#Quote
বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রসমুহের কাছে আমরা যে অস্ত্র চাইছি তা আমরা চাইছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে –একটি স্বাধীন দেশের মানুষ আর একটি স্বাধীন দেশের মানুষের কাছে। এই সাহায্য আমরা চাই শর্তহীনভাবে এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি তাদের শুভেচ্ছা ও সহানুভূতির প্রতীক হিসেবে- হানাদারদের রুখে দাঁড়াবার এবং আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে, যে অধিকার মানব জাতির শাশ্বত অধিকার।
Facebook
Twitter
More Quotes by Tajuddin Ahmad
আমরা বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব যা সোভিয়েত রাশিয়া বা চীনের ধরণে হবে না, বরঞ্চ তা হবে আমাদের নিজেদের মত। আমরা গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে একটি সুষম সমন্বয় ঘটাব যা বিশ্বে একটি অসাধারণ ব্যাপার হবে।
যত সুন্দর ভাষা ও শব্দ দিয়ে সংবিধান লেখা হোক না কেন, জাতির জীবনে তা প্রয়োগ না হলে সেটা অর্থহীন হয়ে পড়বে। - তাজউদ্দীন আহমদ
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যেসব যুদ্ধবন্দি গত নয় মাসের গণহত্যা ও অন্য অপরাধের জন্য দায়ী হবে তাদের বিচার করা হবে।
স্বাধীন দেশের মানুষের মতই এ দেশের শিশুরাও চিন্তার স্বাধীনতা পাবে। আমাদের বড়দেরকেই শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
ভিতরে ইঁদুর রেখে বাইরে মাটি দিলে সমস্যার সমাধান হবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
পালিয়ে যাবার পথে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা লাভের চেতনার যে উন্মেষ দেখে গিয়েছিলাম সেটাই আমাকে আমার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেবার পথে অনিবার্য সুযোগ দিয়েছিল। জীবননগরের কাছে সীমান্তবর্তী টুঙ্গি নামক স্থানে একটি সেতুর নিচে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো, একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা।
জাতির জন্যে যা কিছু কল্যাণকর তাই আমাদের কাম্য এবং তা গ্রহণ করার মত অবারিত মনও আমাদের থাকা দরকার।
বর্তমানে জাতীয় দুর্যোগকালে উট পাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে থাকলে চলবে না। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। - তাজউদ্দীন আহমদ
অনেকে আমাকে সত্য বলতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু আমি সত্য কথা বলে যাব। সময় আসছে না, বরং সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। এখন যদি মানুষের জন্য কিছু করা না যায়, তাহলে আর কোন দিনই যাবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
বাংলাদেশের নিরন্ন দুঃখী মানুষের জন্যে রচিত হোক এক নতুন পৃথিবী যেখানে মানুষ মানুষকে শোষণ করবে না। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক ক্ষুধা, রোগ, বেকারত্ব আর অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে মুক্তি। এই পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত হোক সাড়ে সাত কোটি বীর বাঙালী ভাই-বোনের সম্মিলিত মনোবল ও অসীম শক্তি। যারা আজ রক্ত দিয়ে উর্বর করছে বাংলাদেশের মাটি, যেখানে উৎকর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন মানুষ, তাদের রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটি থেকে গড়ে উঠুক নতুন গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা; গণ-মানুষের কল্যাণে সাম্য আর সুবিচারের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা হোক, ‘জয় বাংলা’, জয় স্বাধীন বাংলাদেশ