Giasuddin Selim
Screenwriter, Film Director
Date of Birth | : | 01 Aug, 1980 |
Place of Birth | : | Feni, Bangladesh |
Profession | : | Screenwriter, FilmDirector |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
|
গিয়াস উদ্দিন সেলিম (Giasuddin Selim) হলেন একজন বাংলাদেশী নাট্যকার, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার। মনপুরা (২০০৯) ও স্বপ্নজাল (২০১৮) পরিচালনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেছেন: একবার মনপুরার জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার পুরস্কার এবং আরেকবার আধিয়ার (২০০৩) চলচ্চিত্রের কাহিনীর জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে মনপুরা ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
সেলিম তার কর্মজীবন শুরু করেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে। পরে তিনি টেলিভিশন নাটক পরিচালনায় চলে যান। তার প্রথম পরিচালিত টেলিভিশন নাটক ছিল বিপ্রতীপ । ২০০৯ সালে তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার চলচ্চিত্র মনপুরা মুক্তি পায়।
জন্ম ও শিক্ষা
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বাংলাদেশের ফেনী সদর উপজেলার জাহানপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ও বেড়ে ওঠেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে অধ্যয়ন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহী'-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
পথনাট্য
বয়ঃসন্ধিকাল থেকে কবিতা লিখলেও ১৯৯২ সালে 'ঠ্যারো' নামে প্রথম পথনাটক লেখেন বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের জন্য। এখনো সে দলটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ নাটক মঞ্চস্থ করে। তখনই নাট্যরূপ দেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সেপাই। নির্দেশনা দেন আহসান হাবিব টিটোর ক্বাহার এবং রবীন্দ্রনাথের রথের রশি। নিজ দলের প্রয়োজনেই হয়ে উঠেন নাট্যকার-নির্দেশক। তার এরশাদ বিরোধী পথনাটক ছিল কাকলাম।
প্রতিষ্ঠান ও থিয়েটার
ফেনী জেলাতে প্রথমত সুবচন নাট্যদলের সাথে কাজ করতেন। তখনকার সময় বন্ধুদের অনেকজন মিলে নাট্যদল গড়ে তুলেছিলেন। ঐ দলে কাজ করে মোট ১২ মঞ্চ নাটক করেন। ৩ জুন, ১৯৯০ তার সহপাঠী বন্ধু শাহ আজম শান্তনু'র নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন 'বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহী' নামের নতুন থিয়েটার। সে বছরই প্রথম মঞ্চনাটক নির্দেশনা দেন। সেটি ছিল এসএম সোলায়মানের ইঙ্গিত। তাদের গড়া থিয়েটারটি এখনো আছে।
কর্মজীবন
১৯৯৩ সালে পড়াশোনার পাঠ শেষে ঢাকায় এসে মাসুম রেজা এবং সালাউদ্দিন লাভলুর সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন 'স্ট্রিগ প্লাস' নামে একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় গিয়াস উদ্দিন সেলিম প্রথমে নাট্যকার হিসেবেই কর্মজীবন শুরু করেন। অধিকাংশ নাটকই প্রচার হয় সে সময়ের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল একুশে টিভিতে। তার প্রথম টিভি নাটক পৌনঃপুনিক। এটি পরিচালনা করেন কাওসার চৌধুরী। সব মিলিয়ে তিনি রাতারাতি তারকা নাট্যকারে পরিণত হন। পরিচালক হিসেবে প্রথম নির্মাণ করেন বিপ্রতীপ, যা টিনেজারদের নিয়ে দেশের প্রথম নাটক। ২০০৩ সালে তিনি আধিয়ার চলচ্চিত্রের কাহিনী ও সংলাপ রচনা করেন। ছবিটি পরিচালনা করেন সাইদুল আনাম টুটুল। এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি নির্মাণ করেন মনপুরা চলচ্চিত্র। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী, ফারহানা মিলি, মামুনুর রশীদ, ও ফজলুর রহমান বাবু। ছবিটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ব্যবসাসফল হয়। সেলিম এই ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১১ সালে ঈদের জন্য নির্মাণ করেন এক ঘণ্টার নাটক একটি সাধারণ প্রেমের গল্প। এতে অভিনয় করেছেন সমাপ্তি ওয়াদুদ, অদিতি ওয়াদুদ। ২০১৬ সালে তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কালোবাজারে প্রেমের দর গল্প অবলম্বনে নির্মাণ করেন আধুনিক প্রেম নাটক। এতে অভিনয় করেন মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও রিমা। এই নাটক দিয়ে তিনি দুই বছর পর নাটক নির্মাণে ফিরেন। তার পরিচালিত স্বপ্নজাল চলচ্চিত্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি ও নবাগত ইয়াশ রোহান।
বাঙাল সিনেমা
বাঙাল সিনেমা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এর প্রডাকশন হাউজ। এই হাউজ থেকে গিয়াস উদ্দিন সেলিম সিনেমা পরিচালনা করে থাকেন। এটি ঢাকায় লালমাটিয়াতে অবস্থিত।
চলচ্চিত্র
বছর চলচ্চিত্র পরিচালনা চিত্রনাট্য মন্তব্য ২০০৯ মনপুরা হ্যাঁ হ্যাঁ শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্যজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
২০১৮ স্বপ্নজাল হ্যাঁ হ্যাঁ ২০২২ পাপ পুন্য হ্যাঁ হ্যাঁ গুণিন হ্যাঁ হ্যাঁ ২০২৩ কাজলরেখা হ্যাঁ হ্যাঁ উৎপাদন পরবর্তি
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.