#Quote

পুরুষ সম্মুখ যুদ্ধে বিশ্বাস করে, কিন্তু স্ত্রী জাতির রণনীতি সম্পূর্ণ পরোক্ষ। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

Facebook
Twitter
More Quotes by Sunil Gangopadhyay
সাহিত্য একটা তীব্র নেশা, রক্তের সঙ্গে মিশে যায়, যাকে একবার এই নেশা ধরে, তার আর অন্য কোনো গতি থাকে না। আবার এ কথাও হয়তো ঠিক, অনেক লেখুই এক এক সময় এই নেশা থেকে মুক্তি পেতে চায়! সাহিত্য সৃষ্টিতে খ্যাতি-কীর্তি-অর্থের সম্ভাবনা আছে বটে, কিন্তু তার জন্য লেখককে ভেতরে ভেতরে কত কষ্ট যে সহ্য করতে হয়! এক একসময় রক্ত ক্ষরণের মধ্যে মিশে যায় শব্দের বিষ, তা অন্যদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এই দুরন্ত রাতের খেলা, কথা ছিল বনের মধ্যে রেশম, এত লাল রেশম, কথা ছিল ? বাতাস ভাঙ্গে বিজন দ্বীপ, আকাশ ভাঙ্গে ঘর দুঃক্ষ ভাঙ্গে নরম হাত, কঠিন হাত, কথা ছিল। হে সুন্দর, হে আনন্দ, এত সুদূর ? ফেরার পথ ভুলে যাবার কথা ছিল। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ঘটনার চেয়ে রটনার রূপ অনেক বেশী বিচিত্র এবং গতিবেগও প্রচন্ড। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তারপর ওরা হাত ধরে চুপ করে বসে রইলো । আর কোনো কথা নেই, সমস্ত কথার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে । ওরা বসেই রইলো ।ঘাট ক্রমশ নির্জন হয়ে আসছে । বাতাস বইছে বেশ জোরে । বজরাগুলো ও ফিরে যাচ্ছে । সবাই ঘরে ফিরছে । এই দুজনের যেন কোনো ঘরবাড়ি নেই, কথাও ফিরতে হবেনা । এরকম একটি অনন্তকালের দৃশ্য হয়ে ওরা বসেই থাকবে। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এখন অসুখ নেই, এখন অসুখ থেকে সেরে পরবর্তী অসুখের জন্য বসে থাকা। এখন মাথার কাছে জানলা নেই, বুক ভরা দুই জানলা, শুধু শুকনো চোখ দেয়ালে বিশ্রাম করে, কপালে জলপট্টির মতো ঠান্ডা হাত দূরে সরে গেছে, আজ এই বিষম সকালবেলা আমার উত্থান নেই, আমি শুয়ে থাকি, সাড়ে দশটা বেজে যায়। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
কৃতজ্ঞতা একটা বিষম বোঝা। অনেকেই সারা জীবন এ বোঝা বহনে অক্ষম। তাই এই বোঝা ঝেড়ে ফেলে উপকারী ব্যক্তির শত্রুতা করে তারা স্বস্তি বোধ করে। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
নারীদের ডিকশনারিতে সন্তুষ্টি বলে কোনো শব্দ নেই কারোর আসার কথা ছিল না কেউ আসেনি তবু কেন মন খারাপ হয়। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
“ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি”। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আমাকে বিক্রির টাকা হক্কের টাকা আর আমার রোজ-গারের টাকা নোংরা টাকা। -
পিতৃশ্রাদ্ধ করতে প্রতাপ শেষবার গিয়েছিলেন মালখানগরে। প্রতাপ শক্ত চরিত্রের মানুষ, সবাই তাকে তেজস্বী পুরুষ হিসেবে মানে, কিন্তু সেবার তিনি খুব কান্নাকাটি করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল, মাটি থেকে উপড়ে তোলা হলো এক বর্ধিষ্ণু বৃক্ষের শিকড়। পূর্ববাংলার এই নদীময় প্রান্তর, এই মিষ্টি বাতাস, খেজুর রসের স্বাদের মতন ভোর, ঠাকুমার গল্পের আমেজমাখা সন্ধ্যা, এসব আর দেখা হবে না। এরপর থেকে কলকাতায় ভাড়াটে বাড়ির অন্ধকার ঘুপচি ঘরে চির নির্বাসন। - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়