তাতে জয়লাভ করা মুমিনের কর্তব্য।
হস্তমৈথুনের উপকারিতা:
- এটি শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে যা মস্তিষ্কের একটি তৃপ্তি বৃদ্ধিকারী রাসায়নিক।
- এটি আবেগজাত পীড়ন, বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
- এটি নিজের শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
- এটি আপনাকে আপনার বাসনা অন্বেষণ করতে সাহায্য করে, এবং কোন সঙ্গী ছাড়াই আপনাকে যৌন তৃপ্তি দেয়।
- আপনি নিজের শরীর নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে আপনার শরীর কী প্রস্তুত অর্গাজম-এর জন্য। এতে আপনি আপনার শরীরকে অনেক ভালো বুঝতেও পারবেন।
- এটি আপনাকে ভালো ঘুমোতে সাহায্য করে ও আপনার অনিদ্রা প্রতিরোধ করে।
- এটি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো করতে পারে, কারণ আপনি আপনার শরীর সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী ও আপনার সঙ্গীকে সাহায্য করতেও সক্ষম। যৌনরোগের সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয় হস্তমৈথুন।
- যদি সীমা বুঝে এটি করা যায়, তবে তা উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
উপকারিতার পাশাপাশি হস্তমৈথুনের বেশ কিছু অপকারিতাও আছে। কিছু পুরুষ ও মহিলা নিজেদের সঙ্গীদের থেকে তৃপ্ত হতে না পারলে নিত্যনৈমিত্তিক এর সহায় হন অর্গাজম-এর জন্য। হস্তমৈথুনের চিন্তা তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে ও তারা সামাজিক জীবনে অচল হয়ে পড়ে। হস্তমৈথুন আসক্তি সৃষ্টিকারী হওয়ার কারণে তা মানুষের সময় নষ্ট করে ও কার্যকারিতা থেকে মানুষকে বিরত করে।
হস্তমৈথুনের অপকারিতা:
- কোনো কিছুর আধিক্যই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, এবং তা শরীরের ক্ষতি করে। কম্পালসিভ হস্তমৈথুন অত্যন্ত নেশা সৃষ্টি করে এবং সময়ে সময়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
- যদি আপনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তবে আপনি হস্তমৈথুন ইচ্ছেমতো করতে না পারলে, তা আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
- এটি সামাজিক জীবনে মনোযোগের অভাব ঘটাতে পারে।
- এটি প্রজননেন্দ্রিয়কে চোট দিতে পারে, যদি খুব উত্তেজিতভাবে করা হয়।
- পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি শীঘ্রপতন ঘটাতে পারে।
- সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর যৌন সম্পর্ককে এটি প্রভাবিত করতে পারে।
আজকাল যৌনখেলনা যেমন ডিল্ডো, ভাইব্রেটর, ইত্যাদির সহজলভ্যতা হস্তমৈথুনকে মহিলাদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছে। তারা আর তাদের যৌনসঙ্গীর ওপর নির্ভরশীল নন যৌনতৃপ্তির জন্য। ক্রমবর্ধমান জ্ঞানোন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা আর তাদের যৌনজীবন নিয়ে আপোস করতে রাজি নন। কিন্তু সবকিছুরই ভালো-মন্দ আছে, এবং মহিলাদের ক্ষেত্রেও অত্যধিক হস্তমৈথুন তাদের আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে, এবং তারা তাদের চারপাশের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রাত্যহিক হস্তমৈথুনের অপকারিতা:
- এটি নেশায় পরিণত হতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- এটি যোনিদেশের ক্ষতি করতে পারে এবং অত্যধিক ঘর্ষণের কারণে জ্বালাপোড়া ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
- এটি যোনিদেশে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
- এটি মনকে ব্যস্ত রাখতে পারে এবং আপনি সামাজিক জীবনে অমনোযোগী হয়ে উঠতে পারেন।
- সবসময় নিজেকে তৃপ্ত করার বাসনা মাঝেমধ্যে আপনাকে নিয়ন্ত্রণের অসাধ্য করে তুলতে পারে।
