#Quote
More Quotes by Dr. Muhammad Yunus
চাকরিদাতার মতো আচরণ করুন কে আপনাকে বলেছে চাকরির কথা? আপনার শিক্ষক বলেছে না টেক্সট বইয়ে চাকরির কথা লেখা আছে? চাকরির কথা ভুলে যান। চাকরির চিন্তা পুরাতন আমলের ধ্যান ধারণা। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। নিজেকে বার বার বলুন আমি চাকরি প্রার্থী নই, আমি চাকরি দাতা এবং সেই মোতাবেক চিন্তা আর আচরণ করুন। আপনি দেখবেন আপনার কাজে অসাধারণ পরিবর্তন এসেছে এবং পরিবর্তনের সুচনা হয়েছে আপনার মাথা আর চিন্তা চেতনা থেকে। আমরা সবাই জন্ম থেকেই উদ্যোক্তা এবং সবার মধ্যে উদ্যোক্তা হবার মতো যোগ্যতাও আছে। এটা আমাদের ডিনএতে আছে এবং এই ক্ষমতা ব্যবহার করেই মানুষেরা এত বছর ধরে এই পৃথিবীতে বসবাস করছে। আমরা যখন গুহাতে থাকতাম তখন আমরা এক গুহা থেকে আরেক গুহাতে চাকরি খুজতাম না। মানুষ জীবনধারণের জন্য উদ্যমী আর সমস্যা সমাধানকারী ছিল, মানুষ জন্ম নেয়নি অন্যের হয়ে কাজ করার জন্য ভুলক্রমে আমাদেরকে চাকরি প্রার্থী বানিয়ে দেয়া হয়েছে। যখনি আপনি চাকরি করা শুরু করেন তখনি আপনি আপনার বিশাল সৃজনশীল ক্ষমতাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে অনেক কম বানিয়ে ফেললেন।
যদি আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত সমাজ কিংবা বিশ্বের কল্পনা করতে না পারি, তাহলে তা কখনোই সত্যি হবে না। সে জন্য আমাদের একটি গন্তব্য দরকার, একটি নির্দেশনা দরকার। তুমি যদি জানো যে তোমাকে কোথায় যেতে হবে, তাহলে তুমি অবশ্যই সেখানে পৌঁছাতে পারবে। তোমার প্রযুক্তি, যোগাযোগ ক্ষমতা তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে - ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কাঙ্ক্ষিত
সমাজ
বিশ্বের
কল্পন
গন্তব্য
আমাদের
নির্দেশনা
পৌঁছাতে
প্রযুক্ত
যোগাযোগ
ক্ষমতা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করবেন না আপনার উদ্যোক্তা হবার জন্য গ্রাজুয়েট বা মাস্টার্স ডিগ্রীর অর্জন করার জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যে কোন সময়ই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি সার্টিফিকেটের জন্য তখনি অপেক্ষা করবেন যখন আপনি চাকরি প্রার্থী। উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার সেই পরিমান শিক্ষাই প্রয়োজন যা দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের পেশায় কাজ করতে পারবেন।
দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পর্যায়ে থাকবে—এমন একটি বিশ্বের কথা কল্পনা করো। দেখবে একসময় তা সত্যিই হয়ে যাবে - ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মানসম্পন্ন শিক্ষার অ্যাক্সেস আমাকে আমি যে বাংলাদেশী গ্রামে বড় হয়েছি তার বাইরেও পৌঁছাতে সক্ষম করেছে।
সবসময় টাকার কথা চিন্তা করবেন না ব্যবসায় সাফল্য মাপা হয় কে কত টাকা বানাতে পারছে তার উপর। সেই কারণেই ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার কারণে সৃষ্ট সামাজিক প্রভাব নিয়ে চিন্তা করেন না। ব্যবসায়ীদের চিন্তা সবসময়ই টাকা কেন্দ্রিক বা নিজেদের নিয়ে হওয়া উচিত না। মানুষ শুধুমাত্র টাকা বানানোর মেশিন বা রোবট না, আমরা যেমন নিজেদের এবং অন্যদের ভালো মন্দের খেয়াল রাখি তেমনই সারা পৃথিবীর ভালোর জন্যও কাজ করি। ব্যবসায়ীদেরও এই বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত।
পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য কাজ করুন আমরা আজকে যেই পৃথিবী কল্পনায় দেখতে পাই সেই পৃথিবী তৈরির জন্য কাজ করা উচিত। আমি যেমন আমার কল্পনায় একটি দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী দেখতে পাই যেখানে একটি মানুষও দরিদ্র নয়। যখন আমি সেটা করতে সমর্থ হবো তখন জায়গায় জায়গায় জাদুঘর তৈরী করা হবে, এবং যেখানে মানুষ তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে দেখতে যাবে দারিদ্রতাকে। আমি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করি যেখানে কাজ করার যোগ্য কেউ বেকার থাকবে না, এবং ছাত্ররা থিসিস লিখবে আগেকার দিনে দারিদ্রতা কেন ছিল তা নিয়ে। কেউ রাষ্ট্রের দেয়া ভাতার উপর নির্ভরশীল থাকবে না, কারণ সবাই যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করবে।
আজও আমরা দারিদ্র্য ইস্যুতে গুরুত্ব দিই না, কারণ ক্ষমতাবানরা তুলনামূলকভাবে এর দ্বারা অস্পৃশ্য থাকে। বেশিরভাগ মানুষ এই বলে নিজেদেরকে এই সমস্যা থেকে দূরে রাখে যে যদি দরিদ্ররা কঠোর পরিশ্রম করে তবে তারা দরিদ্র হবে না।
দারিদ্র্য হল সমস্ত মানবাধিকারের অনুপস্থিতি। নিদারুণ দারিদ্র্যের দ্বারা সৃষ্ট হতাশা, শত্রুতা ও ক্ষোভ কোনো সমাজে শান্তি বজায় রাখতে পারে না। স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের অবশ্যই জনগণকে শালীন জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আমার কাছে গরীবরা বনসাই গাছের মতো। আপনি যখন ছয় ইঞ্চি গভীর ফুলের পাত্রে সবচেয়ে লম্বা গাছের সেরা বীজ রোপণ করেন, তখন আপনি সবচেয়ে লম্বা গাছের একটি নিখুঁত প্রতিরূপ পাবেন, কিন্তু এটি মাত্র ইঞ্চি লম্বা। আপনি যে বীজ রোপণ করেছেন তাতে দোষ নেই; শুধুমাত্র আপনার দেওয়া মাটির ভিত্তি অপর্যাপ্ত ছিল।