যখন আমি মৌলিক কোনো গল্প লিখি তখন আমি এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে লিখি যাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং এমন পরিস্থিতির কথা লিখি যার সঙ্গে আমি পরিচিত। আমি ১৯ শতকের কোনো গল্প লিখি না। - সত্যজিৎ রায়

---

আমি অনুভব করি যে নায়কের ছাঁচে থাকা মানুষের তুলনায় রাস্তায় থাকা একটি সাধারণ মানুষকে বিষয় হিসেবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাঁদের আধা অন্ধকার, অস্পষ্ট শব্দগুলোই আমি ধরতে চাই, আবিষ্কার করতে চাই। - সত্যজিৎ রায়

---

নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ সবসময়ই পাওয়া যায়। - সত্যজিৎ রায়

---

চলচ্চিত্রের দৃশ্যরচনার অভ্যাসকে আমি শখে পরিণত করেছি। আমি খুঁজে বের করতাম কোন গল্পটি চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। এরপর আমি নিজস্ব ঢঙে গল্পটি লিখতাম, এরপর আসল গল্পের সঙ্গে করতাম তুলনা। - সত্যজিৎ রায়

---

আসলে, (চলচ্চিত্রে) সবচেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো শুভ একটা সমাপ্তি। যা-ই হোক, আপনি শুভ একটা সমাপ্তির আগে ট্র্যাজিক কোন অবস্থা এবং কিছু কান্নার সিকোয়েন্সও রাখতে পারেন, এটা ভালো কাজ দিতে পারে। - সত্যজিৎ রায়

---

বলিউডের চলচ্চিত্র এখন যেমন, আগে তেমনটা ছিলো না। আগে এটা স্থানীয় একটা ইন্ডাস্ট্রি ছিলো যেখানে বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র নির্মিত হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে এটা পাল্টে গিয়েছে। - সত্যজিৎ রায়

---

চলচ্চিত্রের অন্যতম দক্ষতা হলো মানুষের মন বোঝার এবং তার সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা এর রয়েছে। - সত্যজিৎ রায়

---

সবার শেষ কথা— বলতে গেলে সবচেয়ে জরুরি কথা হলো— আপনার প্রয়োজন একটি শুভ সমাপ্তি। যাহোক, এই শুভ সমাপ্তির আগে যদি বিষাদময় পরিস্থিতি এবং চমক সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে বিষয়টা আরো ভালো কাজ করে। - সত্যজিৎ রায়

---

সিনেমায় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসূচক গুণগুলোই মানুষের মনের অন্তরঙ্গ বিষয় ধরতে ও যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম। - সত্যজিৎ রায়

---

সবচেয়ে মূল্যবান ও একমাত্র সমাধানগুলো লোকেরা নিজেরাই খুঁজে বের করতে পারে। - সত্যজিৎ রায়

---