#Quote
More Quotes by Balai Chand Mukhopadhyay
চরাচরে সমস্ত কিছুই বাঁচতে চাইছে, উপভােগ করতে চাইছে নিজের অস্তিত্বকে নানাভাবে এবং তার জন্যে না করছে এমন জিনিস নেই। ভালাে-মন্দ, শীল-অশ্লীল, সভ্য-অসভ্য, হিংস্র-অহিংস্র সব কিছুই হচ্ছে সে জীবনকে সার্থক করবার প্রেরণায়।
মােহটা হচ্ছে তাঁকে চেনবার কষ্টিপাথর। কষ্টিপাথর সােনা নয়। কিন্তু সােনার পরিচয় ওর থেকেই পাওয়া যায়। যে-কোনাে জিনিসেই আমরা মুগ্ধ হই না কেন, কিছুদিন পরেই তার নেশাটা কেটে যায়। কারণ মােহ নকল আলাে, আসলে ওটা অন্ধকারই। ওই মােহই আমাদের জানিয়ে দেয় যে আমরা ভুলপথে গেছি। মন বলে ওঠে, হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোনােখানে।
বাহিরের মনের কার্যকলাপ দেখিয়া ভিতরের মন কখনও হাসে, কখনও কাঁদে এবং কচ্চিৎ সায় দেয়। দুই ভাগের কলহও নিত্য নৈমিত্তিক
সবাই নিজের নিজের আকাশে ডানা মেলে উড়তে চায়।
কাব্যলােকে বয়সের হিসাবটা সামাজিক মাপকাঠি দিয়ে হয় না। স্থূল বস্তুজগতের কোনাে মাপকাঠিরই দাম নেই সেখানে। কাব্যবৃন্দাবনে সবাই সখী।
অসমাপ্ত জিনিসের না বলা বাণী আছে একটা। তা অব্যক্তরূপেই বিকশিত।
পাখিরা যত আধুনিক হচ্ছে, তত যেন তারা মানুষের মনােহরণ করে মানুষের বন্ধুত্ব কামনা করছে। মানুষের মধ্যেও যেমন বিশ্বমৈত্রীর ভাব জাগছে ক্রমশ, মানুষ তেমন হিংসার পথ ত্যাগ করে প্রেমের পথ, আনন্দের পথ বেছে নিচ্ছে, আনন্দ দিচ্ছে, আনন্দ পাচ্ছে, পাখিদের মধ্যেও সেইরকম কিছু একটা হচ্ছে। হয়তাে। তা না হলে এত বৰ্ণ-বচিত্র্যের কোনাে মানে হয় না যেন।
ভাবনাই সিদ্ধির রূপ ধরে আসে।
তিনি (ভগবান) আনন্দময়, আনন্দ ছাড়া অন্য কিছু কাম্য নেই তাঁর। তুমি যদি স্বেচ্ছায় তাঁকে বরণ করে আনন্দ পাও, তা হলেই তাঁর আনন্দ। সত্যিকারের আনন্দে ভন্ডামির কোনাে স্থান নেই, নেই জবরদস্তির। জবরদস্তির স্থান নেই বলেই বােধ হয় তিনি অন্য পথগুলােও মনােহর করেছেন, তাতেও দিয়েছেন কিছু কিছু আনন্দের খােরাক।
সংস্কৃতি কিন্তু সভ্যতার বহিরঙ্গ মাত্র নয়, সংস্কৃতি সভ্যতার অন্তরের সুষ্ঠ বিকাশ।অনবদ্য সৌন্দর্যের পায়ে লীলাময়ী প্রকৃতির কাছে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে কৃতার্থ হয় যে, সেই কবি, সেই শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক, সৃষ্টিরহস্যের সারমর্ম সেই বুঝেছে।