Barun Roy
Politician
Date of Birth | : | 10 Nov, 1922 |
Date of Death | : | 08 Dec, 2009 |
Place of Birth | : | Beheli, Bangladesh |
Profession | : | Politician |
Nationality | : | Bangladeshi |
বরুণ রায় (Barun Roy) (১ নভেম্বর ১৯২২ - ৮ ডিসেম্বর ২০০৯) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তেভাগা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ভাসান-পানি আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ সহ কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী জনতার মুক্তির সংগ্রামের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। এ কারণে তাকে অনেক সময় কারাবরণ করতে হয়েছে। শুধু পাকিস্তান আমলেই তিনি ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
কমরেড বরুন রায়ের জন্ম ১৯২২ সালের ১ নভেম্বর তারিখে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। তার প্রকৃত নাম প্রসূন কান্তি রায়। তার বাবা করুনা সিন্ধু রায় (প্রজা বাবু)। করুনাসিন্ধু রায় একটি সামন্ত পরিবারে জন্ম নিলেও বেছে নিয়েছিলেন কৃষক প্রজার পক্ষের রাজনীতি। তিনি আসাম প্রাদেশিক পরিষদের এমএলএ ছিলেন। কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোগরা হাইস্কুল থেকে তিনি ১৯৪২ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
বিদ্যালয়ে পড়াশুনাকালে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। আন্তরিকতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নেতৃত্বের কাতারে চলে আসতে সক্ষম হন। ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী হিসাবে বরুণ রায় কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করেন।। ১৯৪২ সালে স্বাধীনতা দিবস পালন করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। বরুণ রায় আই এ ভর্তি হন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে। এই কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৭ সালে আই এ পাসের স্বীকৃতি অর্জন করেন। ১৯৪৮ সালে সিলেট তিনি এম সি কলেজে বি এ প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। এ সময় তিনি পার্টি ও ছাত্র ফেডারেশনের কাজে নিজেকে একজন সার্বক্ষণিক হিসেবে নিযুক্ত করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
১৯৪৯ সালে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ৫২'র ভাষা আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় একটানা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি জেলে ছিলেন। এরপর মুক্তি পেলেও রাখা হয় নজরবন্দি করে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক ফরমান জারি করলে বরুণ রায়কে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দীর্ঘ ৫ বছর কারাগারে থাকতে হয়। ১৯৬৮-৬৯ সালে গণ আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা থেকে বিরত থাকেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের’ যৌথ গেরিলা বাহিনীর সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৫ দলের প্রার্থী হিসাবে) কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসাবে তিনি সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন চলাকালে তাকে আবার গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। তিনি ১৯৯০ সালে বার্ধক্যের কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। শেষ বয়সে তিনি মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পারিবারিক জীবন
তার স্ত্রী শীলা রায় শিক্ষা আন্দোলনের নেত্রী এবং একমাত্র পুত্র সাগর রায় বর্তমানে প্রবাসী।
মৃত্যু
কমরেড বরুন রায় ৮ ডিসেম্বর ২০০৯ মৃত্যুবরণ করেন।
Quotes
Total 0 Quotes
Quotes not found.