
Dr. Muhammad Yunus
Chief Adviser of Bangladesh
Date of Birth | : | 28 June, 1940 (Age 84) |
Place of Birth | : | Chittagong, Bangladesh |
Profession | : | Banker, Social Entrepreneur |
Nationality | : | Bangladeshi |
Social Profiles | : |
Facebook
Twitter
Instagram
|
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus) বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ নামক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক হিসেবে সমাদৃত। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
পরিবার এবং শৈশব
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করেন। তার পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তার প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ডঃ আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষা ও প্রাথমিক কর্মজীবন
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন।
১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি করেন। এরপর তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। ইউনূস বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।
ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা
মূল নিবন্ধ: গ্রামীণ ব্যাংক
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক "সংহতি দল" পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্ভুদ্ধ হয়।
নোবেল পুরস্কার অর্জন
মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ
- Three Farmers of Jobra; ডিপার্টমেন্টস অফ ইকোনোমিক্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; (১৯৭৪)
- Planning in Bangladesh: Format, Technique, and Priority, and Other Essays; Rural Studies Project, ডিপার্টমেন্টস অফ ইকোনোমিক্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; (১৯৭৬)
- Jorimon and Others: Faces of Poverty (co-authors: Saiyada Manajurula Isalama, Arifa Rahman); গ্রামীণ ব্যাংক; (১৯৯১)
- Grameen Bank, as I See it; গ্রামীণ ব্যাংক; (১৯৯৪)
- Banker to the Poor: Micro-Lending and the Battle Against World Poverty; Public Affairs; (২০০৩) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৪৮-১৯৮-৮
- Creating a World without Poverty: Social Business and the Future of Capitalism; Public Affairs; (২০০৮) আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৪৮-৪৯৩-৪
- Building Social Business: The New Kind of Capitalism that Serves Humanity's Most Pressing Needs ; Public Affairs; (২০১০); আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৬৪৮-৮২৪-৬
- সম্মাননা
- ডঃ ইউনুস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬২টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
Quotes
Total 38 Quotes
ক্ষুদ্রঋণ দেখিয়েছে যে আপনি কীভাবে লোকেদের কাছে পৌঁছাতে পারেন যা প্রচলিত ব্যাংকিং করতে পারে না। এটি প্রমাণ করেছে যে এটি একটি কার্যকর প্রস্তাব।
আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা। মানসিকতা আমাদের উপর অদ্ভুত কৌশল খেলে। আমাদের মন আমাদের চোখকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেইভাবে জিনিসগুলি দেখি।
আমি তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোক্তা হতে এবং শুধু অর্থ উপার্জনের পরিবর্তে বিশ্বে অবদান রাখতে উত্সাহিত করছি। অর্থ উপার্জন কোন মজা নয়. বিশ্বে অবদান রাখা এবং পরিবর্তন করা অনেক বেশি মজাদার।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি দ্বীপ হওয়া উচিত নয় যেখানে শিক্ষাবিদরা তার প্রতিবেশীদের সাথে এই জ্ঞানের কোনও ভাগ না করেই উচ্চ এবং উচ্চ স্তরের জ্ঞান অর্জন করে
আমি বিশ্বাস করি যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার উপর জোর দেওয়া নীতিগুলি অনুসরণ করার আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয় যা জনসংখ্যাকে নিজের যত্ন নিতে দেয়।
ভয় ভাঙ্গার প্রক্রিয়াটি সবসময়ই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এবং আমার মহিলা কর্মীদের যত্নশীল কাজ এবং মৃদু কণ্ঠের দ্বারা এটি সহজ করা হয়েছিল।
আমি শিখেছি যে জিনিসগুলি কখনই ততটা জটিল নয় যতটা আমরা কল্পনা করি। এটা কেবল আমাদের অহংকার যা সহজ সমস্যার জটিল উত্তর খুঁজতে চায়।
আমরা আমাদের ছাত্রদের চাকরি এবং কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করি, কিন্তু তারা কী ধরনের বিশ্ব তৈরি করবে সে সম্পর্কে আমরা তাদের ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে শেখাই না।
গরীবরা নিজেরাই দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়তে পারে। আমাদের যা করতে হবে তা হল আমরা তাদের চারপাশে যে শিকল রেখেছি তা থেকে তাদের মুক্ত করা!
সভ্য মানব সমাজে দারিদ্র্য নেই। এর উপযুক্ত স্থান একটি জাদুঘরে। এটা যেখানে হবে.