Olivia Gomez
Bangladeshi film actress
Date of Birth | : | 16 Feb, 1953 |
Place of Birth | : | Karachi |
Profession | : | Bangladeshi Film Actress |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Instagram
|
অলিভিয়া গোমেজ (জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ে ছেলেবেলায় লেখাপড়া করেন। মাত্র তেরো-চৌদ্দ বছর বয়স থেকে মডেলিং করা শুরু করেন। চাকরির প্রয়োজনে পূর্বাণী হোটেলের রিসেপশনিস্ট হয়েছিলেন কিছুদিন। অলিভিয়া প্রায় ৫৩টির মতো ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন।
জন্ম ও ব্যক্তিগত জীবন
অলিভিয়ার জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি করাচিতে। ১৪ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন। তার পিতা-মাতার আদি নিবাস ভারতের গোয়াতে। পিতা দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারী ছিলেন তাদের পরিবার। করাচি থেকে ঢাকায় এসে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন মগবাজারে। তার বাবা চাকরি করতেন দ্য ডেইলি অবজারভার পত্রিকার রিডিং সেকশনে। তারা ৩ ভাই, ৪ বোন। মেজো ভাই জর্জি ছিলেন ফুটবল খেলোয়াড়। অলিভিয়া ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্রকার এস এম শফিকে বিয়ে করেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে শফি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুতে শোকাহত অলিভিয়া চলচ্চিত্র জগৎ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ফতুল্লার মুনলাইট টেক্সটাইল মিলের কর্ণধার হাসানকে বিয়ে করেন। বর্তমানে বসবাস করছেন ঢাকার বনানীতে। নিভৃতে জীবন যাপন করেন তিনি।
চলচ্চিত্রে আগমন
অলিভিয়া পূর্বাণী হোটেলের রিসেপশনিস্ট থাকা অবস্থায় কয়েকটি বিজ্ঞাপন চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭২ সালে অলিভিয়া এস এম শফি পরিচালিত ছন্দ হারিয়ে গেল নামক ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন। যদিও জহির রায়হান তার ছবি ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ সিনেমাতে এবং বেবী ইসলাম ‘সঙ্গীতা’ নামের চলচ্চিত্রে তাকে নিতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি অজানা কারণে বাদ পড়েন। ‘মাসুদ রানা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে প্রথম অলিভিয়াকে দেখা যায় হাঁটুর ওপর বস্ত্র পরিধান করতে যা সেই সময়ে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে ছিল নতুন ও সাহসী ব্যাপার। তাই পরিচালকেরা তাকে গ্ল্যামার গার্ল জাতীয় হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং ঐ জাতের চলচ্চিত্রে তাকে কাস্ট করতে থাকেন। যদিও অলিভিয়া পোশাকি, ফ্যান্টাসি এবং সামাজিক সব ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিন্তু দর্শকেরা তাকে সামাজিক ছবিতে ভালোভাবে নেয়নি। ১৯৭৬ সালে ‘দি রেইন’ ছবিতে অভিনয় করে অসম্ভব খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত অলিভিয়া-ওয়াসিম জুটি অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল। অলিভিয়া উত্তম কুমারের সাথে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন ১৯৭৬ সালের বহ্নিশিখা চলচ্চিত্রে। বাংলাদেশি নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করা এটিই উত্তম কুমারের প্রথম ও শেষ চলচ্চিত্র।
গ্রহণযোগ্যতা
অলিভিয়ার স্বামী এস এম শফি তার গ্ল্যামার এবং যৌন আবেদনকে ব্যবহার করতে কার্পণ্য করেননি। তবে অলিভিয়া শক্তিশালী অভিনয়ের পরিচয় দেন রাজ্জাকের বিপরীতে ‘যাদুর বাঁশী’ ছবিতে। উল্লেখ্য ববিতা'র পর অলিভিয়াই ছিলেন দ্বিতীয় নায়িকা যিনি পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র ‘বহ্নিশিখা’ ছবিতে অভিনয় করেন। কর্মজীবন এবং অভিনয়ের ব্যাপারে অলিভিয়া ছিলেন খামখেয়ালী, তাই তিনি বেশি দূর যেতে পারেননি। অনেকদিন বিরতির পর আশির দশকের শেষের দিকে তিনি আবার ফিরে আসতে চেয়েছিলেন চলচ্চিত্র জগতে কিন্তু তার স্বামী এস এম শফির অকাল মৃত্যুতে তা সম্ভব হয়নি। তার সর্বশেষ ছবি ছিল 'দুশমনি' যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৫ সালে।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.