Ayatul Kursi Bangla

Ayatul Kursi Bangla
Admin October 13, 2024 515

আয়াতুল কুরসী Ayatul Kursi Bangla Onubad: পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় এবং সব থেকে বড় সূরা আল-বাকারার 255 নং আয়াতকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। এটি কোরআনের সবথেকে প্রসিদ্ধ আয়াত। বিভিন্ন আলেমগণ একে সর্বশেষ আয়াত হিসেবে মান্য করেন। মহাবিশ্বের ওপর আল্লাহর এক জোড়া ক্ষমতার ঘোষণা করা হয়েছে আয়াতুল কুরসি। আয়াতুল কুরসি দুষ্টু জিন ও শয়তানকে দূর করার সবথেকে শক্তিশালী আয়াত। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকে না। (শুআবুল ঈমান : ২৩৯৫)

আয়াতুল কুরসি আরবী উচ্চারণ 

 اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ


আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব। মান জাল্লাজি ইয়াশফা’উ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহি ইল্লা বিমা- শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যূল আজিম।


আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ

আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।


আয়াতুল কুরসির আমল ও ফযীলত

উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ্র একক অস্তিত্ব, তাওহীদ ও গুণাবলীর বর্ণনা এক অত্যাশ্চর্য ও অনুপম ভঙ্গিতে করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এটিকে সবচেয়ে উত্তম আয়াত বলে উল্লেখ করেছেন। নাসাঈ শরীফের এক বর্ণনা রয়েছে যে, নবী করীম (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেহ ফরয ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পাঠ করে, তার জন্য বেহেশতে প্রবেশের পথে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু বাধা দিতে পারে না। শয়নকালে পাঠ করলে সারা রাত্রীতে একজন ফেরেশতা তাকে পাহারা দিবে যাতে শয়তান তার ক্ষতি করতে না পারে।

  • প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর এবং রাতে এশার নামাজের পর শোয়ার সময় যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মহান আল্লাহ পাক উক্ত পাঠকারীর স্বয়ং রক্ষণাবেক্ষণকারী হবেন। 
  • জ্বিন-পরী, দেও-দানবের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়া যায়। 
  • সকল প্রকার বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। 
  • মনের সকল প্রকার নেক বাসনা পূর্ণ হয় এবং রুজী-রোজগারে উন্নতি হয়। 
  • প্রতি ওয়াক্ত নামজের পর বিশেষ করে ফরয নামাযের পর একবার করে পাঠ করলে অত্যন্ত আরামের সাথে রুহ কবজ করা হয়। 
  • ঘর হতে বের হবার সময় অথবা বিদেশে রওয়ানা হবার সময় এ আয়াতসমূহ পাঠ করলে সকল প্রকার বিপদ হতে নিরাপদে থাকা যায় এবং যাবতীয় উদ্দেশ্য সফল হয়।