বন্যা মির্জা (জন্ম 9 সেপ্টেম্বর 1975) একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রেই, এবং মঞ্চে এবং একজন সামাজিক কর্মীও। তিনি হাজারেরও বেশি টেলিভিশন-নাটক এবং কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মির্জা 1992 সালে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্য থিয়েটার গ্রুপ 'দেশনাটক' এর সাথে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার উল্লেখযোগ্য থিয়েটার পারফরম্যান্স হল 'নিত্যপুরাণ' এবং 'দর্পণে শরৎশশী', 'এ ডলস' হাউস', 'ঘোরলোপাট'। টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন হাজারের বেশি। তিনি 2018 সাল থেকে টেলিভিশন অভিনেতাদের পেশাদার সংগঠন অ্যাক্টরস ইক্যুইটির একজন নির্বাচিত সেক্রেটারি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ফোরাম - শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ের একজন বক্তা।

কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া মির্জা তার বাবা-মায়ের কাছেই ছিলেন। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং মা একজন গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয় এবং তার এক ভাই আছে। তিনি কুষ্টিয়া সরকার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পরে তিনি পড়াশোনার জন্য ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার এবং পারফরম্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মির্জা 1992 সালে থিয়েটার ট্রুপ দেশ নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। কিছু বছর পরে, তিনি 1997 সালে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেন, যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। টেলিভিশনে বেশ কয়েক বছর পেশাদার অভিনয় করার পর, তিনি একাত্তর টিভি, নিউজ 24, জি-টিভি ইত্যাদির মতো বিখ্যাত বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেলগুলির সাথে টেলিভিশন প্রোগ্রাম অ্যাঙ্করিং শুরু করেন। 2015 সাল থেকে, তিনি একজন মার্কেটিং পেশাদার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে বাংলায় মার্কেটিং প্রধান হিসাবে কাজ করছেন। ট্রিবিউন। টেলিভিশন নাটকে তার প্রথম অভিনয় ছিল 1997 সালে সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত শুকের নোঙ্গরে। মির্জা একাত্তর টিভির একাত্তরের শোকালের উপস্থাপক। তিনি তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় রাবেয়া (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

মির্জা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অনুষ্ঠান সম্পাদক নির্বাচিত হন।