শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায় (Srijato Bandopadhyay) বাংলা ভাষার একজন ভারতীয় কবি। তিনি 2004 সালে আনন্দ পুরস্কার জিতেছিলেন তাঁর বই উদন্ত সাব জোকার: অল দস ফ্লাইং জোকারের জন্য। 2014 সালে, 'মিশাওর রওহোশ্যো'-এর 'বলির শোহর' গানের জন্য তিনি সেরা গীতিকারের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ইস্ট জিতেছিলেন।

শ্রীজাতোর কাব্য রচনা 'মেঘ বদলের কাবি' প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা 2020-এ আরেকটি উপন্যাস বৃক্ষ ওনুবাদকের সাথে। কবিতা ও গান লেখার পাশাপাশি তিনি অ্যাঙ্করিং এবং পাবলিক স্পিকিংও করেন। সম্প্রতি সৃজিত মুখার্জির জুলফিকার চলচ্চিত্রে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। তিনি আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লেখকের কর্মশালায়ও অংশ নিয়েছেন।

শ্রীজাতর জন্ম সঙ্গীত পরিবারে। তিনি গড়িয়াতে থাকতেন এবং নারকেলবাগানের কামদোহারীতে তাঁর শৈশব কাটে। শ্রীজাতো ধ্রুপদী কণ্ঠশিল্পী সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর নাতি এবং সঙ্গীতজ্ঞের ভাগ্নে এবং কোটালী ঘরানার খলিফা পণ্ডিত মানস চক্রবর্তী; তার মা একজন শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পী গান সরস্বতী শ্রীল বন্দোপাধ্যায়। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা যাদবপুর বিদ্যাপীঠে সম্পন্ন হয় এবং তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত আসুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক হন।

শ্রীজাতো তার লেখালেখির কেরিয়ার শুরু করেন 1990 এর দশকে। বর্তমানে তিনি স্ত্রী দূর্বাকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার সেলিমপুরে থাকেন। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করে তিনি এখন ‘প্রথমা’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন।

অক্সফোর্ড বুক স্টোরে শ্রীজাত, কলকাতার অপীজয় বাংলা সাহিত্য উৎসব 2015-এর জন্য।

তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ছোটদের চিরিয়াখানা: দ্য ম্যানেজারি ফর কিডস (2005), কাটিউশার গল্প: টেলস আনটোল্ড (2006), বর্ষামঙ্গল: বর্ষা মহাকাব্য (2006), ওকালবৈশাখী: ঝড়ের অভূতপূর্ব (2007), লিখতে হোল ভোদ্রোভবে, লেখতে গর্তে। তোমাকে করতে হবে (2002), সেস চিঠি: শেষ চিঠি (1999), বোম্বাই টু গোয়া (2007), কফার নামতি আইরিশ: আইরিশ কফি (2008), ওনুভোব কোরেছি তাই বলচি: অনুভূতি প্রকাশ করা (1998)। তাঁর কবিতার বই, আন্ধার লেখাগুচ্ছ প্রথম ফেসবুকে পোস্ট করেন কবি। এই বইয়ের প্রতিটি কবিতাই সনেট।

তিনি উপন্যাসও লিখেছেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস "4043"। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাসটি "শালিমারে শব্দঘাট" নামে পূজাবর্ষিকী আনন্দলোকে প্রকাশিত হয়।