photo

Mozammal Haque

Bangladeshi kabaddi player
Date of Birth : 20 Nov, 1974
Place of Birth : Dhaka
Profession : Bangladeshi Kabaddi Player
Nationality : Bangladeshi
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক (জন্ম ১ অক্টোবর ১৯৪৬) হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন 

প্রারম্ভিক জীবন
জন্ম
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক ১৯৪৬ সালের ১লা অক্টোবর গাজীপুর সদর উপজেলার দাখিণ খান গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আনোয়ার আলী ও মাতার নাম রাবেয়া খাতুন।[২]তিনি ঐতিহ্যবাহী রাণী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এর একজন কৃতি শিক্ষার্থী ছিলেন।

রাজনীতি ও কর্মজীবন
মোজাম্মেল হক ছাত্রাবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন গাজীপুর মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ৩ বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ বার পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩] ২০০৮ সালে পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে গাজীপুর-১ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৯-ও সালে গাজীপুর-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।[৪][৫] এ সময় তিনি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] তিনি ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি গাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সর্বপ্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

প্রাপ্তি ও পুরস্কার
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার বিভাগে তিনি এ পুরস্কার প্রাপ্ত হন।[৬]

সমালোচনা
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তাঁর ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত বই ‘বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ’-এ লেখেন যে মোজাম্মেল ১৯৭৪ সালে একজন নববিবাহিত বউকে কিছু দুর্বৃত্তদের সাথে মিলে ধর্ষণ করেন:

একদিন ঢাকার উত্তরে টঙ্গী এলাকায় একটি দেশব্যাপী সন্ত্রাস দমন সামরিক অভিযান (combing operation)-এর সময় মেজর নাসের যিনি বেঙ্গল ল্যান্সার্সের আরেকটি স্কোয়াড্রনের নেতৃত্বে ছিলেন, তিনি তিনজন তুচ্ছ দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজন ব্যক্তি ভেঙ্গে পড়ে এবং সেনা কর্মকর্তাদের একটি বিশেষ ভয়ঙ্কর ট্রিপল হত্যার কাহিনী বলে যা টঙ্গীকে গত শীতে কাঁপিয়ে তুলে। এটি প্রকাশিত হয় যে একটি নববিবাহিত দম্পতি একটি ট্যাক্সিতে করে তাদের বাড়িতে যাতায়াতের সময় শহরের অদূরে রাস্তার পাশে তাদের থামিয়ে আটক করা হয়। বর ও ট্যাক্সি চালককে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। কনে, যাকে একটি বিচ্ছিন্ন কুটিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাকে তার অপহরণকারীদের দ্বারা বারবার ধর্ষণ করা হয়েছিল। তিন দিন পর একটি ব্রিজের কাছে রাস্তার ওপর তার বিকৃত লাশ পাওয়া যায়।

অপরাধে তার অংশের কথা স্বীকার করে, দুর্বৃত্তটি সেনা সদস্যদের জানায় যে পুলিশি তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যখন তারা জানতে পারে যে এই গুণ্ডাচক্রের রিং-লিডার তার বস, টঙ্গী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল। ফারুকের মতে, স্বীকারোক্তিটি জিজ্ঞাসাবাদকারী অফিসার ইশতিয়াক নামের একজন যুবক লেফটেন্যান্টকে এতটাই ক্রোধান্বিত করেছিল যে ‘তিনি লোকটিকে এত জোরে লাথি মারতে শুরু করেছিলেন যে সে অভ্যন্তরীণ আঘাতে নিহত হয়।’ তিনি (ইশতিয়াক) তখন থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান।

গুণ্ডাটি যে সত্য বলেছে তা পুলিশ রেকর্ড থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর মেজর নাসের মোজাম্মেলকে বিচারের জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। ফারুকের মতে, মোজাম্মেল নাসেরকে তার মুক্তির জন্য তিন লক্ষ টাকা প্রস্তাব করেছিলেন। ‘এটাকে জনসাধারণের ব্যাপার বানায়ো না,’ আওয়ামী লীগ নেতা তাকে পরামর্শ (হুমকি) দিলেন। ‘আজ না হয় কাল তোমাকে যাই হোক আমাকে যেতে দিতে হবে। তাহলে কেন টাকাটা নিয়ে এটি ভুলে যাও না?’ নাসের, যিনি তাকে ঘুষ দেওয়ার এই নির্মম প্রচেষ্টায় বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তিনি শপথ করেছিলেন যে তিনি মোজাম্মেলকে বিচারের মুখোমুখি করবেন এবং তার অপরাধের জন্য তাকে ফাঁসি দেবেন। তিনি তাকে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। ফারুক বলেন, কয়েকদিন পর শেখ মুজিবের সরাসরি হস্তক্ষেপে মোজাম্মেলকে মুক্তি দেওয়ায় তারা সবাই অবাক হয়েছিলেন। ‘আমি তোমাকে টাকা নিতে বলেছিলাম,’ মোজাম্মেল দম্ভস্বরে বললো। ‘তুমিই লাভবান হতে। এখন যেভাবেই হোক আমি মুক্তি পেয়েছি, তুমি কিছুই পাও নাই।’

ঘটনাটি ফারুক ও তার সহকর্মীদের স্তব্ধ করে দেয়। টঙ্গী তাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাড়ায়। ‘মনে হচ্ছিল আমরা এমন একটা সমাজে বাস করছি যেটা একটা অপরাধী সংগঠনের নেতৃত্বে। যেন বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে মাফিয়ারা। আমরা সম্পূর্ণরূপে স্বপ্নহারা হয়ে যাই। এখানে সরকার প্রধান খুন এবং অন্যান্য চরম জিনিসগুলোকে সাহায্য করে আসছিল যা থেকে তার আমাদের রক্ষা করার কথা ছিল। এটা গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমরা ঠিক করেছি তাকে যেতেই হবে।’

মেজর ফারুক সেদিনই শেখ মুজিবকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। তিনি স্মরণ করে বলেন: ‘আমি আমার মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি ক্যাপ্টেন শরিফুল হোসেনকে বললাম

Quotes

Total 0 Quotes
Quotes not found.