স্পন্দিত বেদনা প্রাণ ও চেতনার একমাত্র পরিচয়।

---

প্রতিভা হল দক্ষতা অর্জনের বিশেষ ক্ষমতা। - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

---

মেয়েরা মার চেয়ে পিতাকেই নকল করে বেশি,পিতার শিক্ষাই মেয়েদের জীবনে বেশি কার্যকরী হয়।

---

শরীর ভাল রাখার চেয়ে বড় কাজ মানুষের নেই। শরীর ভালো না থাকলে মানুষ ভাবুক হয়,দুঃখ বেদনা কল্পনা করে,ভাবে জীবনটা শুধু ফাঁকি।বদহজম আর ভালবাসার লক্ষণগুলি একরকম!

---

ছেলে বড় হইলে কি কঠিন হইয়া দাঁড়ায় তার সঙ্গে মেশা। সে বন্ধু নয়,খাতক নয়,উপরওয়ালা নয়,কি যে সম্পর্ক দাঁড়ায় বয়স্ক ছেলের সঙ্গে মানুষের,ভগবান জানেন। - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

---

জানিবার এত বিষয়, উপভোগ করিবার এত উপায়, বিজ্ঞান ও কাব্য মিশিয়া এমন জটিল, এমন রসালো মানুষের জীবন ? - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

---

হয়তো সত্য সত্যই মেয়েদের মঙ্গলের ব্যবস্থা করতে গিয়ে পুরুষেরা গোঁড়াতেই কোথাও একটা গলদ বাধিয়ে বসে আছে,যে জন্য ওদের মনের শৈশব কোনোদিনই ঘুচতে চায় না। ঘুণ যদি ধরে তো একেবারে কাঁচা মনেই ধরে, নইলে ওরা আজন্ম শিশু। জীবন-সাগরের তীরে বালি খুঁড়ে পুকুর তৈরি করে ওরা খুশি থাকবে,সমুদ্রের সঙ্গে তাদের সে কীর্তির তুলনা কখনো করে না।ডাবের জলে ডাবের শাঁসে জগতের ক্ষুধা তৃষ্ণা দূর হয় চিরদিন এই থাকত ওদের ধারণা,জগতের ক্ষুধাও ওরা বুঝবে না,তৃষ্ণার প্রকৃতিও জানবে না।

---

তেজী আলোর চেয়ে জ্যোৎস্নার মতো মৃদু আলোতে মানুষের মুখ আরো বেশি সুন্দর হিয়ে ওঠে।

---

মৃত্যুতে মানুষের লজ্জা নেই, কারণ মৃত্যু যবনিকা নয়, পটপরিবর্তন। নিজের জীবন মানুষ পৃথিবীর মানুষের মধ্যে জমা করে রেখে যায়, স্বর্গে নিয়ে যায় না। জমা করা জীবন যখন পঁচে যায়? একমাত্র নোয়া-কে বাঁচিয়ে প্রলয়য়ের মধ্য দিয়ে যখন ভগবান ভ্রম সংশোধন করতে বাধ্য হন? তখন ভগবান অত্যাচারী খেয়ালি। প্রলয় যে এনে দিতে পারে সে সংস্কারে অক্ষম হবে কেন? জীবনের রোগ আছে, ফাঁসি ছাড়া আরোগ্য নেই? ক্রমাগত রোগে ভোগার চেয়ে মরণ ভালো, কিন্তু রোগ সারিয়ে বেঁচে থাকা আরো ভালো।

---

প্রেম বেঁচে আছে তখন দুজনের একজন মরে গেলে শোক হয়-অক্ষয় শোক হয়।প্রেমের অকালমৃত্যু নেই বলে শোকের মধ্যে প্রেম চিরন্তন হয়ে যায়।কিন্তু প্রেম যখন মরে গেছে,তখন আছে শুধু মায়া,অভ্যাস আর আত্মসান্তনার খেলা,তখন যদি দুজনের একজন মরে যায়,বেশিদিন শোক হওয়া অসুস্থ মনের লক্ষণ। সেটা দুর্বলতা!

---