
Faisal Hossain
Bangladeshi cricketer
Date of Birth | : | 26 October, 1978 (Age 46) |
Place of Birth | : | Chattogram, Bangladesh |
Profession | : | Bangladeshi Cricketer |
Nationality | : | Bangladeshi |
ফয়সাল হোসেন (Faisal Hossain) চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী সাবেক বাংলাদেশী ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারি সারির বামহাতি ব্যাটসম্যানরূপে খেলতেন। এছাড়াও বামহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও চারটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিতে পেরেছেন। তবে, তার ক্রীড়ানৈপুণ্য দলে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৮ মে, ২০০৪ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐ খেলায় পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ রান তুলেছিলেন যা তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল। ২৯ জুলাই, ২০০৪ তারিখে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২৮ মে, ২০০৪ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বিস্ময়কারীরূপে পরিচিত একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৫ ও ২ রান তোলেন। আগস্ট, ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় সংরক্ষিত খেলোয়াড়ের তালিকায় ছিলেন। তিনি আঘাতপ্রাপ্ত অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের বিকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। কিন্তু কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেনি তার। সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেয়ার চার বছর বাদে ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে স্বদেশে অনুষ্ঠিত সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলায় জন্য তাকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০০৮-০৯ মৌসুমের ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ব্যাট হাতে ভীষণ সফলতা লাভ করেন তিনি। ৭০.৫৬ গড়ে ৯৮৩ রান ওঠান। ২০০৯-১০ মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরফলে একদিনের আন্তর্জাতিকে পুনরায় ডাক আসে তার।
ইংল্যান্ড সফর
ইংল্যান্ড সফরে দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। সেখানে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৬ তোলেন। তন্মধ্যে ১ম ওডিআইয়ে বোলিংয়ের সময়ে দূর্ঘটনার সূচনা হয়। ইয়ান বেলকে লক্ষ্য করে স্পিন বোলিং করলে উইকেট-রক্ষক ও দলীয় সহঃ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হ্যালমেটের গ্রীলে বল স্পর্শ করলে তিনি মারাত্মক জখমের শিকার হন ও আঘাতের কারণে সিরিজের বাদবাকি খেলায় অংশ নিতে পারেননি। দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলেননি। ঐ খেলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ৫ রানের ব্যবধানে নাটকীয়ভাবে জয় পায়। তবে ঐ সিরিজে তার দল ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলেন। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ৮ রান তুলেন। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছিল। ইংল্যান্ড সফরের পর বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়েন।
নিষিদ্ধতা
২০০৭ সালে থ্রোয়িংয়ের বিষয়ে তার বোলিং ভঙ্গীমায় সন্দেহের উদ্রেক হয়। ফলশ্রুতিতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে পর্যবেক্ষণের শর্তসাপেক্ষে বোলিং করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। পুনরায় অভিযুক্ত হলে তাকে আজীবন নিষিদ্ধতার কবলে পড়ার শর্তারোপ করা হয়। সেজন্যে ২০০৭-০৮ মৌসুমে বোলিং করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। ২০০৮ সালের ইংরেজ ক্রিকেট মৌসুমে কেন্ট ক্রিকেট লীগে অংশ নেন। চিজলহার্স্ট ও ওয়েস্ট কেন্ট ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.