More Quotes by Begum Rokeya
আমরা পুরুষের ন্যায় সাম্যক সুবিধা না পাইয়া পশ্চাতে পড়িয়া আছি।
আমরা যদি রাজকীয় কার্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে না পারি, তবে কৃষিক্ষেত্রে প্রবেশ করিব। ভারতে বর দুর্লভ হয়েছে বলিয়া কন্যাদায়ে কাঁদিয়া মরি কেন? কন্যাগুলিকে সুশিক্ষিতা করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও, নিজের অন্নবস্ত্র উপার্জন করুক।
ভগিনীরা! চুল রগড়াইয়া জাগিয়া উঠুন, অগ্রসর হউন! মাথা ঠুকিয়া বলো মা! আমরা পশু নই; বলো ভগিনী! আমরা আসবাব নই; বলো কন্যে আমরা জড়োয়া অলঙ্কাররূপে লোহার সিন্ধুকে আবদ্ধ থাকিবার বস্তু নই; সকলে সমস্বরে বলো আমরা মানুষ।
পর্দা অর্থে ত আমরা বুঝি গোপন হওয়া বা শরীর ঢাকা ইত্যাদি- কেবল অন্তঃপুরের চারি প্রাচীরের মধ্যে থাকা নহে। এবং ভালমতে শরীর আবৃত না করাকেই বেপর্দা বলি। যাঁহারা ঘরের ভিতর চাকরদের সম্মুখে অর্ধ নগ্ন অবস্থায় থাকেন, তাঁহাদের অপেক্ষা যাঁহারা ভালমত পোষাক পরিয়া মাঠে বাজারে বাহির হন, তাঁহাদের পর্দা বেশী রক্ষা পায়।
শিশুকে মাতা বলপূর্বক ঘুম পাড়াইতে বসিলে, ঘুম না পাওয়ায় শিশু যখন মাথা তুলিয়া ইতস্ততঃ দেখে তখনই মাতা বলেন, ঘুমা শিগগির ঘুমা! ঐ দেখ জুজু! ঘুম না পাইলেও শিশু অন্তত চোখ বুজিয়া পড়িয়া থাকে। সেই রুপ আমরা যখন উন্নত মস্তকে অতীত ও বর্তমানের প্রতি দৃষ্টিপাত করি, অমনই সমাজ বলে, ঘুমাও ঘুমাও ঐ দেখ নরক! মনে বিশ্বাস না হইলেও অন্তত আমরা মুখে কিছু না বলিয়া নীরব থাকি।
আমরা উপার্জন করিব না কেন? আমাদের কী হাত নাই, না পা নাই, না বুদ্ধি নাই? কি নাই? যে পরিশ্রম আমরা স্বামীর গৃহকার্যে ব্যয় করি, সেই পরিশ্রম দ্বারা কি স্বাধীন ব্যবসা করিতে পারিব না?
ঐ যে চটকল আর পাটকল- এক একটা জুট মিলের কর্মচারিগণ মাসিক ৫০০-৭০০ টাকা বেতন পাইয়া নবাবী হালে থাকে, নবাবী হালে চলে, কিন্তু সেই পাট যাহারা উৎপাদন করে, তাহাদের অবস্থা এই যে, পাছায় জোটে না ত্যানা! ইহা ভাবিবার বিষয় নহে কী? আল্লাহতালা এতো অবিচার কিরুপে সহ্য করিতেছেন?
না জাগিলে ভারত ললনা, এ ভারত আর জাগিবে না।
হুকুর হুকুর কাশে বুড়া হুকুর হুকুর কাশে নিকার নামে হাসে বুড়া ফুকুর ফুকুর হাসে।
কার্যক্ষেত্রে পুরুষের পরিশ্রমের মূল্য বেশী, নারীর কাজ সস্তায় বিক্রয় হয়। নিন্মশ্রেণীর পুরুষ যে কাজ করিলে মাসে ২ টাকা বেতন পায় ঠিক সেই কাজ স্ত্রীলোকে করিলে ১ টাকা পায়। চাকরের খোরাকী মাসিক ৩ টাকা আর চাকরাণীর খোরাকী ২ টাকা।