More Quotes by Jibanananda Das
আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়, দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায় তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে। - জীবনানন্দ দাশ
নারী, সেই এক তিল কম আর্ত রাত্রি তুমি।
মনে হয় শুধু আমি,- আর শুধু তুমি আর ঐ আকাশের পউষ-নীরবতা রাত্রির নির্জনযাত্রী তারকার কানে- কানে কত কাল কহিয়াছি আধো- আধো কথা।
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে।
হয়তো এসেছে চাঁদ একরাশ পাতার পেছনে। কুড়ি বছর পর, তখন তোমারে নাই মনে।
অধ্যাপক, দাঁত নেই—চোখে তার অক্ষম পিঁচুটি; বেতন হাজার টাকা মাসে—আর হাজার দেড়েক পাওয়া যায় মৃত সব কবিদের মাংস কৃমি খুঁটি; যদিও সে সব কবি ক্ষুধা প্রেম আগুনের সেঁক চেয়েছিলো—হাঙরের ঢেউয়ে খেয়েছিলো লুটোপুটি। - জীবনানন্দ দাশ
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁলছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হব কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে; আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে। - জীবনানন্দ দাশ
থমথমে রাত, আমার পাশে বসল অতিথি, বললে, আমি অতীত ক্ষুধা, তোমার অতীত স্মৃতি।
তবুও নদীর মানে স্নিগ্ধ শুশ্রূষার জল,সূর্য মানে আলো। এখনো নারী মানে তুমি,কত রাধিকা ফুরালো।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের’ পরহাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা । - জীবনানন্দ দাশ