#Quote
More Quotes by Bishnu Dey
শান্তি অন্তরের ইন্দ্রিয়কে, বাহিরের ইন্দ্রিয়কে উদার প্রসারিত করিয়া ধরে, আর এইজন্যই সেখানে আসিয়া ধরা দেয় অন্তরের অসীমের স্বাচ্ছন্দ্য। শান্তির মধ্যেই গাঢ় হইয়া জমিয়া উঠে একটা আত্মস্থ সামক্ষ্য শান্তি স্বচ্ছতা দৃষ্টিকে লইয়া চলে গভীর হইতে গভীরে।
বিচার সত্যকে আবিষ্কার করে না; বিবেকই সত্যকে আবিষ্কার করে, বিচার পরে আসিয়া তাহার কেন কিরূপ বুঝাইয়া দেয়, প্রমাণ সংগ্রহ করে।
অঙ্গে রাখিনা কারোই অঙ্গিকার? চাঁদের আলোয় চাঁচর বালির চড়া । এখানে কখনো বাসর হয় না গড়া? মৃগতৃষ্ণিকা দূর দিগন্তে ডাকি? আত্মাহুতি কি চিরকাল থাকে বাকি?
দীপ্ত বিশ্ববিজয়ী! বর্শা তোলো । কোন ভয়? কেন বীরের ভরসা ভোলো? নয়নে ঘনায় বারে বারে ওঠাপড়া? চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি? হৃদয় আমার চড়া?
জনসমুদ্রে উন্মথি’ কোলাহল ললাটে তিলক টানো । সাগরের শিরে উদ্বেল নোনা জল, হৃদয়ে আধির চড়া
সভ্যতার আর একটি বড় প্রত্যয় হচ্ছে ব্যক্তিত্ববােধ। কি করে সমাজ ও ব্যক্তিতে দ্বন্দ্বাশ্রয়ী সম্বন্ধের দীর্ঘ ইতিহাসে এই ব্যক্তি স্বরূপ মর্যাদা পেতে লাগল, তার ব্যাখ্যা সভ্যতার ইতিহাস। বহির্জগতে বিরুদ্ধশক্তি, অন্ধপ্রকৃতি, জন্তু-জানােয়ার, হিংস্র-গােষ্ঠীর দলাদলি যতদিন না মানুষের শুভবুদ্ধি কর্তৃত্বে রূপান্তরিত হবার সম্ভাবনা পেয়েছে ততদিন ব্যক্তির এই মহিমা কবিদের মনেও আসেনি। বাল্মীকি বা হােমার গােষ্ঠীর রচনাই করছেন, রবীন্দ্রনাথই বলতে পেরেছেন স্বকীয়তার কথা।
বন্ধুত্বের পারস্পরিকতায় যে কথা মুখে বলা যায়, সে কথা কাগজের শীতল প্রকাশ্যতায় লেখা অর্থহীন।
সে কাল ও একালের ব্যবধানটি এককথায় নির্দেশ করিতে হইলে বলিতে পারি যে, সেকালের শিল্পীরা মুখ্যত চাহিতেন সৌন্দর্য, আর একালের শিল্পীরা চাহেন সত্য। সুন্দর একখানি রূপ গড়িয়া তোলা ছিল প্রাচীন শিল্পীর সকল প্রয়াস, আধুনিকের একমাত্র যত্ন সত্যকে, নিছক সত্যকে প্রকাশ করিয়া ধরা। এই আকৃতি ও প্রকৃতি সম্পূর্ণ বিভিন্ন, এমনকি হয়তো বিপরীত ধরনের হইয়া পড়িয়াছে।
চোরাবালি ডাকি দূর দিগন্তে, কোথায় পুরুষকার? হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মোর! আযোজন কাঁপে কামনার ঘোর অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গীকার?
আবার অন্যদিকে এমন অত্যুক্তিও করা চলে না যে কবি ও যোগী এক ও অভিজ্ঞ কাব্যরচনা ও যোগ-সাধনায় পার্থক্য নেই, কবির তবুও হল বাঙ্ময় জগৎ এবং সেটি মানসলোকের অন্তর্ভুক্ত। কবির যে অন্তরাত্মার জ্যোতি তা এই বাঙ্ময় মানসলোককে ভাস্বর, অধ্যাত্মপ্রবণ করে তোলে।