মহারাজ বীর সিং জির পুত্র ঠাকুর দালিপ সিং 1953 সালের 5ই আগস্ট পাঞ্জাব (ভারত) এর লুধিয়ানা জেলার শ্রী ভাইনি সাহেব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরম পবিত্র শ্রী সতগুরু জগজিৎ সিং জির ভাতিজা, নামধারী শিখদের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক প্রধান। ছোটবেলায় তার বাবা তাকে ফটোগ্রাফির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পরবর্তীকালে, শিল্পের পরিমার্জন পরম পবিত্র শ্রী সতগুরু জি দ্বারা শিখিয়েছিলেন। সর্বশ্রী আর কে চিব, মদন মাহাত্তা, রাজেশ বেদী এবং ওম প্রকাশ শর্মার মতো দেশের বিশিষ্ট ফটোগ্রাফারদের তত্ত্বাবধানে এবং নির্দেশনায় 1977 সালে ফটোগ্রাফিতে সম্পূর্ণ সম্পৃক্ততা শুরু হয়েছিল।

পেশায় তিনি কৃষিজীবী হলেও তিনি অত্যন্ত প্রখর ক্রীড়া প্রবর্তক ও প্রেমিক। তিনি ভারতের শীর্ষস্থানীয় নামধারী হকি দল প্রস্তুত করেছিলেন (যাদের থেকে খেলোয়াড়রা অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিল এবং একটি দল হিসাবে এটি বিদেশী হকি খেলার দেশে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে এটি অনেক শীর্ষস্থানীয় ক্লাবকে পরাজিত করেছে এবং কেনিয়াতে জাতীয় দলকে পরাজিত করে একটি টুর্নামেন্ট জিতেছে।) এবং জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদও তৈরি করেছেন। তিনি হরিয়ানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি কলেজ করেছেন এবং খুব সফলভাবে একটি স্কুল পরিচালনা করেছেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ের বেশ কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সফলতার সাথে আয়োজন করেছেন।

"ভীরপুর বার্ড প্যারাডাইস" তার দ্বারা চমত্কার ছবি সহ একটি বই তার দক্ষতা দেখানো একটি ভাল সংগ্রহ। অন্যান্য অনেক বইও তার চমৎকার ছবি দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছে যেমন “Jungle Life of India” “Birds of India”, Handbook Of Birds Of India and Nepal” ইত্যাদি। “কাজিরাঙ্গা ইনহেরিটেজ”, “এনিম্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া”, “কর্নাটক ওয়াইল্ড লাইফ”। ব্রিটিশ জার্নাল অফ ফটোগ্রাফি, স্যাঙ্কচুয়ারি এশিয়া, ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফি এবং সিনেমাটোগ্রাফি এবং অন্যান্য অনেক প্রকাশনার প্রচ্ছদে তাঁর ছবি স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ, "35 মিমি ফটোগ্রাফি", ইউ.কে., 'ফটোগ্রাফি' ইউ.কে., ফেমিনা, জুম, এশিয়াড 82 ম্যাগাজিন, স্বাগত, ডিসকভার ইন্ডিয়া, বেশিরভাগ ভারতীয় সংবাদপত্র এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি "ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফিক কাউন্সিল" এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং "অ্যাকাডেমি অফ ভিজ্যুয়াল মিডিয়া" এর ট্রাস্টি।

তিনি "পাঞ্জাবি কালা একাডেমির পৃষ্ঠপোষক" ছাড়াও, তিনি 'বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি' এবং 'ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড, ইন্ডিয়া'-এর আজীবন সদস্য। তিনি 'লেন্সমেন' ক্লাব, লুধিয়ানা, পিবি-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, পাশাপাশি ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফিক কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি 1986 সালে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফিক কাউন্সিলের অ্যাসোসিয়েটশিপ এবং 1987 সালে রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ইউ.কে.-এর 'অ্যাসোসিয়েটশিপ'-এ সম্মানিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় একাধিক এক-মানুষের শো করেছেন। 'কনসেপ্ট', চণ্ডীগড় কর্তৃক "আর্টিস্ট অফ দ্য ইয়ার 1993" তাকে ভূষিত করা হয়েছিল। "লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড" 2004 সালে একাডেমি অফ ভিজ্যুয়াল মিডিয়া দ্বারা প্রদত্ত। তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় ফটো ওয়ার্কশপে ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন এবং ফটো টেকনিকের উপর বেশ কয়েকটি সচিত্র আলোচনাও দিয়েছেন। তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর বিচার করেছেন।

তিনি 150টি আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন, যার মধ্যে কয়েকটি নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে: ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের গ্র্যান্ড প্রাইজ (প্যারিসে রিটার্ন টিকিট) 1988। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো কম্পিটিশন, হল্যান্ড, 1980। ছবির গল্পের জন্য মেরিট সার্টিফিকেট, 'SLR' থেকে পুরস্কার ক্যামেরা', ম্যাগাজিন-ইংল্যান্ড, একটি নতুন ছবির কৌশলের জন্য, 1983। দুটি ছবি পোস্টেজ স্ট্যাম্পে এবং দুটি প্রথম দিনের কভারে, 1987।