
Prabir Mitra
Bangladeshi film actor
Date of Birth | : | 18 August, 1941 |
Date of Death | : | 05 January, 2025 (Aged 83) |
Place of Birth | : | Chandpur, Bangladesh |
Profession | : | Film Actor |
Nationality | : | Bangladeshi |
প্রবীর মিত্র (Prabir Mitra) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে। ১৯৮২ সালে তিনি বড় ভাল লোক ছিল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত, তিনি প্রায় ৪ যুগ ধরে ৪০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
প্রাথমিক জীবন
প্রবীর মিত্র চাঁদপুর শহরে এক কায়স্থ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বংশপরম্পরায় পুরনো ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রবীর মিত্র। তিনি ঢাকা শহরেই বেড়ে উঠেন৷ তিনি প্রথম জীবনে সেন্ট গ্রেগরি থেকে পোগজ স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র ২০০০ সালে মারা গেছেন। তার এক মেয়ে তিন ছেলে। ছোট ছেলে ২০১২ সালে ৭ই মে মারা গেছেন।
কর্মজীবন
প্রবীর "লালকুটি" থিয়েটার গ্রুপে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন৷ কর্মজীবনে তিনি সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছেন৷ স্কুলে পড়া অবস্থায় জীবনে প্রথমবারের মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’। চরিত্র ছিল প্রহরী। এরপর পুরনো ঢাকার লালকুঠিতে শুরু হয় তার নাট্যচর্চা। ১৯৭৩ সালে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে৷ ছবির গল্প ও সংলাপ লিখেছিলেন তারই স্কুল জীবনের বন্ধু এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথমদিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। তিতাস একটি নদীর নাম, চাবুকসহ বেশ কিছু ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সর্বশেষ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছবিতে। পরবর্তী সময় নায়ক না হয়ে তিনি চরিত্রাভিনেতার দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন।
ক্রীড়া জীবন
প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলেছেন। একই সময় তিনি ফায়ার সার্ভিসের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন। এছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলও খেলেছেন।
মৃত্যু
প্রবীর মিত্রকে বেশ কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৬ জানুয়ারি বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.