অপরাধ যদি কিছু করিয়াই থাকি তো সে তাঁর কাছে,সে দন্ড তিনিই দিবেন;কিন্তু নির্বিচারে যে-কেহ শাস্তি দিতে আসিবে,তাহাই মাথা পেতে লইব কিসের জন্যে।

---

রূপা সেদিনও নীল শাড়িটা পরে নিয়মানুযায়ী বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে ছিল। হিমু দূর থেকে তাকে দেখে চলে গেল কিন্তু রূপার হলুদ পাঞ্জাবিটা দেখা হল না৷

---

আমার হৃদয়ে বিরাজ করে যা খুশি তাই করো, শাওন, ভাদর, আষাঢ় শ্রাবণ বৃষ্টি হয়ে ঝরো।

---

কত লোকের চিতায় ইছামতীর জল ধুয়ে নিয়ে গেল সাগরের দিকে, জোয়ারে যায় আবার ভাঁটায় উজিয়ে আসে, এমনই বারবার করতে করতে মিশে গেল দূর সাগরের নীল জলের বুকে। যে কত আশা করে কলাবাগান করেছিল উত্তর মাঠে, দোয়াড়ি পেতেছিল বাঁশের কঞ্চি চিরে বুনো ঘোলডুবরির বাঁকে, আজ হয়তো তাঁর দেহের অস্থি রোদ-বৃষ্টিতে সাদা হয়ে পড়ে রইল ইছামতীর ডাঙ্গায়। কত তরুণী সুন্দরি বধূর পায়ের চিহ্ন পরে নদী দুধারে, ঘাটের পথে, আবার কত প্রৌঢ় বৃদ্ধার পায়ের দাগ মিলিয়ে যায়। গ্রামে গ্রামে মঙ্গলশঙ্খের আনন্দধ্বনি বেজে ওঠে বিয়েতে, অন্নপ্রাশনে, উপনয়নে দুর্গাপূজোয়, লক্ষ্মীপুজোয়। সেসব বধূদের পায়ের আলতা ধুয়ে যায় কালে কালে, ধূপের ধোঁয়া ক্ষীণ হয়ে আসে। মৃত্যুকে কে চিনতে পারে, গরীয়সী মত্যমাতাকে?

---

মানুষ ‘ঘর ঘর’ করে গলা শুকায়,একখানা ঘর আর কতখানিই বা আশ্রয় দেয় মানুষকে,যদি না ঘরের লোক আপন হয়।

---

আকাশের নীল মায়ায় আর সবুজের দিগন্তে মন হারিয়ে যায় বার বার!!!! প্রকৃতির এই সৌন্দর্য বার বার আমাকে কাছে টানে।

---

ঊর্ধ্বশ্বাসে বিস্তৃত নীল নিঃশব্দে গল্প বলে যায় তারার ঝলমলে স্বপ্নের রহস্য খুলে দেয়।

---

দূর দিগন্তে চেয়ে আছি নীল আকাশের পানে মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ো আমার এই ক্লান্ত গায়ে।

---

নীল নীলিমায় দূরে কোথায় মন যে হারায় বেকুলতায় মনে পরে যায়। একটা কথা ই মন জানতে চায় অবেলায় অবসরে মনে কি পরে আমায় আই মিছ ইউ

---

কালাপাহাড়, মোহিতলাল-কাব্যসম্ভার মোহিতলাল মজুমদার, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলিকাতা, প্রকাশসাল- আষাঢ়।

---