- এটি আপনাকে আপনার সঙ্গীর থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দূরে ঠেলে দিতে পারে।
হস্তমৈথুনের উপকারিতা:
- হস্তমৈথুন পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
- হস্তমৈথুন পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই হালকা অনুভব করতে সাহায্য করে।
- হস্তমৈথুন অত্যধিক শুক্রাণুর কারণে অসুস্থতা থেকে পুরুষকে রক্ষা করে।
- হস্তমৈথুন পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই একটি কল্পিত যৌন চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করে।
- পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হস্তমৈথুন যৌন অনুভূতির মাত্রা কমাতে পারে।
- পুরুষদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন মহিলার উপস্থিতি ছাড়াই যৌনতৃপ্তি দিতে সক্ষম।
- হস্তমৈথুন পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই যৌনতৃপ্তি দেয়।
- হস্তমৈথুন যৌনরোগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- অনেকে বিশ্বাস করেন, হস্তমৈথুন একজন কুমার পুরুষকে সাহায্য করে।
- হস্তমৈথুন উত্তেজিত শরীরকে শান্ত করতে পারে।
- হস্তমৈথুন শুক্রাণু পরীক্ষার জন্য শুক্রাণু সংগ্রহ করার সবচেয়ে সহজ ও ভালো উপায়।
হস্তমৈথুনের অপকারিতা:
- বাইবেল অনুযায়ী হস্তমৈথুন একটি পাপ।
- হস্তমৈথুন মহিলার শরীরে ব্যবহারের সময় লিঙ্গ শিথিল করতে পারে।
- হস্তমৈথুন লিঙ্গে একাধিক শিরা স্পষ্ট করে তোলায় তার আকর্ষণ কমে যেতে পারে।
- হস্তমৈথুন মহিলাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
- হস্তমৈথুন শুক্রাণু উৎপাদনকারী হরমোনকে দুর্বল করে দিতে পারে।
- হস্তমৈথুন পুরুষকে প্রকৃত যৌনসঙ্গমের জন্য আকুল করে তুলতে পারে।
- হস্তমৈথুন পুরুষদের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের সময় কমিয়ে আনতে পারে।
- হস্তমৈথুন মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভাশয়কে দুর্বল করে দিতে পারে এবং তা সন্তান ধারণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে ও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন মহিলাকে বন্ধ্যা করে দিতে পারে।
- হস্তমৈথুন মহিলার কুমারীত্ব নষ্ট করতে পারে।
- হস্তমৈথুন মহিলার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
- হস্তমৈথুন কিছু ক্ষেত্রে শুক্রাণুর অক্ষমতা তৈরি করতে পারে, যা অস্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দিতে পারে।
আমি আপনাকে ধ্যান করতে ও হস্তমৈথুন থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেব। অধ্যবসায়, ওষুধ ও ধ্যান এর সঙ্গে লড়াই করার সবথেকে ভালো উপায়। যা যা আপনাকে হস্তমৈথুন করতে উদ্বুদ্ধ করে, যেমন পর্নোগ্রাফি, বন্ধুবান্ধব ইত্যাদি, সেসব এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলেও উপকার পাবেন। স্বাস্থ্যকর আহার যেমন টাটকা ফল, শুকনো ফল, বিশেষ করে খেজুর, আমন্ড ইত্যাদি খাওয়া উচিত, মাছ-মাংস বাদ দিয়ে। এবং সর্বোপরি ওষুধের প্রয়োজন।
এর জন্য বিশেষ ওষুধ আছে যা হস্তমৈথুন করার প্রবৃত্তি কম করে ও হারানো উদ্যম ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা হস্তমৈথুনের প্রবৃত্তি কমিয়ে আনে এবং তার খারাপ প্রভাব সরিয়ে দেয়। ভালো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার কথা অবহেলা করবেন না যদি বিবাহের সময় লজ্জা এড়াতে চান। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য যা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমাকে সুপারিশ করুন "সুপারিশ" নামক বোতাম চিপে ও আপনার মতামত লিখে জানান।